১১-০১-২০২২
প্রসঙ্গঃ"নতুন বছরের প্রথম কলেজে যাওয়ার অভিজ্ঞতা"
আমি @robiul02 বাংলাদেশ থেকে 🇧🇩🇧🇩
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন এপার ওপার দুই বাংলার মানুষ। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। আজ আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে নতুন বছরের প্রথম কলেজে যাওয়ার কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজ মঙ্গলবার। ঘুম থেকে উঠে একটু ফ্রেশ হয়ে হালকা কিছু করে নিলাম। তারপর কলেজ যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে মোটরসাইকেল টা বাইর করলাম। মোটরসাইকেল টা একটু পরিষ্কার করে রহনা দিলাম কলেজ এর উদ্দেশ্য। রাস্তায় দেখি প্রচন্ড কুয়াশা আর ঠান্ডা। রাস্থায় ভালো করে কিছু দেখা যাইতেছে নাহ। আমি মোটরসাইকেল ধীরে ধীরে চালিয়ে গেলাম। আমার কলেজ টি হচ্ছে পার্বতীপুর থানায় অবস্থিত। আমার কলেজ নাম পার্বতীপুর ডিগ্রি কলেজ।
কলেজ গিয়ে পৌঁনছাইলাম দশ টার দিকে। কলেজ এ দেখি কেউ নেই। কলেজ মরুভূমির মতো হয়ে আছে। তারপর আমি মোটরসাইকেল টা গেরেজ এ রেখে দিলাম। একটু কলেজ এর ভিতরে গেলাম। তারপর আমি কলেজ এক কর্মচারীকে দেখা পাইলাম। ওনার কাছে গিয়ে আমি জিজ্ঞেসা করলাম। কোন স্যার বা ছাত্র কেউ নেই কেনো। লোকটি আমায় যে প্রচন্ড ঠান্ডা তাই সবাই লেট করে আসে৷ আমি বললাম ও তাই।
তারপর আমি কলেজর চার পাশ ঘুরে দেখলাম। প্রচন্ড কুয়াশা তাই ঠিক মতো ভালো করে দেখা যাইতেছে নাহ। আর আমাকে প্রচন্ড ঠান্ডা ও লাগতেছে। বেশ উন্নত হয়েছে কলেজটি। অনেক নতুন ব্রিল্ডিং হয়েছে। অনেক সুন্দর করে ডিজাইন করতেছে। কলেজ এর মধ্যে খানে ফুলের বাগান। বেশ সুন্দর ফুল ফুটছে। আমার খুব ভালো লাগলো ফুল গুলো দেখে। অফিসে দুই সাইটে বেশ সুন্দর সুন্দর পাতা বাহারে গাছ। সত্যি অনেক সুন্দর একটা পরিবেশ। আমি এসব দেখতে পেরে খুবেই আনন্দিত।
তারপর আমি একটা গাছে নিচে বসে পড়লাম। অপেক্ষা করতে শুরু করলাম স্যার দের জন্য। প্রায় ১১ টার দিকে স্যারেরা চলে আসলো। কিছুক্ষণ পর কিছু ছাত্র আসলো। কিন্তু যে স্যারের আমার প্রয়োজন সে স্যার এখনো আসেনি৷ তারপর অফিসের ভিতরে গেলাম এক স্যারের কাছে। স্যার কাছ থেকে আমার যে স্যারের প্রয়োজন ওই স্যারের নাম্বার টা নিয়ে ফোন দিলাম। আমি পরিচয় দিলাম আমার, তারপর স্যার আমায় বললো তুমি একটু বসো আমি আসতেছি।
কিছুক্ষণ পর স্যার চলে আসলো। আমি স্যারের কাছে গেলাম। তারপর আমি স্যারকে বললাম স্যার আমার প্রাশাংসা পত্র তুলতে হবে ৷ স্যার বললো একটু বসো আমি দিতেছি। তারপর আমি অন্য স্যার গুলো সাথে একটু করে কথা বললাম। কিছুক্ষণ পর আমায় ডাকলো স্যার৷ আমি গিয়ে এক সাক্ষর করলাম আর একশো টাকা দিয়ে দিলাম। স্যার আমায় কাগজটি দিয়ে দিল। তারপর আমি স্যারের সাথে এমনি কিছু কথা বলে অফিস কক্ষ থেকে বাইরে আসলাম। তারপর মোটরসাইকেল টা গেরেজ থেকে বাইর করে বাড়ির উদ্দেশ্য রহনা দিলাম। আজকে মতো এখানে শেষ করলাম।
আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আমার পোষ্টটি পড়ে। কোন রকম ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন। সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন ও নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
ধন্যবাদ জানাই "আমার বাংলা ব্লগ" সকল সদস্যদের।
ভাই সকাল বেলা বাইক চালানো খুবেই কষ্টকর। আর আপনি এতো সকালে বাইক না চলাতেও পারতেন।আমি পার্বতীপুর ডিগ্রি কলেজ কখনো যাই নি।তবে আপনার উপাস্থাপনের মাধ্যমে কলেজটি দেখার সৌভাগ্য হলো। এ জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া আমাকে উৎসাহিত করে আমার পাশে থাকার জন্য।
নতুন বছরের প্রথম কলেজে যাওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপনি। আপনার কলেজ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগলো। অনেক অনেক শুভ হোক আপনার কলেজ জীবন।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমাকে উৎসাহিত করে আমার পাশে থাকার জন্য।