ইন্ডিয়ান কফি হাউসে কফি খেতে গিয়ে যা অভিজ্ঞতা হল
নমস্কার সবাইকে ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। |
---|
গত দুইদিন ধরে আমার শরীর একটু অসুস্থ ছিল কিন্তু আজ থেকে শরীরটা অনেকটাই ঠিক লাগছে। গতকালকের ব্লগেও আমি আমার অসুস্থতার কথা আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম। এই অসুস্থতা কাটিয়ে আমাকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হতে আর হয়তো কিছুদিন সময় লেগে যাবে। যাইহোক এখন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের নতুন ব্লগ শুরু করা যাক।
গতকালকের ব্লগ যেখানে শেষ হয়েছে আজকের ব্লগ তারপর থেকেই শুরু হচ্ছে। কিছুদিন আগে বন্ধুদের সাথে কফি হাউজে যাওয়া নিয়ে একটি ব্লগ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম গতকাল। গতকালকের ব্লগে আপনাদের কথা দিয়েছিলাম পরবর্তী ব্লগে সেখানে কফি খেতে গিয়ে কি অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সেখানে গিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পরে আমরা একটি বসার জায়গা পেয়েছিলাম যে কথা আমি আগের ব্লগে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। তারপর কি কি হয়েছিল তাই এখন বলছি ।
আমরা যে জায়গাটা বসার জন্য পেয়েছিলাম সেই জায়গাতে বসে অনেকটা গরম লাগছিল । অতিরিক্ত লোকের ভিড় সেই সাথে সিলিং ফ্যানের পজিশনও আমাদের মাথার উপরে ছিল না সব মিলিয়ে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হচ্ছিল । যাই হোক সেখানে বসার পর আমরা আলোচনা শুরু করলাম কে কি খাব। আমি যেহেতু এইখানে আগেও কয়েকবার এসেছি তাই এইখানের কিছু অভিজ্ঞতা আমার আগে থেকেই ছিল। আমি লাস্ট যে বার এইখানে এসে খেয়েছিলাম খাবারের কোয়ালিটি বেশ খারাপ পেয়েছিলাম। আমি সেই কথা আমার বন্ধুবান্ধবকে জানাই। তাই তারাও তেমন বিশেষ কিছু না খাওয়ার জন্য বলে। অবশেষে সবাই মিলে ঠিক করি আমরা শুধু কফি খাবো। তারপর একটি ওয়েটারকে ডেকে আমরা চার কাপ কফি অর্ডার করি। অন্য দুইজন কোন কিছু খাবে না তাই জানায় আমাদের। কফির সাথে আমার এক বন্ধু একটি সিগারেটেরও অর্ডার করেছিল। যে বিষয়টা আমি ভালো চোখে দেখি নি কারণ আমি ধূমপান ব্যাপারটা ছোটবেলা থেকেই পছন্দ করি না।
অর্ডার দেওয়ার ৮ থেকে ৯ মিনিটের মধ্যে আমাদের কফি চলে আসে । কফি পাওয়ার জন্য আমাদের আর বেশি টাইম অপেক্ষা করতে হয়নি। কফির জন্য এই জায়গা বিখ্যাত হলেও কফির কোয়ালিটি তেমন একটা ভালো ছিল না কিন্তু কফির দামটা বেশ ভালই নিয়েছিল। আমাদের কফি খাওয়া শেষ হওয়ার পরে আমরা সেখানে বসে আড্ডা ,গল্প করতে থাকি কিন্তু তখন একটি ওয়েটার এসে আমাদের উঠে যাওয়ার জন্য বলে যেহেতু আমাদের কফি খাওয়া শেষ হয়ে গেছিল তাই । এই ব্যাপারটি আমাদের মোটেও ভালো লাগেনি। খাবারের কোয়ালিটির সাথে এখানকার ওয়েটারদের ব্যবহারও ভালো ছিল না। আমরা তখন আর কথা না বাড়িয়ে সেখান থেকে সবাই মিলে বেরিয়ে আসি। খুব একটা ভালো অভিজ্ঞতা হয়নি আমার সেদিন সেখানে গিয়ে।
বিঃ দ্রঃ ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক এবং ধূমপান ক্যান্সারের কারণ হতে পারে । ধূমপান বা অন্য কোন প্রকার নেশা জাতীয় পদার্থ আমি কখনো সেবন করি না এবং এর সাপোর্টও কোনদিন করি না । আমার এক বন্ধু মাঝে মাঝে ধূমপান করত তাই সেদিন সে সেখান থেকে একটি সিগারেট নিয়েছিল তাই ফটোগ্রাফিতে তার সিগারেটটি দেখা যাচ্ছে।
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: ১৫, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, প্রেসিডেন্সি কলেজের কাছে, কলেজ স্ট্রিট, কলকাতা ।
ইন্ডিয়ান কফি হাউসে কফি খেতে গিয়ে সেই দিন যা যা অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা আজকের ব্লগে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম । আজকের ব্লগটি আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন। এতটা সময় দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ । সবাই ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন , সুন্দর থাকেন ,হাসিখুশি থাকেন , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকেন , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।
কফি হাউজের খাবারের মান আমার কাছেও তেমন একটা ভালো লেগেছিলো না। তাছাড়া এত মানুষ এর ভিড় সেখানে তো গরম হবেই। আপনারা বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন কফি ছাড়া অন্য কোন খাবার অর্ডার দেননি। কফি হাউজের কফিটাই যদি ভালো না হয় তাহলে সেখানে গিয়ে লাভ কি। এই কফি হাউজটা মূলত চলে এর নামের জন্য। নিজে ধূমপান করা আর ধুমপানকারীর পাশে বসে থাকা সমান। যাইহোক আপনার শেষের ছবিটি আমার কাছেও আছে। এই কফি হাউজে গেলে সবাই মনে হয় এই ছবিটি তোলে।
কফি ছাড়া অন্য খাবারের অর্ডার দিলে শুধু শুধু অনেক বেশি টাকা নষ্ট হতো। যা নষ্ট হয়েছে চার কাপ কফির উপর দিয়ে গেছে। আমি এর আগেরবার যখন গেছিলাম এখান থেকে চাওমিন অর্ডার করেছিলাম । সেই চাওমিন খেতে পারিনি ফেলে রেখে চলে আসতে হয়েছিল। এটাই সত্যি কথা মানুষ ছবি তোলার জন্যই ওইখানে যায়।
এইটাই সমস্যা দাদা। একবার যদি নাম হয়ে যায় তাহলে তাদের কফির কোয়ালিটি আর ভালো থাকে না। গতদিনের পোস্ট পড়েছিলাম আমি ভালো লেগেছিল।আজকের পর্বটাও ভালো লাগল। সত্যি ধুমপান আমাদের বর্জন করা উচিত।।
এই কফি হাউস বছরের পর বছর নামেই চলছে । দিনে দিনে এদের নাম যত বেড়েছে , এদের কফির কোয়ালিটি ততটাই খারাপ হয়ে গেছে।
কফি হাউস টা দেখতে যেমন সুন্দর কিন্তু আপনার কাছে শুনে মনে হচ্ছে কফি হাউজের খাবারের মান মোটেই ভালো না। আমি তো ভেবেছিলাম এখানকার খাবারের মান অন্তত কফির মান উন্নত হবে। যাইহোক বুদ্ধিমানের কাজ করে শুধু কফির অর্ডার করেছিলেন। ঠিক বলেছেন ভাইয়া ধূমপান সকলের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।তাই এটি এড়িয়ে চলা ভালো।
না আপু এখানে গিয়ে আমার মোটেও ভালো এক্সপেরিয়েন্স হয়নি। এদের কফি, সেই সাথে এখানকার ওয়েটারদের আচার ব্যবহার সবকিছুই খারাপ ছিল। নামেই শুধু কফি হাউস, কাজে না।
কফি হাউসে গিয়ে বসার জায়গা পাওয়া রীতিমতো ঝামেলার। কখন নীচে বসতে পারবে না, গিয়ে সেই উপরে বসতে হবে। তাছাড়া কফি হাউসের কফি খুবই অখাদ্য। খাবার গুলোর মান তেমন ভালো না। শুধুই নাম।
এরা যা কফি বানায় দাদা আমার খাওয়া সব থেকে বাজে কফির তালিকার প্রথম নাম্বারে পড়ে। মাঝে মাঝে তো ভাবি এত বাজে কফি বানানোর পরও এত কি করে চলে এদের এই কফি হাউজ? আমি এর আগেও গেছি সেই সময়ও একই অবস্থা অখাদ্য কফি আমাদের পরিবেশন করেছিল। এইবার এখানে আমার কোন যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না কিন্তু কাছের কিছু বন্ধুরা অন্য রাজ্যে চলে যাবে পড়াশোনার জন্য তাই তাদের রিকোয়েস্টে গেছিলাম সেদিন।
নাম দিয়েই চলে। আর কিছু না।
বন্ধুদেরকে নিয়ে বরং রাস্তার ধারের চায়ের কাকার কাছে খেতে। অনেক ভালো। কফি হাউস শুধু টাকার অপচয়।
পরে তাই করতে হয়েছিল দাদা আমাদের। কিন্তু তার আগে কিছুটা টাকা অপচয় করা হয়ে গেছিল আরকি।
দাদা আমার আগে তো আমার ভাই দিয়ে দিল। হা হা হা... যাইহোক কোন ব্যাপার না আমি কিছুদিন পরে পোস্ট করব.
শুধু যদি পোস্ট বানাতে যাও তাহলে বলবো যেন না। টাকার অপচয় শুধু 😝।
যা করেছি, বেশ করেছি, করবই তো.... কোথায় যেন এই ডায়লগটা শুনেছিলাম আজ হঠাৎ করে মনে পড়ে গেল। হি হি হি....🤣🤣😂@rupaie22
খুব ভালো লাগছে তুমি সুস্থ হয়ে গেছো মোটামুটি এটা শুনে। তবে কফি হাউজের কথা কি বলব, কফি হাউজ আর আগের মত কফি হাউজ নেই। খুব গোলমেলে একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে সেখানে। খাবারের কোয়ালিটি তো খুবই খারাপ। আর কফির কথা কি বলবো সেটা তো মুখেই দেয়া যাবে না বললেই চলে। আমি যতবারই গিয়েছি আমার অভিজ্ঞতা সবসময় খারাপ ছিল। আমার তো মনে হয় ওর থেকে ফুটপাতের কফি খেতে আরো বেশি ভালো।
ভাইয়ের শরীর ঠিক হয়েছে কিনা সেটা তুমি জানো না? খিক খিক 🤣
সব কিছু জানিতো দাদা। কমেন্ট এ লিখলাম আর কি। হা হা হা... আমার ভাই আমি না জানলে আর কে জানবে বলো।
@rupaie22 এত কমেন্টে না লিখে আমার জন্য এক কেজি আপেল আর দশটা কমলা লেবু কিনে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন।
সম্পূর্ণ কথার সাথেই একমত। কফি হাউজে যারাই গেছে কারো অভিজ্ঞতা ভালো শুনে নি কিন্তু তারপরও তারা যায়।