পরিবারের সাথে ঘটে যাওয়া একটি ডাকাতির ঘটনা(পর্ব -১)||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আছি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
ঘটনাটি ২০১৪ সালের,তখন আমরা একটি বাসায় ভাড়া থাকতাম।আব্বুর অফিস থেকে বেশ দূরে আমাদের বাসা ছিল।প্রায় পাঁচ ছয় কিলোমিটার দূরত্বে আরকি।আসলে যেখানে আব্বুর অফিস ছিল,সেখানে কোনো ভালো স্কুল ছিলনা।এজন্য মূলত একটু দূরে বাসা নিয়েছিল আমার পড়াশুনার জন্য।আমি যেই স্কুলে পড়তাম,সেই স্কুলটি বেশ ভালো ছিল।তাই অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়েছিল আমাকে ওই স্কুলে।যখন ডাকাতির ঘটনা ঘটে তখন আমি নবম শ্রেণীতে পড়তাম।ফরিদপুর জেলার মধ্যে প্রথম পাঁচটি স্কুলের মধ্যেই আমাদের স্কুল।বাসাটা একটু ফাঁকা জায়গায় ছিল।যদিও বাজার বেশি দূরে ছিলনা বাসা থেকে।কিন্তু মাঠের মধ্যে একটাই দোতলা বিল্ডিং ছিল আর আশেপাশে কয়েকটি বাড়ি বেশ দূরত্বেই।
ওই বাসায় যাওয়ার ছয়মাসের মধ্যেই ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছিল।বাড়িওয়ালা আঙ্কেল এবং তার ছোট ভাই দুজনেই দুবাই থাকতেন।আর তার দুই মেয়ে,মা এবং স্ত্রী ওই বাড়িতেই থাকতেন।ছোট আঙ্কেলের বিয়ের জন্য দুজনেই দেশে এসেছিলেন।একজন এক সপ্তাহ আগে আরেকজন এক সপ্তাহ পর।যিনি ছোট,তিনি মূলত বিয়ের জন্য এক মাসের ছুটিতে এসেছিলেন।যিনি বড় তিনি আসার সাতদিন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি।ডাকাতেরা তাদের সকল খবর জেনেশুনেই এসেছিল। যেদিন তার ছোট ভাই বাড়িতে আসেন,সেদিন রাতেই ডাকাতেরা হামলা করে।
প্রথমে ডাকাত দলের কয়জন,আমরা যে ফ্ল্যাটে থাকতাম ওই ফ্ল্যাটের ব্যালকনি দিয়ে উঠে জানালার গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করেছিল।আর কয়জন মেইন গেটের তালা ভেঙে।অনেকে এসেছিল প্রায় ১৪-১৫ জনের মতো আর সবারই মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল।যেহেতু ফেব্রুয়ারির শেষের দিকের ঘটনা,হালকা শীত ছিল তখন।যদিও আমরা ওই ফ্ল্যাটে ছিলাম না,তাই আমাদের পরিবারের কোনো ধরনের শারীরিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিলনা।আমাদের ফ্ল্যাটে সেদিন বাড়িওলার বোন ছিল।আসলে ওনাদের দুইটি ফ্ল্যাট ছিল দোতলায়,এক ফ্ল্যাটে ওনারা থাকতেন আর এক ফ্ল্যাটে আমরা থাকতাম।আর নিচের ফ্ল্যাট দুইটি ও ভাড়া দেওয়া ছিল।তিন রুমের ফ্ল্যাটগুলো ছিল বেশ বড়।অনেক জায়গা নিয়ে করা ছিল বাড়িটি।যেহেতু বিয়ের অনুষ্ঠান তাই নিচের ফ্ল্যাটে আমাদের একমাসের জন্য যেতে হয়েছিল।তবে আমাদের মালামাল বেশিরভাগ উপরেই ছিল। যার মধ্যে আলমারি ছিল,আর সেটাই আমাদের বড় ভুল।সব সোনার গয়না রাখা ছিল আলমারির মধ্যে বিশেষ একটি সিন্দুকে।আর ওই বিশেষ জায়গার কথা নাকি কেউ কখনো জানবেনা আব্বু সবসময় বলতো।আলমারি তৈরি করা হয়েছিল একটু ভিন্নভাবে তখনকার সময়ে ।তাই আব্বুর কথা মতো সব সোনার গহনা ওখানে রাখা হয়েছিল।কিন্তু ডাকাতরা যে এসব সিন্দুক সম্পর্কে সবই জানে এটা বুঝলাম সেদিনের পর।লেখাটি বেশ বড় হয়ে যাচ্ছে বন্ধুরা।পরবর্তী পর্বে বাকি অংশটুকু শেষ করবো।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
যারা যেটা করে থাকে তারা সেই বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়। অভিজ্ঞ না হলে কোন কাজ করা যায় না। ডাকাতের কাজ ডাকাতি করা তারা অবশ্যই জানে কোথায় কি পাওয়া যায় এবং কোন জায়গায় কোন জিনিসটা থাকে। ডাকাত বলেন বছর তারা সবসময় সাধারণ মানুষের থেকে একধাপ এগিয়ে থাকে। তা না হলে তারা ডাকাত হলো কিভাবে?। তবে বাড়ির গয়না পাতি সবকিছু এক জায়গায় রাখা ঠিক নয়। ভিন্ন ভিন্ন জায়গা রাখলে এমনটা হতো না।
জি ঠিক বলেছেন একদম,ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় রাখলে অন্তত কিছু থাকতো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পরিবারের সাথে ঘটে যাওয়া ডাকাতির একটি ঘটনা। বাসায় যাওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই ডাকাতের ঘটনাটি ঘটেছিল বেশ দুর্ঘটনা। আসলে আপু ডাকাতদের অনেক অভিজ্ঞতা আছে তাদের চুরি করে অভ্যাস হয়ে গিয়েছে বাড়িতে কোন জায়গায় কি থাকতে পারে তাদের সব জানা। অলংকার গুলো নিয়ে গেছে জানতে পেরে বেশ কষ্ট লাগলো। ধন্যবাদ বিষয়টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ডাকাতি একটি ভয়ংকর জিনিস। জানও মালের ক্ষতি করে একটি পরিবারকে নিমিষেই নিঃস্ব করে ফেলেও মানসিক ভাবে ক্ষতি করে এবং সব সময় আতংকিত করে তোলে।লকারের কথা কেউ জানতো না কিন্তুু ডাকাত জানতো তার মানে এম কেউ ছিলো যে আপনাদের সব কিছু সম্পর্কে অবগত ছিলো।যাই হোক আপনাদের কারো জিবননাশ হয়নি এটাই অনেক। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করে আমাদেরকে জানার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ দিদি মন্তব্যের জন্য।
আপনার পরিবারের সাথে ঘটে যাওয়া ডাকাত দলের একটি ঘটনা আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।মুরুব্বীদের কাছে শুনেছি ডাকাতরা আগে নাকি ডাকাতি করতে আশার আগে বলে আশতো।আপনাদের বাসাই লকারের কথা আপনারা জানতেনা অথচ ডাকাত দলটি জানতো। আপনাদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যা,ওদের এটার উপর পি এইচডি কমপ্লিট।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
নিশ্চয় ডাকাতের দলেরা সেই লুকানো সিন্ধুক থেকে সব গয়না নিয়ে নিয়েছে। তবে জিনিস গেলে জিনিস পাওয়া যায় আপু কিন্তু মানুষ গেলে আর সেটা ফিরে পাওয়া যেত না। আপনাদের ফ্যামিলির কারো শারীরিক আঘাত হয়নি সেটা ভালো। ডাকাতদের চোখে কাউকে মারতেও দ্বিধা করে না।
হ্যা ভাইয়া নিয়ে নিয়েছিল সব।ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য।