বিবেকানন্দ সেতু এর তোলা কিছু ফটোগ্রাফি।
নমস্কার সবাইকে,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমিও অনেক ভাল আছি। |
---|
আজও আপনাদের সাথে একটি ফটোগ্রাফি মূলক পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আজ আপনাদের সাথে বিবেকানন্দ সেতু এর তোলা কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আমি বিবেকানন্দ সেতু এর ফটোগ্রাফি গুলো দক্ষিণেশ্বর গিয়ে তুলেছিলাম। বেশ কিছুদিন আগে আমি বন্ধুদের সাথে পুজো দেওয়ার জন্য গেছিলাম দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরে। আমি যেদিন দক্ষিণেশ্বরে কালী মন্দিরে গেছিলাম সেই দিন বেলুড় মঠও গেছিলাম দক্ষিণেশ্বরে কালী মন্দির পরিদর্শনের পরে। কালী মন্দির থেকে একটু পাশেই একটি লঞ্চঘাট রয়েছে । সেই জায়গা থেকে লঞ্চে করে নদী পার হয়েই যেতে হয় বেলুড় মঠ।
লঞ্চে করে নদী পার হয়ে বেলুড় মঠে যেতে মোটামুটি কুড়ি মিনিটের মতো সময় লেগে যায়। প্রথমে সেই ফেরিঘাটে গিয়ে আমরা সবার জন্য টিকিট কেটে নি। টিকিটের মূল্য খুব একটা বেশি ছিল না কিন্তু কত টাকা ছিল এখন আমি ভুলে গেছি। আমাদের টিকিট কেটে কিছু সময় সেখানে অপেক্ষা করতে হয়েছিল কারণ সেখানে কোন লঞ্চ ছিল না বেলুড় মঠ যাওয়ার জন্য। আমি সেখানে লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করতে করতে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম। সেই ঘাট থেকে দাঁড়িয়ে এই বিবেকানন্দ সেতুটি খুব স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছিল। সেই দিন আকাশে অল্প মেঘ করেছিল । সেই সুন্দর মেঘলা আকাশের সাথে এই ব্রিজের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর হচ্ছিল তাই তখন সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করে নি লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করার সময়।
এছাড়াও যখন লঞ্চে করে ওই ব্রিজের নিচ দিয়ে বেলুড় মঠ যাচ্ছিলাম সেই মুহূর্তেও কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম যেগুলো নিচে শেয়ার করা ফটোগ্রাফির মধ্যে তোমরা দেখতে পাবে।
এখন এই সেতু সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নেওয়া যাক। বর্তমানে এই সেতুর নাম বিবেকানন্দ সেতু হলেও এই সেতুর পূর্বের নাম ছিল বালি ব্রিজ। এই সেতুটি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি নদীর উপর অবস্থিত। হাওড়ার বালি এবং উত্তর চব্বিশ পরগনার দক্ষিণেশ্বরকে যুক্ত করেছে এই সেতুটি। সর্বপ্রথম সেতুটি ১৯৩২ সালে ডিসেম্বর মাসে চালু হয়। বিবেকানন্দ সেতুটি হল মাল্টিস্প্যান স্টিল ব্রিজ। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল এবং সড়ক যোগাযোগ সেতু। এই সেতুর দৈর্ঘ্য ৮৮০ মি। দৈনিক প্রায় ২৪,০০০ যানবাহন চলাচল করে এই সেতুর উপর দিয়ে। এই সেতুটির বয়স অনেক এবং অতিরিক্ত ট্রাফিকের কারণে ক্রমশ ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে সেতুটি। সঠিকভাবে মেরামত করাও সম্ভব হচ্ছে না এই সেতুর ক্ষেত্রে। এই সেতুর পাশেই অন্য একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে যা আমার ফটোগ্রাফিতে এক ঝলকের জন্য হলেও দেখতে পাবেন আপনারা। পাশের সেতুটির নাম হল নিবেদিতা সেতু যা ২০০৭ সাল থেকে চালু হয়েছে।
ইনফরমেশন সোর্স:
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: বালি-দক্ষিণেশ্বর।
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: বালি-দক্ষিণেশ্বর।
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: বালি-দক্ষিণেশ্বর।
আজকের শেয়ার করা বিবেকানন্দ সেতু এর তোলা কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। সবাই ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন , সুন্দর থাকেন ,হাসিখুশি থাকেন , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকেন , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।