[ফোটোগ্রাফি পোস্ট] প্রোফেসর শঙ্কু পার্কে একদিন : পর্ব - ০১
গতকাল ছিল রোববার । প্রত্যেক রবিবারটায় টিনটিনকে নিয়ে একটু ঘুরতে বের হই । তো, গতকাল বিকেলে ভাবলুম যে যাই প্রোফেসর শঙ্কু পার্কে একটু ঘুরে আসি টিনটিনকে নিয়ে । এই পার্কটায় আগে কোনোদিন যাওয়া হয়নি, কিন্তু পার্কটির কথা শোনা ছিল আগে ।
সত্যজিৎ রায়ের অনবদ্য সৃষ্টি প্রোফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কুর নামে পার্কটি । এটি মূলত একটি ফ্যান্টাসি পার্ক । সত্যজিতের কল্পবিজ্ঞান সিরিজের প্রায় সব ক'টি গল্পের নায়ক এই প্রোফেসর শঙ্কু । খুব ছোটবেলা থেকে শঙ্কু পড়েছি আমি । আমাদের ছেলেবেলায় প্রফেসর শঙ্কু যেমন পপুলার ছিল বর্তমানেও ক্ষুদে বই পোকাদের কাছে শঙ্কু সমান ভাবে আদৃত ।
জীবনের পড়া প্রথম শঙ্কু কাহিনী ছিল "প্রোফেসর শঙ্কু ও রোবু" । পড়ে একদম যাকে বলে আনন্দে উদ্বেলিত হিয়া । আমার পড়া প্রথম শঙ্কু বই হলো "প্রোফেসর শঙ্কুর কান্ডকারখানা" । তাই আমার ছোটবেলার হিরোর নামে এই ফ্যান্টাসি পার্কে যাওয়ার জন্য আমিও খুব আগ্রহান্বিত ছিলাম ।
শঙ্কু পার্কটা বাড়ি থেকে খুব একটা দূরে নয় । তাই বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বেরিয়ে ছ'টার মধ্যেই পৌঁছে গেলাম পার্কে । টিকিট কেটে ভেতরে ঢুকতেই দেখি সামনেই একটা বেশ বড় চত্বর । চত্বরের ঠিক মাঝখানটাতে রয়েছে প্রোফেসর শঙ্কুর বিশাল একটা প্রস্তর মূর্তি । মূর্তিকে ঘিরে রয়েছে অনেকগুলো ফোয়ারা । চত্বরের চারিদিকের দেওয়ালে রয়েছে প্রোফেসর শঙ্কুর চিত্র । এগুলো ওরিজিনালি সত্যজিৎ রায়ের আঁকা, এখানে কপি করা হয়েছে ।
চত্বরের পূর্ব কোণে প্রোফেসর শঙ্কুর ল্যাবের অনুকরণে বেশ কিছু গবেষণার সরঞ্জামের ভাস্কর্য রয়েছে । আর পশ্চিম কোণে রয়েছে সেই বিখ্যাত "রোবু", একটি রোবোট যেটা প্রোফেসর শঙ্কু কর্তৃক আবিষ্কৃত ।
সমগ্র পার্কটি মোট ছ'টি অংশে বিভক্ত । পরের পর্বে সেগুলো দেখাবো । আজকে শুধু প্রথম অংশ অর্থাৎ, চত্বরের ছবি শেয়ার করছি ।
প্রোফেসর শঙ্কুর মূর্তি । হাতে এনাইহিলিন পিস্তল, পাশে বেড়াল নিউটন ।
তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
প্রোফেসর শঙ্কুর দেওয়াল চিত্র ও অলঙ্করণ ।
তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
প্রোফেসর শঙ্কুর আবিষ্কৃত সেই বিখ্যাত রোবু।
তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ২০ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
প্রোফেসর শঙ্কুর ল্যাব ।
তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ২০ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)
তারিখ : ২৮ আগস্ট ২০২৩
টাস্ক ৩৬৯ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 86b72e247bbe4d46bd360015ae4d2fd0aaf9b0bdc808f7ae6321fb6ab864b6fd
টাস্ক ৩৬৯ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছোট বাচ্চাদের কে নিয়ে আমাদের সকলেরই উচিত ছুটির দিনে বের হওয়া । আপনি ভালই করেছেন সব সময় টিনটিনকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে যান । আর পার্কে গেলে বাচ্চারা তো অনেক খুশি হয় । ছোটবেলার যাকে হিরো মনে করতেন তার নামের পার্কে যাওয়ার মজাই আসলে আলাদা সেখানে গেলে সব কিছু দেখে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করবে । যেগুলো বইয়ে পড়েছেন সেগুলোই চোখের সামনে দেখা যাবে । প্রফেসর শঙ্কুর মূর্তির থেকে বিড়াল নিউটনকে বেশি ভালো লাগছে দেখতে । প্রফেসর শঙ্কুর বিখ্যাত রোবুও তো দেখছি পার্কে রয়েছে । অনেক ভালো লাগলো দাদা প্রফেসর শঙ্কুর পার্কের ভেতরটা ।
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
বাহ্ দাদা দারুন তো আপনাদের শঙ্কু পার্কটি । প্রোফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কুর বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু ছবি দিয়ে আজকের পোস্টটি সাজিয়েছেন দেখছি। যদিও আমি উনার নাম এর আগেও শুনেছি। কিন্তু তার বই আমার পড়া হয়ে উঠেনি। কিন্তু আপনি আজ বেশ দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন দেখছি। টিনটিন সোনা নিশ্চয় বেশ মজা পেয়েছিল, তাই না? ধন্যবাদ দাদা আমাদের কেও প্রোফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কুর নামে পার্কটি দেখার সুযোগ করে দেওয়ায়।
প্রফেসর শঙ্কু পার্ক তো আপনার বাসার মোটামুটি কাছেই দাদা। মাঝে মধ্যে বিকেলে পার্কে ঘুরতে গেলে দারুণ লাগে। কাছাকাছি হলে যখন তখন যাওয়া যায়। প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকার হয়েছে দাদা। তবে প্রফেসর শঙ্কুর মূর্তি এবং রোবটের ফটোগ্রাফি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
প্রিয় দাদা, আমাদের অত্যন্ত প্রিয় টিনটিন বাবুকে নিয়ে রবিবারে প্রোফেসর শঙ্কু পার্কে ভ্রমণ করে খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।প্রোফেসর শঙ্কুর মূর্তিটি দেখতে সত্যিই অনেক সুন্দর লাগছে।
পরিবারের যারা ছোট সদস্য আছে তাদেরকে সপ্তাহে একদিন হলেও বাইরে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাওয়া উচিত।আপনি প্রতি সপ্তাহের মতো এই সপ্তাহের রবিবারে টিনটিন বাবুকে নিয়ে প্রোফেসর শঙ্কু পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন।টিনটিন বাবু সেখানে খুবই সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছে।পার্কের পরিবেশটা দেখে তাই বুঝতে পারলাম। তাছাড়াও এখানে অনেক আগের দিনের কিছু ভাস্কর্য আছে যা দেখে টিনটিন বাবু এসব সম্পর্কে নিশ্চয়ই অনেক কিছু জানতে পেরেছে। এবং আমাদেরকেও কিছু তথ্য শেয়ার করা করেছেন।পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
আশা করি টিনটিন এর চোখের সমস্যাটি ভালো হয়ে গিয়েছে। সেজন্যই রবিবারে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়ের পার্কে জায়গাটির বিভিন্ন দৃশ্য গল্প আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ভালই উপভোগ করলাম। যেটা আমাদেরও পরোক্ষভাবে দেখা হয়ে গেল। পরবর্তী পর্বে পার্কের আরো সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাবো আশা করি।
ছুটির দিন টিনটিন বাবুকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে ভালোই করেছেন।ছোট বাচ্চাদেরকে সময় দিতে হয়।আর গেলেন তো খুব সুন্দর একটা পার্কে।প্রোফেসর শঙ্কু পার্কের ভেতরটা তো চমৎকার দেখতে।আপনি মোট ছয়টি পর্বে ফটোগ্রাফি শেয়ার করবেন।আশাকরি সামনের পর্বে আরো কিছু দেখতে পাবো।সময়টাকে খুব উপভোগ করেছে আশাকরি টিনটিন সোনা।ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করে আমাদের দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
প্রফেসর শঙ্কু পার্কের চমৎকার বেশ কিছু ছবি নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট সাজিয়েছেন দাদা। সত্যিই সত্যজিৎ রায়ের চমৎকার আবিষ্কার এই প্রফেসর শঙ্কু। যাইহোক টিনটিনকে নিয়ে বের হয়ে চমৎকার এই পার্টিতে দারুন সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারলাম এভাবে বাচ্চাদের শেখার মত জায়গা গুলোতে ঘুরিয়ে আনতে পারলে তাদের পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশ ঘটবে। অনেক ধন্যবাদ দাদা চমৎকার পোস্টটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।