"দিদি দাদার থেকে সারপ্রাইজ উইশ"
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ১৭ ই মার্চ, রবিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও অনেক ভালো আছি। আমি চেষ্টা করি সব সময় নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি বর্তমানে লেভেল তিনে আছি, আমি এখন থেকে আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করবো। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। প্রতিটা মানুষের কাছে এই জন্মদিনের দিন টা অনেক বেশি স্পেশাল হয়। তেমনি আমার কাছেও আমার জন্মদিনের দিনটা অনেক বেশি স্পেশাল। আমার জন্মদিনে দিদি দাদারা উইশ করেছিল না বিধায় মনটা বেশ খারাপ ছিলো। কিন্তু জন্মদিনের পরের দিন তাদের চমকে দেওয়া লেইট উইশ সত্যি আমাকে অনেক বেশি খুশি করেছে। আমার জন্মদিনের পরের দিন দিদি দাদাদের থেকে আমি যেভাবে সারপ্রাইজ উইস পেয়েছি সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
কিছুটা মন খারাপ নিয়েই রাতে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। শুক্রবার কলেজ বন্ধ সে কারণেই ঘুম থেকে ওঠা হল দেরি করে। ঘুম থেকে উঠে একটু পড়তে বসলাম পরীক্ষা চলছে সেই সকালেই পড়তে বসা। পড়তে পড়তে হঠাৎ দেখি ফোনটা বেজে উঠল দেখি ফোনে দাদার নাম্বার থেকে কল এসেছে ফোনটা রিসিভ করতেই দাদা কিছু জিজ্ঞেস না করেই বলল কোথায় তুই ? আমি তোর মেসের পাশে রেস্টুরেন্টে বসে আছি নিচে আয় তো। হঠাৎ এমন কথা শুনে আমি অবাক দাদা হঠাৎ আমাকে রেস্টুরেন্টে কেন ডাকছে!
জানার আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কেন আমি রেস্টুরেন্টে আসবো ? দাদা উত্তরে বলল আসতে বলছি আয় তো ভাবতেছিলাম জন্মদিনটা তো আমার, তাহলে কি দাদা আমার থেকে ট্রিট নিবে! দাদাকে বললাম আমি কিন্তু ট্রিট দিতে পারব না তুই কি আমাকে ট্রিট দিবি ? দাদা বললো হ্যাঁ দিব আয়। রেডি হয়ে নিচে গেলাম রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম রেস্টুরেন্টে ঢুকেই তো আমি অবাক দেখছি দাদার পাশে দিদি বসে আছে।
দিদির এখন যশোরে থাকার কথা ছিল কিন্তু সে আমার সামনে অনেকটা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম । কাল আমার জন্মদিন ছিল দিদি আমাকে শুভেচ্ছা জানায়নি কষ্ট পেয়েছিলাম অনেক, আর আজকে দিদি আমার সামনে আমি সত্যিই অনেক অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আবেগে দিদিকে জড়িয়ে ধরি। অনেক অনেক খুশি হয়েছিলাম আমি তখন। কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থাকলাম মুখে কোন কথা নেই এতটাই খুশি হয়েছি আমি, দিদির দিকে তাকিয়ে থাকলাম অনেকক্ষণ।
তারপর দিদি বলল তুমি খুশি তো ? আমি বললাম হ্যাঁ অনেক খুশি। দিদি বলল কি খাবে বলো ? আমি বললাম তোমার যা ইচ্ছা।দিদি বলল যেটা খুশি নাও তোমার যা ভালো লাগে। আমি আবারো বললাম যেটা ভালো লাগে দাও। দিদি বলল পিৎজা খাবা ? আমি বললাম দাও। তারপর তিনজন মিলে পিৎজা খাওয়া শেষ করলাম। তারপর দিদি আমার জন্য আরো কিছু খাবার কিনে দিবা সেগুলো পার্সেল করে নিয়ে আসলাম। তারপর দিদি চলে গেল বাসায় আমি চলে আসলাম আমার মেসে। যেহেতু পরীক্ষা আমাকে মেসেই থাকতে হবে কি আর করার চলে আসলাম।
সময়টা খুবই অল্প ছিল কিন্তু অনেক আনন্দ দিয়েছিল আমাকে। আমি অনেক অনেক খুশি হয়েছি এত খুশি হয়েছে যে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। মা-বাবার পরে যে মানুষটা আমাকে সবচেয়ে ভালোবাসে সেটা হলো আমার দিদি।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৫ ই মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
যদিও প্রথম অবস্থায় মনটা খারাপ করে বসে ছিলেন পরবর্তীতে অবশ্য আপনার দিদি এবং দাদা ভালোই একটা সারপ্রাইজ দিয়েছে। মাঝে মাঝে সারপ্রাইজ গিফট পেতে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে জন্মদিন উপলক্ষে দিদি এবং দাদার সঙ্গে দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন রেস্টুরেন্টে। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের সকলের মাঝে চমৎকার ভাবে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
দিদি দাদার সাথে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করতে পেরে ভীষণ ভালোলাগা কাজ করছিল। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার জন্মদিনের অভিজ্ঞতা ও পারিবারিক ভালোবাসার বর্ণনা একদম মন ছুঁয়ে যাবার মতো। আপনার লেখায় আপনার পরিবারের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও সম্পর্কের মাধুর্য প্রকাশ পেয়েছে, যা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। আপনার এই সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
পারিবারিক ভালবাসাটা সবার প্রয়োজন। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
প্রথমেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। দাদার ভালোবাসা অফুরন্ত। ভীষণ ভালো লাগতেছে এভাবে আপনাদের সুন্দর একটা মুহূর্ত দাদা দিয়েছে। আপনারা তিনজন মিলে পিজ্জা খেলেন। পিজ্জা খেতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে।খুব কম সময়ের মধ্যে বেশ দারুন একটি সময় কাটিয়েছেন। আপনাদের জন্য শুভেচ্ছা রইল ।
সময়টা খুব কম হলেও দারুণ মুহূর্ত অতিবাহিত করেছি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাহ! দাদা আর দিদি মিলে তাহলে জন্মদিনের পরের দিন বেস ভালোই সারপ্রাইজ দিয়েছে। আগের পোস্ট টা পড়ার সময়েই খটকা লাগছিলো, বোনের জন্মদিন তো ভুলে যেতে পারে না সহজে! আজকের পোষ্ট এ উত্তর পেয়ে গেলাম। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের ভাই-বোনদের মধ্যকার ভালোবাসা দেখে। ভালোবাসার বন্ধন এভাবেই অটুট থাকুক।
দাদা-দিদির এমন ভালোবাসার সারপ্রাইজ আমাকে অনেক বেশি খুশি করেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।
আপনার দাদা ফোন করে রেস্টুরেন্টের ডেকেছিল সাথে আপনার দিদি ও ছিল ।প্রথমে আপনি ভাবলেন জন্মদিন উপলক্ষে আপনার কাছ থেকে টিপস নিবে। আপনি এখনো নেবেল ৩এ আছে দোয়া করি আপনি খুব শীঘ্রই আপনার লেভেলগুলো অতিক্রম করে ভেরিফাইড মেম্বার হবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।