ছোটবেলা বন্ধুদের সাথে আম চুরি করার গল্প// পর্ব-১
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
ছোটবেলা বন্ধুদের সাথে অনেক গল্প আমাদের জীবনে রয়েছে। আর এই গল্পগুলো সত্যি অনেক আনন্দময়। কিছু কিছু গল্প রয়েছে যেগুলো আমরা কোনদিনও ভুলতে পারবো না। আর এই গল্পগুলো আমাদের হৃদয়ের রয়ে যাবে সারাটা জীবন। হয়তো সময়ের ব্যবধানে আমরা অনেক দূরে চলে এসেছি ও অনেক পরিবর্তন হয়েছি। কিন্তু ছোটবেলার কথা মনে করতে পেরে আজও খুবই ভালো লাগে। আর আমাদের সেই গল্পগুলোর কাহিনী যখন আবারো ছোটদের মধ্যে দেখতে পাই তখন খুবই ভালো লাগে এবং সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করতে এসেছি ছোটবেলা বন্ধুদের সাথে আম চুরি করেছিলাম, সেই গল্পটি নিয়ে, আশা করছি এই গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে, তো বন্ধুরা শুরু করা যাক।
তখন সম্ভবত ক্লাস ফোরে পড়াশুনা করি।আমাদের বাড়ির চারপাশে আরো সমবয়সী অনেক বন্ধুরা ছিল। তাদের সাথে স্কুলে যেতাম, প্রাইমারি স্কুলে অনেক আনন্দের সাথে ক্লাস করতাম এবং সকাল সকাল স্কুলে যেতাম এবং গিয়ে যেন আগে বসার চেষ্টা করতাম। তাই বন্ধুদের সাথে অনেক ভালো একটা সম্পর্ক ছিলো আমার।আসলে স্কুল শেষেই বন্ধুদের সাথে নিয়ে সারাদিন খেলাধুলা করতাম। খুবই ভালো লাগতো, আর সেই সময়টা গাছে গাছে আম পেকেছে। আর এই গাছে গাছে দেখে খুবি ভালো লাগতো। আম গাছের নিচে এসে বসে থাকতাম, কখন বাতাসে একটা আম পড়বে, সেই আমটি বন্ধুদের সাথে পারাপারি করে ধরবো। আসলে কে আগে ধরবে, এটা যেন একটা প্রতিযোগিতা ছিলো।
আমাদের তখন আম গাছ ছিল না, যার কারণে আমাদের বাড়ির পাশে রফিক নামে একজন স্যার রয়েছে। সে প্রাইমারি স্কুলের চাকরি করে। সেই স্যারের আমের বাগান ছিলো। সেই বাগানে গিয়ে বন্ধুরা মিলে আমরা আম কুড়াতাম। আসলে পাকা আমগুলো যখন বাতাসে পরে থাকতো সে আমগুলো কুড়ানোর মধ্যে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। আসলে সেই স্যারের দুইটা ছেলে এবং স্যারের বউ ছিল অনেক কড়া মনের মানুষ।আম তলাতে আমাদের থাকতেই দিত না। আম পড়লে তারা ধরে নিয়ে যেত। তাই একদিন আমরা বন্ধুরা মিলে স্কুল থেকে এসে সেই গাছের নিচে বসে রয়েছিলাম।কিছু সময় পরে অনেক বাতাস বইতে ছিল। আর গাছে থেকে পাকা আমগুলো পড়তে ছিল। আর এই সময় আমরা বন্ধুরা মিলে অনেকগুলো আম কড়িয়েছিলাম। আর সেই আম নিয়ে আসতে স্যারের বউয়ের সামনে আমরা পড়ে যাই।
স্যারের বউ যখন আমাদের হাতে এতগুলো আম দেখল। সে অবাক হয়ে গেল এবং তার ছেলেদেরকে ডাক দিল এবং আমাদের কাছ থেকে এসে আমগুলো কেড়ে নিতে বললো। আমরা সেই আমগুলো দিতে রাজি না হওয়াতে। স্যারের বউ আমাদের বকা শুরু করলো আর তার ছেলেমেয়েরা আমাদের কাছ থেকে জোর করে সে আমগুলো নিয়ে নিলো। আসলে এরকম বাতাস এর মধ্যে আম কুড়াতে অনেক কষ্ট হয়েছে। তারপরে যখন আমগুলো কুড়িয়ে বাড়ির দিকে আসতেছিলাম তখন স্যারের বউ আমাদের কাছ থেকে সে আমগুলো কেড়ে নিল। তখন আমার খুবই খারাপ লেগেছে। আমি তখন কান্না করতে কতরে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছি। আসলে তখন খুবি কষ্ট লেগেছে।
ভাই, আপনার স্যারের বউটা মোটেই ভালো ছিল না। যার কারণে তিনি নিষ্ঠুরের মতো আপনাদের হাত থেকে আমগুলো কেড়ে নিতে পেরেছিল। বাতাসে কুড়িয়ে পাওয়া আম কেউ কখনো কেড়ে নেবে না। অথচ স্যারের বউ এই জঘন্য কাজটি করেছিল। তাই আপনার পোস্ট পড়ে আমার কিন্তু খারাপই লেগেছে। তবে যদি আপনার ভাই ও চাচাতো ভাই মিলে প্রতিশোধ নিতে পারে তাহলে আমার কাছে বেশি ভালো লাগবে। আম চুরি করার গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো, তাই পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার সুন্দর মতামত পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে।
আপনার আম কুড়ানোর গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া আমাদের সমাজে কিছু কিছু মানুষ আছে এমন। যাইহোক আপনাদের স্যারের বউয়ের আম গুলো নেওয়া উচিত হয়নি।হয়তো কিছু কথা বলে ছেড়ে দিতে পারত। আর এমন লোকের শাস্তি অবশ্যই দেওয়া উচিত। কারণ ছোট বাচ্চাদের কাছ থেকে আম গুলো কেড়ে নিয়েছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়?
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ