ঈদের দিনের সকাল
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। প্রতিদিনের আমি আবারো আপনাদের সাথে নিয়ে হাজির হয়েছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ঈদের আগের রাত প্রত্যেকবার ঘুমাতে অনেক দেরি হয়ে যায়। কারণ মেহেদি দেওয়া সকালের রান্না কিছু কাজ করে রাখার সব মিলিয়ে একটু দেরিতে ঘুমাতে যাওয়া হয়। মেয়েকে মেহেদি দিয়ে আমি মেহেদি দিয়ে সেগুলো শুকিয়ে তারপর রাতে ঘুমিয়েছি। এরপর সকাল হয়েছে বুঝতেই পারিনি এক ঘুমে সকালে ফোনের আওয়াজে ঘুম ভেঙেছে। ফোন হাতে নিয়ে দেখি ছয়টা বেজে গেছে এবং আমার ননদ ফোন দিয়েছে। সকাল সকাল সুন্দর ঈদের শুভেচ্ছা জানালাম। কথা শেষ করে তড়িঘড়ি করে বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হয়ে রান্না ঘরের দিকে দৌড় দিয়েছি সবাই ঘুমাচ্ছে। রান্নাঘরে গিয়ে দেখি আমার শাশুড়ি অনেক আগেই ঘুম থেকে উঠেছে এবং রান্নাবান্নার কাজে অনেকটা গুছিয়ে নিয়েছে আমি গিয়ে বাকিটা শেষ করেছি।
সকালে নাস্তা বানানো শেষ করে আবার নামাজে যাওয়ার জন্য সবাইকে রেডি করে পাঠিয়ে দিয়েছি। তারপর আবারও রান্না বসিয়েছি কারণ নামাজ থেকে এসে সবাই চিকেন বিরিয়ানি খাবে শুধু আমার পরিবারের সকলে না আশেপাশে কয়েকজন কে বলা হয়েছে প্রায় ১৫-২০ জনের জন্য চিকেন বিরিয়ানি রান্না করতে হবে । অনেকটা দৌড়ের উপরেই সময় সকালের সময়টা কেটে গেছে নামাজ পড়ে আসার আগে চিকেন বিরিয়ানি রেডিস সালাদ রেডি সবাই এসে খেতে বসে গেছে কারণ সকালে তেমন ভারী কিছু খাওয়া হয়নি মিষ্টি খাবার খেয়ে সবাই নামাজে গিয়েছিল।
এর মধ্যে আমি আবার ছেলে মেয়েকে গোসল করিয়ে রেডি করে দিয়েছি। কারণ ওদের বাবা এসে যদি দেখে ওরা রেডি হয়নি তাহলে অনেক মন খারাপ করবে। এদিকে আমি রেডি হচ্ছিলাম আর আমার শাশুড়ি সবাইকে খেতে দিয়েছিল।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ধন্যবাদ আপু ঈদের দিনের ব্যাস্ততম সকাল নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আসলে ঈদ দিন গৃহিণীদের অনেক চাপ সামলাতে হয়। বেশ কিছু মানুষের জন্য বিরিয়ানি রান্না করেছেন 😋 আহা বিরিয়ানির নাম শুনলেই খিদে পেয়ে যায়।
যাইহোক পোস্টটি হয়তো আরো একটু বড় হলে ভালো হতো। ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতি ব্যাক্ত করার জন্য।
ঈদের দিন সকালে তো ব্যস্ততার শেষ থাকে না আপু। তারপর আবার ঈদুল ফিতরে তো অনেক বেশি কাজ। কেননা সবাই নামাজে যাওয়ার আগে মিষ্টিমুখ করে। নাস্তা পানি তৈরি করে আবার সবাইকে রেডি করে দিতে হয়। সকাল সকাল যদি এভাবে ঘুম থেকে উঠেই কারো কাছ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা পাওয়া যায় তাহলে তো খুবই ভালো লাগে। ঈদের দিন আপনি সত্যিই অনেক বেশি ব্যস্ত ছিলেন আপু আপনার পোস্ট পরে বুঝলাম। তবে ঈদের দিন বাসায় আত্মীয়স্বজন আসলে আরো বেশি রান্না বান্না করতে হয় এতে আরো বেশি ব্যস্ততা বাড়ে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্ট টি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার পোস্ট টি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ঈদের দিনের সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে ব্যক্ত করেছেন দেখছি। আসলে আমাদের একটু দায়িত্ব বেশি থাকে ঈদের দিনে। একদিকে রান্নাবান্না আরেকদিকে বাচ্চাদের রেডি করানো। এদিকে নিজেরাও একটু ভালোলাগা বলে কথা আছে। তবে বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর সেই অনুভূতিটা জেনে।
ঠিক বলেছেন আপু ব্যস্ততা তো থাকবেই তার মধ্যে ও নিজেকে সময় দিতে হবে।অনেক ধন্যবাদ আপু।
ঈদের দিনের সকালটা সব গৃহিনীদেরই প্রায় সেইম ভাবেই কাটে।আপনি ও ননদের ফোন কলে উঠে গিয়ে সব কাজ, রান্না শেষ করলেন।কারন নামাজ পড়ে এসে সবাই চিকেন বিরিয়ানি খাবেন।সবকিছু খুব সুন্দরভাবে ই হলো।ঈদের আনন্দ খুব সুন্দর ভাবেই উপভোগ করেছেন আশাকরি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
তাহলে তো আপনি ঈদের দিনে বেশ ব্যস্ততার মধ্যে ছিলেন। সত্যিই আপু আমারও এমনই অবস্থা হয় ঈদের দিনে। যেহেতু ঈদের দিন রাতে ঘুমাতে একটু দেরি হয়ে যায় তাই সকালে উঠতেও অনেক বেশি অলস লাগে। তারপরও করার কিছু থাকে না কম ঘুম হলেও উঠে সব কিছু রেডি করতে হয়। অবশেষে আপনি সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে সাজগোজ করলেন বেশ ভালো দেখাচ্ছে।
অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।