আমার জীবনের প্রথম রেল ভ্রমণের অনূভুতি (১০% shy-fox এবং ৫% abb-school)
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামুয়ালাইকুম, আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে ও আপনাদের সাথে আমার জীবনের প্রথম রেল ভ্রমণের অনূভুতি শেয়ার করবো। আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।
Canva
মূল কাহিনী
আমার জীবনে কিছু কিছু স্মরনীয় দিন রয়েছে তার মধ্যে জীবনের প্রথম ট্রেন ভ্রমণ একটি বিশেষ দিন।এই দিনটি কখনো ভুলে যাওয়ার মতো নয়। আমি শুধু ছোটবেলা থেকেই অন্যদের মুখ থেকে ট্রেন ভ্রমনের কাহিনী শুনতাম অন্যদের থেকে। ছোটবেলায় নানার বাড়িতে গিয়ে আমি ট্রেন যাওয়া আসা দেখতাম, দেখতে আমার অনেক ভালো লাগতো। আমার নানা বাসার সামনেই রেলওয়ে স্টেশন।যখন ট্রেন গুলো খুব জোরে বাশি দিয়ে আসতো তখন আমি আমার নানা বাড়ি থেকে বাহিরে বের হয়ে ট্রেন দেখতে আসতাম।আর আমি সব সময় শুধু ভাবতাম কবে আমি এই ট্রেনে উঠে লম্বা একটি ভ্রমন করতে পারবো। ধীরে ধীরে অনেকটা বড় হয়ে গেলাম।ট্রেন সম্পর্কে সব কিছু ধারণা আমার জানা হয়ে গেল। কিন্তু এখনো আমি ট্রেনে উঠতে পারলাম না।
কিন্তু হঠাৎ একদিন আমাকে ঢাকায় যেতে হবে, কিন্তু কিসের মধ্যে যাবো ভাবতেছি। আমি শুধু একাই যাবো না, আমার সাথে আরো কয়েকজন যাবে, তারা সবাই বললো বর্তমান বাসের টিকিটের মূল্য অনেক বেশি তাই আমাদের কে ট্রেনে করে যেতে হবে।এই কথা শুনার পর তো আমি অনেক খুশি, কেননা এটা আমার অনেক দিনের একটা শখ। এখন ট্রেনের টিকেট কাটার পালা, ট্রেনের টিকেট তিন দিন আগে থেকেই কিনে রাখতে হয়। কেননা তাছাড়া টিকেট পাওয়া যায় না। আমরা সকলেই তিনদিন আগে গিয়ে আটটা টিকেট ক্রয় করলাম। কেননা আমরা আটজন ছেলে যাবো।
এখন তিনদিন পর রাত আটটায় আমাদের ট্রেন রংপুর স্টেশন থেকে রওনা দিবে,তাই আমাদের স্টেশন সন্ধা সাতটার মধ্যেই উপস্থিত হতে হবে,তাই আমরা আটজন ছেলে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যেই রংপুর রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত হয়ে গেলাম এবং টিকেট এর সিট নাম্বার অনুযায়ী সিট খুঁজতে শুরু করলাম। কিছুক্ষণ এর মধ্যেই আমরা আমাদের সীট খুঁজে পেয়ে গেলাম। এখন আমরা সিটে বসে অপেক্ষা করতেছি কখন গাড়ি ছাড়বে! কিছুক্ষণ এর মধ্যেই গাড়ি ছেড়ে দিলো , আমার তো তখন অনেক বেশি ভালো লাগতেছে,কারণ এটাই ছিল আমার জীবনের প্রথম রেল ভ্রমণ।
কিছুক্ষণ পর আবার আমরা দেখতে পেলাম একজন চা বিক্রেতা চা নিয়ে এসেছেন, আমরা আটজন ছেলে আটটা চা অর্ডার করলাম।চা গুলো অত্যন্ত সুন্দর ছিল। জীবনের প্রথম রেল ভ্রমণ তার সাথে আবার চা,ব্যাপার টা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছিলো। দীর্ঘ বারো ঘন্টা পর আমরা ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালাম। এখানে আমার শেষ গন্তব্য স্থান। আমার তো ট্রেন থেকে নামার ইচ্ছে করছে না। তবুও নামতে হবে। আমরা রাত আটটায় গাড়িতে উঠেছিলাম, এবং সকাল আটটায় গাড়ি থেকে নেমেছি।পুরো বারো ঘন্টা সময় লাগছে।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
রংপুর থেকে ট্রেন ভ্রমণে ঢাকায় তাও আবার প্রথমবারের মতো ট্রেন ভ্রমণ।।
তাহলে নিশ্চয়ই আপনি অনেক খুশি হয়েছেন অনেক জল্পনা-কল্পনা ছিল আপনার মাঝে সব উত্তর পেয়ে গিয়েছেন।।
সবকিছু থেকে ট্রেন ভ্রমণ আমার কাছে ও নিরাপদ মনে হয় ভালো লাগলো আপনার অনুভূতির গল্প পড়ে ধন্যবাদ।।
জীবনে প্রথম ট্রেনে করে যাওয়ার অনুভূতির পোস্টটা বেশ ভালোই উপভোগ করলাম পড়ে। ছোটবেলা থেকেই আপনার একটা স্বপ্ন ছিল ট্রেনে ওঠার। দেখতে দেখতে অনেক বড় হয়ে গেলেন, হঠাৎ ট্রেনে করে যাওয়ার কথা শুনে আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। বেশ ভালোই উপভোগ করেছিলেন ট্রেনে যাওয়ার মুহূর্তটা। আর আপনারা সবাই মিলে চা খেয়েছিলেন। সব মিলিয়ে আপনার মুহূর্তটা বেশ ভালোই কেটেছিল বুঝতে পারছি। আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে সম্পূর্ণটা লিখে প্রকাশ করেছেন। জাস্ট অসাধারণ ছিল বলতে হয়।
আপনি তো ছোটবেলা থেকে আশা করে রেখেছিলেন ট্রেনে চড়বেন বড় হয়ে সেই ইচ্ছা পূরণ করলেন ।আমিও তো আশা করে রেখে কাছে যেয়েও আর চড়তে পারেনি। আর চা খেতে খেতে সবাই মিলে ট্রেনে জার্নি করার মজাই মনে হয় আলাদা। শেষ পর্যন্ত আপনার ইচ্ছাটা পূরণ হয়েছে এটা শুনে খুবই ভালো লাগলো।
আপনার জীবনের প্রথম রেল ভ্রমণের অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। আমিও জীবনে একবার ভ্রমণ করেছিলাম সেদিন সব সময় মনে থাকবে। যেহেতু আপনি প্রথমবার ভ্রমণ করেছেন তাহলে নিশ্চয় অনেক উপভোগ করেছেন। আপনার এই দিনের কথা সব সময় স্মৃতি হয়ে থাকবে। ধন্যবাদ সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আপনি আপনার জীবনের প্রথম রেল ভ্রমণের অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, খুব ভালোই উপভোগ করলাম সম্পূর্ণটা। ছোটবেলা থেকেই যেকোনো কিছুর প্রতি ইচ্ছা থাকলে তা যদি পূরণ হয় খুবই ভালো লাগে। আপনার ছোটবেলা থেকে ট্রেনে উঠার শখ ছিল অবশেষে পূরণ হয়েছে এটা দেখে ভালো লেগেছে। ট্রেন যাত্রা খুব ভালোই উপভোগ করেছিলেন তা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম।