আমার বাংলা ব্লগ। ঈদুল আযহার ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার অনুভূতি। ১০% beneficiary shy-fox এর জন্য।
চলুন যাওয়া যাক মূল পর্ব।
 |
|---|
এটা হচ্ছে আমার মনসুর ভাই ভাবি এবং ভাতিজি আপনাদেরকে বলে রাখি আমার স্ত্রী কখনো ক্যামেরার সামনে আসে না এবং কি সে খুব পর্দাশীল নারী আর আমি হচ্ছি শয়তানের হাড়ি তাই আমি আপনাদেরকে আমার ম্যাডামকে দেখাতে অপারোক।
ঈদুল আযহার ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার অনুভূতি।
আমরা সবাই জানি প্রত্যেকটা মানুষের জীবন এক একটা বিশাল মহাযুদ্ধ ক্ষেত্র। আবার সেই যুদ্ধক্ষেত্রে কখন কে কোন বিপদেশে পড়ে বলা মুশকিল। তেমনি ঈদের সপ্তাহখানেক আগে থেকে আমার উপর দিয়ে শুরু হয়ে গেল মহাপ্রলয়। তবুও থেমে নেই জীবন যুদ্ধে এবং কি জীবন বাঁচিয়ে রাখার জন্য দৈনিন্দ্য কাজকর্ম অনবরত চালিয়ে যাচ্ছি। এবং কি সেই সাথে নিজের সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টায় চালিয়ে যাচ্ছিলাম। যদিও সমস্যাটা ছিল ডাক্তার এবং রোগীর। কিন্তু সেখানে আমি হয়ে গেছি বলির পাঠা। তাই তো আমার বাংলা ব্লগে আসতে পারেনি। চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না, কিন্তু আমি মানসিকভাবে একেবারেই ভেঙে পড়ে গিয়েছিলাম। তবুও আমার বাংলা ব্লগের পরিবারের দোয়ায় এবং ভালোবাসার টানে আবারো ফিরে আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
বাড়ি যাওয়ার অনুভূতি।
এ বছর ঈদুল আযহা উপলক্ষে আমার কোম্পানিতে বিশাল লম্বা ছুটি দিয়েছিল। ছুটির পরিমাণ ছিল আট দিন, কিন্তু আমার স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে আমি সেই আট দিন ছুটি উপভোগ করতে পারেনি। মাত্র দুই তিন দিন ছুটি করে আবার ফিরে এসেছি ঢাকায়। বৃহস্পতিবার আমার অফিস ছুটি হয়ে গিয়েছিল পাঁচটা বাজে। আমি চাইলে বিকেলে বাড়ির রওনা দিতে পারতাম। বিশাল চিন্তায় পড়ে গেলাম, অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম আমার স্ত্রীকে ঢাকায় ওর মামার বাসায় রেখেই আমি বাড়িতে চলে যাব শুক্রবারে। প্লান ছিল ওকে ওর মামার বাড়ি সকালবেলায় দিয়ে আমি বের হতে হতে হয়তো দুপুর গড়িয়ে যাবে। কিন্তু আল্লাহ যদি ইচ্ছে করে সেটা কি বান্দা ঠেকাতে পারে।
ভোর সাড়ে পাঁচটা বাজে মোবাইলে রিং হচ্ছে, ঘুম ঘুম চোখে মোবাইলটা রিসিভ করলাম। ওপার থেকে কল আসলো কেমন আছিস বাড়ি যাবি না। তবে জিনি ফোন করেছিলেন তিনি ছিল আমার শ্রদ্ধেয় বড় মামাতো ভাই মনসুর ভাই। মনসুর ভাই তার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছে এবং ফোনে বলতেছে আমাদের গাড়ি খালি তুই যদি যাস রেডি হয়ে তাড়াতাড়ি বের হও। আমি অবাক হয়ে গেলাম, বললাম আমি যাই না যাই ঠিক নেই, আমার যেতে হয় তো দেরি হবে। তখন ভাইয়া বলল আমার অফিসের গাড়ি একেবারেই খালি আমি তোর ভাবি আর তোর ভাতিজী ছাড়া আর কেউ নেই। তুই চাইলে আমাদের সাথে যেতে পারিস। তখন আমি বললাম আপনাদের বৌমা ও তো আছে, তখন ভাইয়া বলল সমস্যা কি গাড়ি তো আর ছোট নয়, চলে আয়।
সকল প্লান প্রোগ্রাম ক্যান্সেল করে তাড়াহুড়ো করে আমার স্ত্রী সহ আধা ঘন্টার ভিতরে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম। বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে তখন যেমন তাড়াহুড়ো করছিলাম, তেমনি মনে অকটা আনন্দ হচ্ছে। এত বেশি আনন্দ উপভোগ করব সেটা কল্পনায় ছিল না। তবে ভালই ভালই ভাইয়ের সাথে যেতে পারছি আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করে শেষ করা যাবে না। অবশেষে অপেক্ষার পালা, রাস্তার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম, ভাইয়া গুলিস্তান ফ্লাইওভারের আটকা পড়েছে, যাওয়ার জ্যাম ফ্লাইওভার পর্যন্ত। ভাইয়া আসলো ঢাকা শনিআখরা থেকে ভাইয়ের সাথে একসাথে রওনা দিলাম। যেতে যেতে হাজার কথা হাজারো গল্প আনন্দের শেষ ছিল না।
তবে বাড়ি যাওয়ার আনন্দটুকু ক্যামেরা বন্দি করতেও ভুলিনি। তাইতো আপনাদের মাঝে বাড়ি যাওয়ার আনন্দের সময়টুকু শেয়ার করতে পারছি। অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম বাড়ি যেতে যেতে এবং কি বাড়ি গিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে অনেক ফটোগ্রাফি করেছি। এবং সেগুলো আপনাদের সাথে ধারাবাহিকভাবে শেয়ার করব। আজকে দেখে নিন আমার বাড়ি যাওয়ার কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত।
 |
|---|
রাস্তায় জ্যাম ভীষণ রোদ ছিল সেই সাথে মেঘের লুকোচুরি দৃশ্যটা বেশ দৃষ্টিনন্দন ছিল।
 |
|---|
রাস্তায় এতো পরিমাণ জ্যাম ছিল যা বলে বোঝাতে পারবো না, গাড়িতে এসি না থাকলে মনে হয় মরে যেতাম।
 |
|---|
বন্ধুরা আপনারা কেউ এই গাছের ফলগুলো চিনেন কিনা আমি জানিনা। তবে আমিও নামটা ভুলে গিয়েছিলাম ভাইয়া মনে করিয়ে দিল। আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় এটাকে কেরণ গাছ বলে। মূলত এই ফলের বীজ থেকে তেল সংগ্রহ করে। রাস্তায় জ্যামে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় গাড়ি থেকে নেমে ফটোগ্রাফি টা নিলাম।
 |
|---|
রাস্তায় জ্যাম ক্লিয়ার হয়ে যাওয়ার পর দৃশ্যগুলো খুব আকর্ষণীয় লাগছিল।
 |
|---|
প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে, জানিনা আপনাদের কাছে কেমন লাগবে।
 |
|---|
সোনালী রৌদ্রের মাঝে ফাঁকা রাস্তায় সামনের লুক টা বেশ দারুন লাগছিল।
 |
|---|
খরতাপে সোনালী রৌদ্রের দুপুরবেলায় ফুটপাতে হেটে যাওয়া মানুষের খন্ড চিত্র।
 |
|---|
আবারো সেই কেরণ গাছ, জানিনা কে কার অঞ্চলে কি নামে ডাকেন। তবে সবার কাছে জানার ইচ্ছে রইল কে কি নামে এই গাছকে চিনেন।
বন্ধুরা কেমন ছিল আমার বাড়ি যাওয়ার অনুভূতি। আশা করি নিশ্চয়ই সকলের কাছে ভালো লাগবে। ভালো-মন্দ কমেন্টে জানাবেন। সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবারো দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
আপনার নিজের মুখে আপনার নিজের গুন কীর্তন শুনে অনেক ভালো লাগলো 😅😅। তবে আমাদের ভাবি কিন্তু অনেক লক্ষী। কোন একদিন ঠিক দেখতে পাবো সেই আশায় আছি। যাই হোক আপনি ঈদের ছুটিতে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং আবারও নিজের কর্মে ফিরেছেন এটাই অনেক। কেরণ গাছ আমার অঞ্চলে ভেন্ডা নামে পরিচিত।
কেরন গাছের নাম ভেন্ডা নামে ডাকেন শুনে খুবই ভালো লাগছে। আর আপনি আমাকে সব সময় খোঁচা মারেন, আর এই খোঁচাটাই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর এই ভালো লাগাটাই অনেক বেশি ভালোবাসায় পরিণত হয়ে গিয়েছে। আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম আপু।
ঈদুল আযহার ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার অনুভূতি গুলো অনেকটা চাঞ্চল্যকর ও ঈদের লম্বা ছুটি পেয়ে বেশ মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি গুলো, চলিত পথের দৃষ্টিনন্দন যাত্রার শভা বাড়িয়ে তুলেছে, এবং গ্রাম্য পরিবেশে বাকরুদ্ধকর সেই অতি চেনা গাছটির দৃষ্টিনন্দন চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করে পোস্টটিকে দৃষ্টিনন্দন করেছে। ছোটবেলায় এই গাছের ফলগুলো দিয়ে আমরা মাথায় ছুড়ে মারতাম। মাথার চুলের সাথে নিখুঁতভাবে আটকিয়ে যেত এই ফলটি। তবে দুঃখজনক ঘটনা হলেও সত্য যে আমিও এই ফলটির নাম জানি না। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি স্মৃতিচারণমূলক পোস্টের জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।
আপনি যে ফলগুলোর কথা বলছেন ছুলে মারেন এগুলো অবশ্যই সেগুলো নয়। চুলে আটকানো গাছের গোটা গুলো অনেক ছোট হয়। তবুও যে আপনি চিনতে পেরেছেন এতেই খুশি। অসাধারণ মন্তব্য দিয়ে উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।