গন্তব্য এবার বন্ধুর বিয়েতে
নমষ্কার,,
আমার ছোট বেলার বন্ধু মাধব। একদম প্লে থেকে আমাদের বন্ধুত্ত্ব । পাশের পাড়াতেই বাড়ি। একসাথে প্রাইভেট পড়া থেকে শুরু করে খেলাধুলা সব কিছু করতাম। কলেজ টাও একসাথে। তারপর তো যে যার মত আলাদা হয়ে যাই। তবে বছেরের ছুটির সময় গুলোতে ঠিকই এক সাথে আড্ডা আর ফাজলামো চলতো। সেই মাধবের বিয়ে পরশু। না এসে পারা যায় আপনারাই বলুন!!
বিয়ে টা আবার অনেক দূরে । বাড়ি থেকে পনের মিনিট হাঁটলেই যাওয়া যাবে ওর শশুর বাড়ি। তাহলে ভাবুন কত দূর! হিহিহিহি। বন্ধু আমার পাশের পাড়াতেই প্রেম করেছে বেশ কয়েক বছর হলো। তারপর সেখানেই বিয়ে। বলা যায় সার্থক যুগল।
দুই দিন হলো ফোন করে পাগল করে দিচ্ছে বাড়ি যাওয়ার জন্য মাধব। আসলে পরশু তো ঢাকাতে পরিবহন ধর্মঘট হতে পারে। তাই যেন কোন ঝামেলায় না পরি এজন্য আগে আগেই যেতে বলছে। তো গতকাল ঠিক করে নিয়েছিলাম যে আজকেই রওনা দেব বাড়ির দিকে। আলসেমি করতে করতে দুপুর দুইটার দিকে বেরিয়ে রিক্সা নিয়ে চলে আসি কল্যাণপুর। আড়াইটার বাসের একটা টিকিট কেটে ফেলি। সেখান থেকে টেকনিক্যাল দিয়ে বাস ছাড়তে ছাড়তে মোটামুটি তিনটাই বেজে গেল।
বেশ কয়েকবার হলো ঢাকা যাতায়াত করতে খুব একটা জ্যাম পাই না । দুইঘন্টার মাঝে যমুনা সেতুতে পৌঁছে গেলাম। ছোট দিনের বেলা। দেখতে দেখতে শেষ হয়ে যাচ্ছিল। সত্যি বলতে পরন্ত এই বিকেল টা বেশ লাগছিল আমার কাছে। গাড়ি তো আপন বেগে ছুটে চলছিল। জানালা দিয়ে দেখতে পাচ্ছিলাম শীতের সেই আমেজ টা যেন ছুটে আসছে আমার দিকেই। ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশায় মুহূর্তেই ঢেকে গেল চারদিক। শেষ বেলায় রক্তিম সূর্যটা এত অপূর্ব লাগছিল দেখতে। মুহুর্তেই কোথায় যেন হারিয়ে গেল। আমি এক মনে তাকিয়ে ছিলাম ঐদিকে।
তারপর তো হোটেল বিরতি পেলাম একদম সন্ধ্যার পর পর। ফ্রেশ হয়ে কফি নিয়ে প্রতিবারের মত হাঁটাহাঁটি করলাম এদিক সেদিক। গাড়ি থেকে নামার পর বুঝলাম ঠান্ডা কেমন পরেছে। সামান্য ফুলহাতা শার্ট দিয়ে কাটানো সম্ভব নয়। গরম কাপড় দরকার আরেকটু। আর ঠিক সাড়ে সাতটার মাঝে ঘরের ছেলে ঘরে ঢুকে গেল। মায়ের চিন্তার একটু অবসান হলো। তিন চারটা দিন হয়তো ভালোই কাটবে। ভালো কিছুর প্রত্যাশা নিয়েই আপাতত আজ শেষ করলাম।
প্রথমত ভেবেছিলাম সত্যি আপনার বন্ধুর শ্বশুর বাড়ি অনেক দূরে। এরপর বুঝতে পারলাম ১৫ মিনিটের দূরত্ব সত্যি অনেক বেশি। মনে হচ্ছে তিন দিন লাগবে যেতে😅😅। বন্ধুর উইকেটের তো পতন হতে চলল। এবার আপনারটা কবে হবে সেটাই দেখার অপেক্ষায় আছি ভাইয়া। যাইহোক ভাইয়া আপনার শেয়ার করা পোস্ট পড়ে ভালই লাগলো। সেই সাথে পড়ন্ত বিকেলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে।
হিহিহিহি,,, এত কাছে শশুড় বাড়ি বানিয়ে কি মজা আছে আপু! বিয়ের মজাটাই শেষ। আর আমার আর বিয়ে এই জীবনে নেই। পরের জন্মে যদি ভাগ্য পরিবর্তন হয় একটু। দোয়া করবেন 🙏। আর অনেক ভালো থাকবেন।
ছোটকালের বন্ধুর বিয়ে বলে কথা হাতের কব্জি ডুবিয়ে খেতে হবে খানা😂😂😂।১৫ মিনিটে হেটে যাওয়া যায় মানে তো অনেক দূর।বেচারা তো বেশ জমিয়ে প্রেম করছে আপনি একটা করতে পারেন নাই🤭🤭🤭।আশা করি আপনার খাওয়া দাওয়া ঠিকঠাক হবে।শুভ কামনা রইলো আপনার বন্ধু এবং সাথে আপনার জন্য।
হাহাহাহা,,, আপু এত কাছে প্রেম করে কোন মজা নেই তো,, আমি তো দেশ টপকে বিদেশে চান্স নিচ্ছি 😉। একটা চাকরী চাই আগে, তারপর দেখেন কি করি 😅। দোয়া করবেন ভাইয়ের জন্য।
হা হা হা বেশ মজা পাইছি কথা শুনে।দোয়ার আর্জি সব সময় ভাইয়া
😊🙏
যাক বন্ধু আপনার প্রেম করে সার্থক। বিয়েটা তাহলে হয়েই যাবে। আপনি কবে করছেন বিয়ে সেটা বলুন। মাধবদা কে আমাদের সবার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাবেন ভাই। তার জন্য শুভকামনা রইলো। বিয়ের দিন গুলো তে কি কি হলো এসব জানার অপেক্ষায় থাকলাম ভাই।
ওরে ভাই বেকার ছেলেকে কে মেয়ে দেবে বলেন 😅। আমি ভবঘুরেই থেকে যাব। হিহিহিহি। অনেক ভালো থাকবেন ভাই।
আপনার ছোট বেলার এত ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিয়ে করে নিচ্ছে আপনি বাকি রয়েছেন কেন? পরে তো মেয়ে খুঁজে পাবেন না হা হা হা। আপনার কথা শুনে সত্যি মনে করেছিলাম মাধবের শ্বশুর বাড়ি হয়তো অনেক দূর কিন্তু যেই বললেন পনেরো মিনিট লাগে তখন খুব মজা পেলাম। আপনি যে কতটা অলস সেটা তো আমরা সবাই জানি। যাই হোক অবশেষে বন্ধুর বিয়েতে যাওয়ার জন্য বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনি গাড়িতে বসে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। আপনার যাত্রা শুভ হোক এই কামনা করি ধন্যবাদ।
হিহিহিহি,, অলস দেখেই এবার একটু সকাল সকাল রওনা দিয়ে দিয়েছি আপু। গায়ে হলুদের আগের দিন পৌঁছে গেলাম পুরো। বিয়ের কাজে নো ফাঁকিবাজি 😅😊। অনেক ভালো থাকবেন আপু।
বন্ধুর বিয়ে বলে কথা ৷ আর যা শীত শুরু হলো আমাদের ধর্মের বিয়ের ধুম পরে গেছে ৷ যা হোক এলাকার ছোট্ট বেলার বন্ধু বিয়ে অনেক আনন্দ হবে ৷ আর একটা বিষয় ভালো লাগলো যে প্রেমের পূর্ণতা পেল ৷ বিয়ের পোস্ট দিবেন এমনটাই প্রতার্শা ৷
দেখা যাক ভাই ইচ্ছে তো আছে পোস্ট করার। আর এটা সত্যিই কাছের এই বন্ধুগুলোর যে কোন অনুষ্ঠানে একটু বেশিই ভালো লাগা কাজ করে।