ভ্রমণ পোস্ট: বন্ধু সহ বিকেল বেলা বাইকে করে ঘোরাঘুরি (১০% shy-fox এবং ৫% abb-school)
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
সোমবার,২০ অক্টোবর ২০২৩ ইং
হ্যালো বন্ধুরা আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে ও আপনাদের সাথে বিকেল বেলার ঘোরাঘুরির কিছু ফটোগ্রাফী শেয়ার করবো। আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের ফটোগ্রাফী গুলো অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।
আমি এবং আমার বন্ধু সহ ভাবলাম আজকে বিকেল বেলা কোথাও ঘুরতে যাবো।তাই আমি তাকে বললাম যে, তোমার বাইকটা বের করো আজকে বিকেল বেলা একটু ঘোরাঘুরি করবো। তারপর আমরা বন্ধু কিছুক্ষণের মধ্যেই তার বাইক নিয়ে আমার কাছে চলে আসলো। আমি ও বাইকে উঠে পড়লাম। তারপর ভাবলাম,যে কোথায় যাবো আমরা! তার পর আমি তাকে বদরগঞ্জ পৌরসভা যাওয়ার কথা বললাম।সে আমার কথা শুনে বদরগঞ্জ পৌরসভার উদ্যেশে যাইতে শুরু করলো। আমাদের বাসা থেকে বদরগঞ্জ পৌরসভা প্রায় পনেরো কিলোমিটারের অধিক,তাই যাইতে প্রায় আধা ঘন্টা লাগে। বিকেল বেলা রাস্তা অনেক বেশি ফাঁকা ছিল,তাই আমাদের যাইতে বেশি সময় লাগছিল না।আর বদরগঞ্জ পৌরসভা পর্যন্ত রাস্তাটি ছিল গ্ৰামের ভিতর দিয়ে।
কিছুদূর যাওয়ার পর আমরা একটি বিশাল ব্রিজ দেখতে পাইলাম। ব্রিজটির নাম হলো ইরশাদ ব্রিজ।আর নদীটির নাম হচ্ছে যমুনাশ্বরী নদী।নদীটি আকারে অনেক বিশাল। নদীটিতে অনেক মানুষ মাছ ধরতেছে। আমরা ব্রিজে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ তাদের মাছ ধরা দেখলাম, তারপর আমি আর আমার বন্ধু কয়েকটি ছবি উঠাইলাম। বিকেল বেলা ছবি গুলো বেশ দারুন উঠেছিল। ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে আমাদের বেশ অনেক ভালো লাগছিল,তাই আমরা ব্রিজের উপর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। বিকেল বেলা এমন পরিবেশে দাঁড়িয়ে থাকতে কার ভালো না লাগে! আমরা বাদেও আরো অনেক মানুষ বিকেল বেলা এই ব্রিজের উপর এসে ভীড় জমায়। এককথায় বিকেল পরিবেশ টা অন্যরকম থাকে এই ব্রিজে।তাই সবাই দূরদূরান্ত থেকে এখানে এসে বসে থাকে। আবার অনেক মানুষ এই নদীতে গোসল করতেছে, তাদের গোসল করা দেখতেও অনেক বেশি ভালো লাগছিল আমাদের। পরিবেশ টা ছিল মনোরম পরিবেশ।
তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা বদরগঞ্জ পৌরশহরের ভিতরে প্রবেশ করলাম। প্রবেশ করেই আমরা দেখতে পেলাম, আজকে শহরের অলিতে গলিতে,রাস্তায় সব জায়গায় অনেক ভীড়। কেননা বর্তমানে বদরগঞ্জে দূর্গা পূজার মার্কেট করতেছে সবাই,তাই একটু বেশি ভীড় লাগছিল। আমরা ভীড়ের মধ্যে একজায়গায় প্রায় আধা ঘন্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম। তারপর রাস্তা একটু ফাঁকা হয়েছিল। তারপর আমরা আমাদের এক বন্ধু কে ফোন করে তাকে বদরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে আসতে বললাম। আমরা আমাদের গাড়িটা রেখে আমাদের বন্ধুর জন্য একটু অপেক্ষা করছিলাম, তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার বন্ধু আমাদের কাছে আসলো। সেখানে গল্প করতে করতে রাত হয়ে গেল,পরে আমাদের অনেক ক্ষুধা লাগছিল, তারপর আমরা একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে অনেক কিছু নাস্তা করলাম। তারপর আমরা রেস্টুরেন্টে বিল দিয়ে বাইরে বের হলাম।বের হয়ে আবার কিছুক্ষণ গল্প করলাম বন্ধুরা সহ। তারপর অনেক রাত হয়ে গেল। এখন আমরা বন্ধুর কাছে থেকে বিদায় নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
ধন্যবাদ সবাইকে
হিন্দু ভাইদের কে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
https://twitter.com/Riyad9424187819/status/1715336374239605037?t=wBV6_lSFEoPlU487FDxikw&s=19