সমুদ্রের ছোট মাছের ঝাল ঝাল চচ্চড়ি রেসিপি [10% beneficiary to @shy-fox]
আসসালামুয়ালাইকুম,
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর মেহেরবানীতে সবাই ভালো আছেন।
আবারো চলে এসেছি আপনাদের মাঝে খুবই খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি নিয়ে।আমার আজকের রেসিপি সমুদ্রের ছোট মাছের চচ্চড়ি রেসিপি।
সমুদ্রে মাছে রয়েছে অনেক উপকারিতা গুণ যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি।সমুদ্রের প্রতিটি মাছে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি।আর এই ভিটামিন গুলো আমাদের মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী ভিটামিন।চট্টগ্রামে থাকার কারণে দেশি ছোট মাছ তেমন খাওয়া হয় না।আর দেশি ছোট মাছ গুলো অনেক সুস্বাদু খেতে। রান্না করলে মাছের ঘ্রাণ টা অসাধারণ লাগে। তবে সমুদ্রের ছোট মাছ রান্না করলে যে সুস্বাদু হয় না তা কিন্তু না। সমুদ্রের ছোট মাছ খুবই সুস্বাদু এভাবে যদি চচ্চড়ি রান্না করা হয়। সমুদ্রের ছোট মাছের সাথে বিভিন্ন রকমের মাছ মিশানো থাকে যেমন চেওয়া মাছ, লইট্টা মাছ,পোয়া মাছ এছাড়াও অনেক ছোট মাছ থাকে।আর এই সব ছোট মাছ একসাথে রান্না করলে খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে। আমাদের এলাকাতে শীতের সময় এই সব মাছ বিক্রি করে।এই মাছের সাথে একদমই ছোট ছোট চিংড়ি থাকে।আর এই মাছগুলোর চচ্চড়ি করে রান্না করলে দারুন লাগে খেতে।
যাই হোক অনেক কথা বলে ফেলেছি,তাহলে মূল রেসিপিতে ফিরে যাই। কিভাবে আমি সমুদ্রের ছোট মাছ দিয়ে চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করেছি। তা আপনাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করি।
সমুদ্রের ছোট মাছের চচ্চড়ি তৈরির উপকরণ | সমূহ |
---|---|
সমুদ্রের চোট মাছ | ২০০ গ্রাম। |
পেঁয়াজ | ২ টি। |
কাঁচা মরিচ | ৫-৬ টি। |
আদা,রসুন বাটা | ১ চামচ। |
লাল মরিচ গুঁড়া | ১ চামচ। |
হলুদ গুঁড়া | হাফ চামচ। |
জিরা,ধনিয়া গুঁড়া | হাফ চামচ। |
সয়াবিন তেল | ৬ চামচ। |
লবণ | স্বাদ মত। |
ধনে পাতা কুচি |
প্রস্তুত প্রণালী :
প্রথম ধাপে আমি সমুদ্রের ছোট মাছগুলো ভালো করে কেটে নিব।মাছ ভালো করে কাটা হলে,ধুয়ে একটি ঝাঁকুনিতে রেখে দিব মাছের পানি ঝরার জন্য। এবার আমি একটি বাটিতে এক চামচ আদা,রসুন বাটা দিয়ে দিব।আদা রসুন বাটা দেওয়া হলে, প্রথমে আমি লাল মরিচ গুঁড়া,হলুদ গুঁড়া, জিরা ধনিয়া গুঁড়া এবং স্বাদ মত লবণ দিয়ে ধুয়ে রাখা সমুদ্রের ছোট মাছগুলো বাটিতে ঢেলে দিব।
ধুয়ে রাখা ছোট সমুদ্রের মাছগুলো সব উপকরণের সাথে ঢেলে দেওয়া হলে,এবার হাতের সাহায্যে সব মসলার সাথে ভালো করে মাখিয়ে নিব দু মিনিটের মত। দু মিনিট পর মাখানো হয়ে গেলে, দশ মিনিটের জন্য ঢেকে রেখে দিব মসলা মাখানো ছোট মাছ।
দশ মিনিট পর চুলায় একটি প্যানে ছয় চামচ তেল দিব।তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচা মরিচের টুকরো গুলো দিয়ে চুলার মাঝারি আঁচে ভেজে নিব বাদামি রং হওয়া পযর্ন্ত।পেঁয়াজ বাদামি রং হলে, সমুদ্রের ছোট মাছ প্যানে দিয়ে চামচের সাহায্যে নেড়ে চেড়ে ৫ মিনিটের মত তেলের সাথে মাছগুলো কষাব।
৫ মিনিট চুলার মাঝারি আঁচে ছোট মাছগুলো মসলার সাথে তেলে ভাজা হলে, এবার হাফ কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে চুলার মাঝারি আঁচে মাছের চচ্চড়ি রান্না করব।ছোট মাছের চচ্চড়ির ঝোল শুকিয়ে এলে, ধনেপাতা কুচি ছিটিয়ে দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিব।
তৈরি হয়ে গেল খুবই খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ছোট মাছের চচ্চড়ি রেসিপি।এই রেসিপি গরম গরম ভাতের সাথে খেতে কিন্তু বেশ দারুন লাগে। আমি সমুদ্রের ছোট মাছের চচ্চড়ি রেসিপি গরম ভাত দিয়ে খেতে পছন্দ করি।
বন্ধুরা, আমার তৈরি করা সমুদ্রের মাছের চচ্চড়ি রেসিপি টি আপনাদের কেমন লেগেছে?
যদি ভালো লাগে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আপনাদের কমেন্ট আপনাদের ভালোবাসা ভালো কাজ করার উৎসযোগায়।
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ঠিক বলেছেন আপু সমুদ্রের মাছে অনেক বেশি উপকারিতা থাকে। কিন্তু সমুদ্রের ছোট মাছ কখনো খাওয়া হয়নি। অনেক নতুন নতুন মাছ দেখছি একসঙ্গে মেশানো এই ছোট মাছের মধ্যে। তাছাড়া আপনি যেভাবে ছোট মাছের চচ্চড়ি করেছেন এবং অনেকগুলো ধনিয়া পাতা দিয়েছেন দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। যেকোনো ছোট মাছ এভাবে রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। দেখতেও বেশ লোভনীয় লাগছে।
চট্টগ্রাম থাকার কারণে দেশি মাছ খুব একটা খান না কিন্তু সামুদ্রিক ছোট মাছ তো খুব বেশি খান যা আমরা খেতে পারি না। এই সামুদ্রিক ছোট মাছ গুলো দেখতে তো ভালোই লাগছে। এ ধরনের মাছ এভাবে চচ্চড়ি করে খেলে মনে হয় ভালই লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজা হয়েছে খাবারটি। আপনি আবার চচ্চড়ির ভিতরে আদা বাটা রসুন বাটা দিলেন আমি অবশ্য কখনো এভাবে বাটা মশলা দিয়ে চচ্চড়ি করি না।চচ্চড়ি গরম ভাত দিয়ে খেতে ভালোই লাগে।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু সাগরের ছোট মাছের চচ্চড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে।আমি তো এই মাছের চচ্চড়ি প্রায় সময় রান্না করে থাকি। কারণ আমার এখানে কক্সবাজারে এই মাছ বেশি পাওয়া যায়।একদম ফ্রেশ মাছ।তবে আপনার মাছের কালারটা রান্নার পরে দারুণ হয়েছে।খেতে অনেক মজা হবে বুঝা যাচ্ছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছোট মাছ বরাবরই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে আর সেটা যদি সামুদ্রিক মাছ হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। আমার অনেকেই আছে এই ছোট মাছগুলো বেশি কাটা থাকার কারণে তেমন একটা খেতে চায় না। তবে আপনার এই ছোট মাছের চচ্চড়ি রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল। মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সমুদ্রের ছোট মাছগুলো আসলে চচ্চড়ি করলে অনেক অনেক সুস্বাদু হয়। তবে এটা ঠিক একটু ঝাল করে চচ্চড়ি করলে বেশি সুস্বাদু হয়, যেটি আপনি আজকে আপনার রেসিপির মাধ্যমে আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি বলেছেন আপু সমুদ্রের মাছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন পাওয়া যায়। তার জন্য এই মাছ আমাদের জন্য অনেক উপকারী। আমাদের এদিকেও শীতের সকালে ছোট মাছ পাওয়া যায়। এটাও ঠিক দেশি মাছের স্বাদই আলাদা। যাই হোক যেহেতু আপনার বাড়ি চট্টগ্রাম তারজন্য ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই। তবে আপনার ছোট মাছের চচ্চড়ি দেখে তো খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আমরাও এভাবে ছোর মাছ রান্না করি তবে আমি আরও একটু বেশি কড়া করে ভেজে খাই। গরম ভাতের সাথে এই রেসিপি জমে ওঠে। ধন্যবাদ মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
নদীর ছোটমাছ খেয়েছি অনেক। কিন্তু সমুদ্রের ছোট মাছ কখনো খাওয়া হয়নি। কারণ অবশ্য আশপাশে কোনো সমুদ্র নেই। তবে মাছগুলো দেখতে বেশ দারুণ লাগছে। সমুদ্রের ছোট মাছের চচ্চড়ি রেসিপি টা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।