ধৈর্য কিংবা সহনশীলতা।
১৫ই চৈত্র , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৯ই মার্চ ২০২৪খৃস্টাব্দ ।
আজ রোজ শুক্রবার
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
ধৈর্যের মাঝেই সফলতা রয়েছে। আসলে আমার জীবনে চলার পথে নানা পরীক্ষা দিতে হয়। অর্থাৎ দুঃখ কষ্ট নানান ঝামেলায় পরতে হয় তাতে যদি আমরা ধৈর্য ধরি তাহলে সফলতা শতভাগ অর্জন করা যায়।ধৈর্য নিয়ে পৃথিবীতে নানা সত্য ঘটনা, কাহিনি রয়েছে।এমনকি অলৌকিক ঘটনা ও রয়েছে। এই ঘটনার প্রধান উদাহরণ হচ্ছে আমাদের প্রিয় নবী হয়রত মুহাম্মদ (সাঃ) তার অনেক ধৈর্য্যর কারনে অনেক কিছু অর্জন করতে পেরেছেন কতই না তার দুঃখ কষ্ট সইতে হয়েছে। তারপর আরো আছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেছেন, জীবনের শেষ অব্দি ধৈর্য হারান নি।
আশে পাশে এমন আরো অনেক ঘটনা রয়েছে ধৈর্য ধারন করে জীবনে উন্নতি করেছেন।আসলে আমাদের সকলের জীবনে দুঃখ কষ্ট স্বাভাবিক, এর মাঝে ধৈর্য ধারন করে টিকে থাকতে হয়।আমার দেখা এমন একটি উদাহরণ হচ্ছে আমার কাজিন তার একটা ছেলে হয়েছে, ছেলেটি স্পেশাল চাইল্ড। কোন কথা বলতে পারে না কথা শুনেও না।
আমার কাজিন অনেক ধৈর্য ধরে ধরে তাকে স্পেশাল ভাবে কেয়ার নিতো আমরা ছেলেটির এক মুহূর্তের কর্ম দেখে বেশ বিরক্ত হতাম কিন্তু আমার কাজিন বেশ ধৈর্য ধরে ধরে তাকে কেয়ার করতো এখন দেখি তার অনেক উন্নতি হয়েছে, সে এখন নিজের কাজ গুলো নিজে করে এমনকি তার মায়ের কাজ গুলো ও অনেক করে দেয়।
আসলে ধৈর্য না থাকলে যেমন উন্নতি অর্জন করা যায় না তেমনি জীবনে অনেক কষ্ট করতে হয়।ধৈর্য ছাড়া জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।জীবনে অনেক বাধা বিপওি আসবেই তখন ধৈর্য ধরে টিকে থাকতে হবে,আমরা অনেকেই ধৈর্য ধরতে না পেরে আত্নহত্যার পথ বেছে নেই কিংবা অনেকেই করে।কিন্তু আত্মহত্যা সহজ সমাধান না। অনেক মেধাবী স্টুডেন্ট ও বিপদে কিংবা দুঃখ কষ্ট না সহ্য করতে না পেরে আত্নহত্যাও করে এতে পরিবারের উপর অনেক প্রভাব পরে।
আসলে জীবনে যতই দুঃখ কষ্ট আসুক না কেন ধৈয ধরে টিকে থাকতে হবে ,তাহলে জীবনের মূল লক্ষ খুঁজে পাওয়া যাবে ,কোন অবস্থাতেই ধৈয্য হারালে চলবে না।
যাই হোক আজকেএই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে । আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
একদম মনের কথা বলেছেন আপু। দুনিয়ার বুকে যারা যত বেশি অবদান রেখে গেছে তার পিছনে রয়েছে ধৈর্য। যার যত বেশি ধৈর্যশক্তি রয়েছে সে ততো প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে এবং সুন্দর জীবন গড়তে পেরেছে। আপনার সুন্দর এই সচেতন মূলক পোস্ট আমাকে মুগ্ধ করেছে। ভারতীয় সজাগ চিন্তাধারা দিয়ে লেখা পোস্টগুলো আমার খুব ভালো লাগে।
ধৈর্য্য ধরলে অনেক অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যায়।ধন্যবাদ
ধৈর্য ধরতে না পারলে কখনো সফলতা আসে না। জীবনকে সুন্দর করতে হলে আমাদের খারাপ সময় গুলোতে ধৈর্য ধরা প্রয়োজন। আপনার কাজিনের কথাটা শুনে ভালো লাগলো। আপনার কাজিনের স্পেশাল চাইল্ড এখন অনেকটাই সুস্থ এটা জেনে খুবই ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপু লেখাগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন খারাপ সময় গুলো ধৈর্য ধরলে সফলতা অর্জন করা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে
ধৈর্যের ফল সত্যি কিন্তু খুবই মিষ্টি হয়। আমরা যদি যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরি, তাহলে সেই ফলটা মিষ্টি হবে। আর আমরা সহজেই পারব অনেক কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে। প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে ধৈর্যের ক্ষমতাটা থাকা উচিত। আমরা ধৈর্য ধরলেই ভালো কিছু অর্জন করতে পারব শেষ পর্যায়ে। অনেকেই রয়েছে যাদের ধৈর্য ক্ষমতা খুবই কম। কিন্তু তাদেরও উচিত সবকিছুতে ধৈর্য ধরা। ধৈর্য এমন একটা জিনিস যেটা মানুষকে ভালো একটা স্থানে নিয়ে আসে। অনেক ভালো লেগেছে আপনার পোস্ট।
আসলেই ধৈর্য এর ফল অনেক মিষ্টি, যতবেশি ধৈর্য তত বেশি মিষ্টি। ধন্যবাদ
একটা মানুষ যদি ধৈর্য না ধরতে পারে, তাহলে কখনো সে সফলতার মুখে পৌঁছাতে পারবেনা। সফলতা কখনো অর্জন করতে পারবে না ধৈর্য না ধরলে। কারণ সফলতার কাছে পৌঁছানোর জন্য অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ সফলতায় আমরা এমনিতেই পৌঁছাতে পারবো না। অনেক বাধা বিপত্তি পার করে সফলতার মুখে যেতে হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন নিজের ভেতরে অনেক বেশি ধৈর্য থাকা। তাই সব মানুষের ভেতরেই ধৈর্য টা থাকা উচিত। এত সুন্দর একটা টপিক নিয়ে পোস্টটি লেখার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আসলেই সফলতার মূল চাবিকাঠি এই ধৈর্য্য।ধন্যবাদ
বেশ ভালো এবং সাজানো গোছানো একটি গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট লিখেছেন ৷ কথায় বলে না যে, ধৈর্যের ফল সু-মিষ্টি হয় ৷ আমাদের জীবনের চলার পথে এই ধৈর্য টা ভীষন প্রয়োজন ৷
আপনার কাজিনের বিষয়টা জেনে ভালো লাগলো ৷ তিনি ভালো কর্ম এবং ধৈর্য ধরেছেন বলেই হয়তো তার ছেলে এখন অবেকটা ভালো ৷
যা হোক সুন্দর একটি পোষ্ট ছিল ৷
আপনি পোস্ট টি পড়েছেন যেনে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে
আমিও সেটাই মনে করি আপু, জীবনে সফলতার মূল মন্ত্র হলো ধৈর্য ধারণ করা। তাছাড়া পৃথিবীতে যত মনীষী ভালো কিছু করে দেখিয়েছে, সেগুলো সবই ধৈর্যের ফলে। আপনার কাজিনও দেখছি যথেষ্ট ধৈর্যশীল আর এই কারণেই হয়তো তার বাচ্চাকে কিছুটা সুস্থ করতে পেরেছে। যাইহোক, সবশেষ এটাই বলতে হয় যে, জীবনে ভালো কিছু করতে গেলে ধৈর্য ধারণ অবশ্যই করতে হবে। ভেঙে পড়া যাবে না, কিংবা আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া যাবে না।
আসলে মনীষাদের ধৈর্য আছে বিদায় তারা সফলতা অর্জন করেছে।ধন্যবাদ
আসলে আমাদেরকে সব সময় ধৈর্য ধারণ করতে হবে। এই ধৈর্যধারণের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনের সফলতা অর্জন করতে পারব৷ কারণ ধৈর্যধারণ করলে সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে তার সুফল দিবেন।৷ আপনার কাজিনও অনেক ধৈর্যশীল ছিলেন ফলে তিনি তার সন্তানকে সুস্থ করতে পেরেছেন৷ যাইহোক ধৈর্যশীল ব্যক্তির পাশে সৃষ্টিকর্তা সবসময় থাকেন। ধৈর্যশীল ব্যক্তিকে তিনি পছন্দ করেন এবং তার এ ধৈর্যের বিনিময়ে তাকে অনেক কিছু দিয়ে থাকে৷
পুরোপুরি এখনও সুস্থ হয়নি তবে আশা করি সে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে।ইনশাআল্লাহ।