ড্রিম হলিডে পার্কে টুর || পর্ব - ৪
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। আজ রবিবার। যেহেতু এই শুক্রবার ডিউটি করিনি তাই এই সপ্তাহে আমার অফ ডে নাই। সকালে তেমন ঘুমাতে পারিনি। এই কয়দিন ধরে ঘুম ও খুব কম হচ্ছে। কাল থেকে আর আড্ডা দেওয়া যাবেনা। আড্ডা দিতে যেয়ে দেড়ি হয়ে যায় ফলে ঘুম আসতেও দেড়ি হয়ে যায়। তো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার ড্রিম হলিডে পার্ক টুর এর চতুর্থ পর্ব। আশা করি ভালো লাগবে।
তো সেদিন ভূতের বাড়িতে বেশ ভয় এর মাঝেই ছিলাম। যদিও সব বানানো ভূত, তবে পরিবেশটা এমন ভাবে সেট করা ভয় পেতে বাধ্য আপনি। যেগুলো মূর্তি ভূত ছিলো সেগুলো দেখে হয়তো এতোটা ভয় পাবেন না। তবে কিছু ছিলো ভূতের ড্রেস পরা। আর লাইটিং এমন ভাবে সেট করা যা দেখে খুব ভয় পেয়েছিলাম। ভূত ব্যাটা বেয়াদপ আছে। হাতে ছোট দড়ি এর মতন কি যেনো আছে সেটা দিয়ে পেছন থেকে আঘাত করে আসতে করে। ব্যাথা লাগে না তবে ভয় লাগে খুব। আমি তো ভূতের সামনে ভূতের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে গিয়েছি। যদিও আমাকে কিছু টেকনিশিয়ান মিলে ধাক্কা দিয়েছিলো। ভূতের গায়ে গিয়ে পরেছিলাম। আহ সেখান থেকে বের হয়ে যেনো ভয় থেকে বাচলাম। এবার আমরা সেখান থেকে বের হয়ে গেলাম। সেখান থেকে বের হওয়ার পর সামনে একটা মূর্তি চোখে পরলো। আমরা কয়েকজন কিছু ছবি তুললাম সেই মূর্তির সাথে। কেউ কেউ মজার পোজ দিয়ে ছবি তুললো। সেগুলো আর না দিলাম। হেহে। পরে ঝামেলায় পরে যেতে হবে যে। এবার আমরা সুন্দর একটা যায়গার দিকে গেলাম। সেখানের ভিউটা ছিলো অসাধারন। খুবই সুন্দর একটা ভিউ ছিলো। সেখানে অনেকেই ছবি তুলতে ছিলো। আমিও কিছু ছবি তুললাম। কিছু স্টাইল মেরে। এরপর সজল ভাই ডাক দিলো উপরে যাওয়ার জন্য।
উপরে বলতে পাহাড় এর মতন একটা যায়গা ছিলো। যেখান উঠতে হবে। সেখান থেকে আমরা মেট্রো রেল ধরবো। যা দিয়ে পদ্মা সেতু পার হওয়া যাবে। মানে ঐ রাইড টা এভাবেই তৈরি করা। সেখানে ঝর্নার মতন ছিলো। পানি বেয়ে নামতেছিলো। আর মাঝে মাঝে ফ্ল্যাট পাথর বিছানো ছিলো। যেগুলো বেয়ে উপরে উঠা যাবে। এবার আমরা ধাপ বেয়ে বেয়ে উঠে গেলাম একদম উপরে। উপরে এবার ট্রেন এর জন্য অপেক্ষা। ধিরে ধিরে আমাদের বাকি মেম্বার গুলো সবাই এসে গেলো। এরপর সবাই মিলে ট্রেন এ উঠে গেলাম। পদ্মা সেতু ঘুরে এলাম সবাই মিলে। যাক এবার আমরা সেখান থেকে নেমে গেলাম। আরো অনেক গুলো রাইড এ চরেছিলাম মাঝে দিয়ে। এবার আমাদের সুইমিং করার পালা। আমরা চলেও গেলাম সেখানে। কিন্তু গিয়ে দেখি সেটা বন্ধ। ৩ টার দিকে নাকি চালু হবে। তখন সবাই লাঞ্চ করতে চলে গেলাম। সেখানে স্যার রা কিছুক্ষন বক্তব্য রাখলো। এরপর আমরা খেয়ে নিলাম সবাই। খাবার আইটেম ছিলো মুরগির রোস্ট, টিক্কা আর পলাও। সাথে সফট ড্রিংক্স ছিলো। পেট ভরে খেয়ে বের হয়ে গেলাম সেখান থেকে। এরপর কিছুক্ষন বসে বিশ্রাম নিয়ে আবার কিছু রাইড এ উঠলাম। এবার পালা সুইমিং এর। ৩ টা বাজতেই সুইমিং এর গেট দিয়ে এন্ট্রি দিলাম।
ভেতরে যেয়ে এবার ঝামেলা হলো সবার ব্যাগ আর কাপড় কোথায় রাখবে। তখন আমরা সবাই মিলে বড় একটা লকার ভাড়া করলাম। এবং সবাই সুইমিং এর জন্য নিয়ে আসা জামা কাপড় পরে নিলো। আমিও একটা হাপ প্যান্ট ও টি শার্ট পরে নিলাম। এবার চলে গেলাম পানিতে। যেহেতু শীতের ভিতর ছিলো তাই পানি বেশ ঠান্ডাই ছিলো। তবে আনন্দের কারনে এসব আর খেয়াল ছিলোনা অতটা। পানিতে অনেক রকম এর রাইড ছিলো। সব গুলো ট্রাই মেরেছিলাম। এরপর আমার ফোন একটা ওয়াটার প্রুফ ব্যাগ এ ভরে পানির নিচে নিয়ে অনেক ছবি তোল্ললাম। প্রায় ২ ঘন্টার মতন গোসল করেছি। এরপর সবাই উঠে পরলাম। কারন আমাদের যাওয়ার বাস ছাড়বে ৬ টায়। তখন উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে চলে গেলাম সামনের দিকে। সেখানে ছোট্ট একটা মিটিং এর মতন হয়ে আমাদের বাসে উঠতে বলে। এবার আমরা সবাই বাসের দিকে চলে যাই। এরপর বাস রউনা করে।
এর মাঝেই শেষ হলো আমার ড্রিম হলিডে পার্ক টুর এর গল্প।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এই পার্কে গিয়ে আপনি খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করছেন দেখছি৷ একইসাথে এখানে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু স্থাপনা রয়েছে যেখানে আপনি অবস্থান করেছেন৷ অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিএ শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ একইসাথে সবগুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করার মাধ্যমে অনেক কিছুই আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ আশা করি পরবর্তীতে আরো অনেকগুলো পর্বের মাধ্যমে এই সম্পর্কে আরো অনেক কিছু দেখতে পারবো ও জানতে পারবো৷
আসলেই খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলাম সেদিন।
ড্রিম হলিডে পার্কে টুর পর্ব ৪৷ দেখে বোঝা যাচ্ছে দারূন একটি সময় অতিবাহিত করেছেন ৷ তা ছবি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে ৷ আসলে এ ভুত নিয়ে আমার ছোট বেলার একটা কাহিনী আছে ৷ যা হোক সেটা ব্লগ আকারে শেয়ার করবো ৷ তবে আপনার কাটানো মুহূর্তটা পড়ে বেশ ভালোই লাগলো ৷
জ্বি ভাই সেদিন দারুণ মজা হয়েছিলো।
আপনার ড্রিম হলিডে পার্কে ভ্রমণের আগের পর্ব গুলো দেখা হয়নি। আজকের এ পর্বটি দেখে খুব ভালো লাগলো। বেশ কয়েক বছর আগে আমিও গিয়েছিলাম। তবে এখন অনেকটাই উন্নত। পাহাড়ের মত এই জায়গা গুলো আগে ছিল না। নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। ভূতের বাড়ির পরিবেশটা আসলেই মনের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করে। জিনিসগুলো সেভাবেই তৈরি করা হয়ে থাকে। আপনার কাটানো মুহূর্ত গুলো দেখে ভালো লাগলো।
দেখে নিতে পারেন।। প্রতিটাতে সব কিছু বর্ণনা করেছি।
ভ্রমণ মানে অনেক মজা এবং ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করা। আপনি ভূতের বাড়ি তে গিয়ে দেখি বেশ ইনজয় করেছেন ভয়ও পেয়েছেন। ঘোরাঘুরি বেশ ভালোই করেছেন দেখেই বুঝা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে আজকের পোস্টটা বেশ ভালো লাগলো।
এটা বাস্তব। ভ্রমন মানেই তো মজা। খুব আনন্দ করেছিলাম।