আসলে আমি আর সাকিব প্রতিদিন বাহির হই খাওয়ার জন্য বিকালবেলা।আর আপনারা জানেন যে সিলেটে প্রতিদিন বৃষ্টি হয়।বিশেষ করে সন্ধার পর।আমরা বাহির হবার পর দেখি গুরি গুরি বৃষ্টি হচ্ছে।আমরা মূলত চা বা শুকনো খাবার খাওয়ার জন্য বাহির হয়েছিলাম।কিন্তু কৌশিক বললো যে ভাই এক জায়গায় বার্গার অফার দিয়েছে।১০০ টাকায় ৩ টা বার্গার।আমার একটু কৌতূহল হইলো কারন এমনেই আমি সিলেটে এসে এই খাবার খাই না কারন ঢাকার মতো স্বাদ আসে নাই।এর মদ্ধে আবার ১০০ টাকায় ৩ টা বার্গার।অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য আমরা ৩ জন চলে গেলাম সেই বার্গার এর দোকানে।

আসলে এইটা মূলত রাস্তার পাশের ফুড ট্রাক টাইপের দোকান।আমরা যাওয়ার পর ৩ টা বার্গার এর অর্ডার করে নিলাম।আমি আবার একটু আসে পাশে দেখার চেষ্টা করলাম আসলে কেমনে কি।

আসলে দোকানের পরিবেশ মোটামুটি বেশ ভালই।এখানে বার্গার ছারাও পিয়াজু,শিংগারা এবং চিকেন ফ্রাই পাওয়া যায়।আমি আবার সামনে গিয়ে খুব সুন্দর করে একটা ছবি তুলে নিলাম।দেখে বেশ ভালই লাগতেছিল।

দেখতে দেখতেই আমাদেরকে বললো যে আপনাদের বার্গার রেডি।এবং হাতে একটা গ্লবস পরতে বললো যা আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে।কারন অনেক বড় কোনো দোকানে এইরকম গ্লবস দেওয়া হয় না।

দেখতে দেখতেই আমাদের খাবার দিয়ে দিলো।যা ছবিতে দেখতেই পাচ্ছেন।আসলে এই একটা বার্গার দাম পড়েছে ৩৩.৩৩ পয়সা।কারন ৩ টা বার্গার এর দাম ছিল ১০০ টাকা।এর সাথে খুব সুন্দর করে সস দিয়ে দিয়েছিল।আমি মুখে দেওয়ার পর বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে।যদিও কিরকম হবে এইটা ভাবছিলাম।তবে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।যদিও চিজ বেশি দেয়া ছিল।তারপর আমি মনে করি দাম অনুযায়ী আমার কাছে ভালো লেগেছে।

একটা বার্গার খাওয়া পর সবাই আমরা একজনের দিকে তাকিয়ে আছি পরে আমি জিজ্ঞেস করলাম আর নিবা নাকি সবাই কথা বলে না তার মানে আরেকটা করে নিবে।আবার অর্ডার করে খাইলাম।মানে একেক জন ২ করে মোট ৬ টা বার্গার খেয়েছি আমরা।যাইহোক আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।আসলে যে সাইজ ছিল বার্গার এর আমি প্রথমে ভেবেছিলাম যে একবারে ১০ টাকা খেতে পারবো।তবে ২ টা খাওয়ার পর আর জায়গা ছিল না।আসলে চিজ একটু বেশি দেওয়া ছিল।তবুঅ আমি মনে করি এইদামে এইটা বেস্ট ছিল।আমরা খাওয়া শেষ করে বাসার দিকে রওনা দিয়ে দেই।কারন সিলেটের বৃষ্টি কখন আসবে টা বলা মুশকিল।

আর এভাবেই আমি শেষ করলাম আমি আজকের ১০০ টাকায় ৩ টা বার্গার খাওয়ার অভিজ্ঞতা।যানি না কতটুকু তুলে ধরতে পেরেছি আপনাদের মাঝে।যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমার চোখে দেখবেন।সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।দেখা হবে অতি শীঘ্রই।