বিকালে ইদানিং একটু বেশি ক্ষুধা লাগে।প্রতিদিন বাহিরে খেতে হয়।বিকাল বেলা আমার বন্ধু রাজুকে বললাম যে চলো চিকেন চাপ খেয়ে আসি।যেমন কথা তেমন কাজ দুইজন মিলে চলে গেলাম হালাল চিকেন শর্মা লুচি চাপ এর দোকানে।এইটা মূলত বধুন্ধরা আবাসিক এলাকার মেইন গেটে অবস্থিত।খুব ভালো মানের খাবার।বিকাল বেলা থেকে শুরু হয় এখানকার খাবার।আমরা সন্ধার আগে গিয়েছিলাম।

এইটা হচ্ছে ভিতরের পরিবেশ।দেখেই বুঝতে পারছেন যে কি পরিমাণ ভিড় থাকে।আসলে সিটগুলো খুব সুন্দর করে চারদিকে সাজানো।একটা সিট এর জন্য দাড়িয়ে থাকতে হয়।খুব কষ্টে আমরা সিট পাইলাম।

সিট পাওয়ার পর আমরা মেনুর দিকে দেখলাম যদিও ঠিক করে গিয়েছিলাম যে কি খাবো।আমরা মূলত চিকেন চাপ আর লুচি নিয়েছিলাম।যার দাম ছিল ১২০ টাকা।এর সাথে একটা চিকেন চাপ এবং দুইটা লুচি ছিল।দাম অনুযায়ী বেস্ট খাবার এইটা আমি মনে করি।

অর্ডার করে বসে থাকতে ভালো লাগতেছিল না।এই জন্য একটা সেলফি তুলে নিলাম।যদিও একটু পরেই আমাদের খাবার দিয়েছিল।আসলে এখানে খুব অল্প সময় নেয়।কারন সব সময় কাজ চলছে।

দেখতে দেখতে আমাদের চিকেন চাপ চলে আসলো।ভাবলাম যে একটা ছবি তুলে নেই।কারন খুব ক্ষুধা লেগেছিল খাওয়ার জন্য তোর সইছিল না।আর খাবার সামনে রেখে আমি আবার দেরি করতে পারি না।

এইটা হচ্ছে আমাদের সি খাবার।চিকেন চাপ এর সাইজ দাম অনুযায়ী ঠিক ছিল।আর লুচি এর কথা না বললেই নয়।কারন এতো সফট লুচি আমি আগে কখনো পাই নাই।খুব ভালো লাগলো দেখে।এরপর দেরি না করে খাওয়া শুরু কে দিলাম।

আমরা খাওয়া শুরু করে দিলাম। এরপর ৫ মিনিট এর মধ্যে আমাদের খাওয়া শেষ হয়ে গেলো।আসলে ভালো খাবার হইলে খাবার কখন শেষ হয়ে যায় বোঝা যায় না।আসলে আপনারা খেলে বুঝবেন।১২০ টাকা হিসেবে অনেক ভালো খাবার।আমরা খাওয়া শেষ করে আর অতিরিক্ত কোনো লুচি নেই নাই।দুইটা লুচি দিয়ে আমাদের পেট ভরে গিয়েছিলো।এরপর আমরা বিল দিয়ে বাসার দিকে চলে আসি।

আর এভাবেই আমি শেষ করলাম আমাদের চিকেন চাপ খাওয়ার অভিজ্ঞতা।যানি না কতটুকু তুলে ধরতে পেরেছি আপনাদের মাঝে।যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমার চোখে দেখবেন।সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।দেখা হবে অতি শীঘ্রই।