|| রেসিপি: তালের বড়া ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আমার তৈরি একটি রেসিপি নিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরে তালের বড়া খেতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু এটা তৈরি করা বেশ একটা ঝামেলার বিষয় বলে মনে হয়, সেই জন্য সময়ের অভাবে তৈরি করা হয়নি। তবে গতকাল রাতে বাবা দেখলাম একটা তাল কিনে নিয়ে এসেছে। আর বলল, তার নাকি তালের বড়া খেতে ইচ্ছা করছে ।নিজের খেতে ইচ্ছা করলে কিছু তৈরি না করলেও, মা-বাবার খেতে ইচ্ছে করলে তো না বানিয়ে পারা যায় না। তাই গতকাল রাতে বানিয়েই ফেললাম ,তালের বড়া ।চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
এটি হলো আমার আজকের তৈরি রেসিপি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
তাল | ১টি |
চিনি | ২৫০ গ্রাম |
চালের গুঁড়ো | ২৫০ গ্রাম |
নারকেল কোরা | ১ কাপ |
সাদা তেল | পরিমাণ মতো |
প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমেই নিয়ে নিয়েছি আমার প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি - তাল, চিনি, চালের গুঁড়ো আর নারকেল কোরা।
এরপর তালটিকে ভেঙে নিয়ে, তার খোসা ছাড়িয়ে, সেগুলোকে একটি ছিদ্রযুক্ত থালায় ঘষে নিয়ে বড়া তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অংশটাকে বার করে নিয়েছি।
এরপর একে একে তার মধ্যে দিয়ে দিয়েছি নারকেল কোরা , চিনি আর চালের গুঁড়ো। তারপর সব উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মাখিয়ে বড়া তৈরির জন্য ব্যাটার তৈরি করে নিয়েছি।
এরপর বড়া গুলি ভাজার জন্য একটি কড়াইতে পরিমাণ মতো সাদা তেল দিয়ে দিয়েছি । তেল গরম হয়ে গেলে তার মধ্যে বড়ার আকারে ব্যাটার টাকে কেটে কেটে ভাজার জন্য দিয়ে দিয়েছি । আর ভাজা হয়ে গেলেই একটি প্লেটে নামিয়ে নিয়েছি, এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের রেসিপি।
আশা করছি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
পোস্ট বিবরণ | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | realme 8i |
লোকেশন | বনগাঁ |
তালের বড়া নিজ হাতে তৈরি করে কোনদিনও খাওয়া হয়নি। তবে বেশ কয়েকবার খেয়েছি। খেতে বেশ ভালোই লাগে ।বেশিরভাগই আমার নানুবাড়ি থেকে পাঠায়। এইতো কয়েকদিন আগেও খেয়েছি যদিও আমার ভাড়াটিয়া পাঠিয়েছিল। তবে আপনি আপনার বাবার জন্য তালের বড়া বানিয়েছেন যেটি দেখে বেশ ভালো লাগলো আপু। খেতেও ভীষণ মজার হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
নিজের হাতে কখনো তালের বড়া তৈরি না করলেও ,বেশ কয়েকবারই তো এটি খেয়েছেন দেখছি আপু ।আমার রেসিপিটির প্রশংসনীয় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
এখন তাল পাকার সময়। এ সময় বাজারে অনেক তাল পাওয়া যায়। তাল দিয়ে অনেক কিছুই বানানো যায়। আপনি তাল দিয়ে তালের বড়া তৈরি করেছেন। যদিও এখন পর্যন্ত আমার তালের বড়া খাওয়া হয়নি। আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার তৈরি রেসিপিটির প্রশংসনীয় মন্তব্যের জন্য, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
তালের বড়া আমার অনেক পছন্দ। তবে অনেকদিন ধরেই তালের বড়া খাওয়া হচ্ছে না। আপনার রেসিপিটা দেখে একটু টেস্ট করতে ইচ্ছা করছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
চলে আসুন আপু, রেসিপিটা একবার টেস্ট করে যান তাহলে । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
প্রথমে বলি আপু তালের বড়া এত লোভনীয় দেখাচ্ছে সত্যি কালার অসাধারণ হয়েছে। আর ঠিক বলছেন আসলেই নিজের করতে ইচ্ছে না করলেও বাবা-মা রা যদি বায়না করেন তাহলে তৈরি করে নিতে হয়। তাছাড়া সন্তানেরা যদি এমন বায়না করে তাহলে তৈরি করতে হয়। খুব ভালোই করছেন আপু আপনি আপনার বাবাকে পিঠা খাওয়ালেন। আমার তো বেশ ভালোই লাগে তালের রস দিয়ে তৈরি করা পিঠা গুলো।
নিজের জন্য আসলেই আপু কোন কিছুই তৈরি করতে ইচ্ছা করে না। তবে মা-বাবার জন্য তৈরি করেছিলাম এই রেসিপিটি। হ্যাঁ আপু , সন্তানেরা বায়না করলেও ঠিক এমন ভাবেই তাদের আবদার পূরণ করতে হয়।
আপু আমরা সবাই জানি ভাদ্র মাসে তাল পাকে। বছরের এইতাল খেতে ভীষণ ভালো লাগে। তাল দিয়ে রুটি এতই বড়া তৈরি করা হয়ে থাকে। পাশে ধারাবাহিকতায় আপনি তাল দিয়ে বড়া তৈরি করেছেন। তালের বড়া খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। তালের বড়া তৈরি করার প্রত্যেকটা ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি খুব সুন্দর করে বন্যাও করেছেন আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই ,তালের বড়া খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
তাল বড়া আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তালের সিজনে তাল বড়াটি বেশি খাওয়া হয়। মাঝে মাঝেই বাসায় আম্মু তৈরি করেন এই খাবারটি। আপনি প্রতিটা খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন এখন যে কেউ ইচ্ছা করলে এটা দেখে তৈরি করতে পারবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ ভাই তালের সিজনেই এই তাল বড়াটি বেশি খাওয়া হয় । আমার রেসিপিটির প্রশংসনীয় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের এখানে মনে হয় তালের পিঠেই বলা হয়, তালের পিঠা খেতে আমার খুব ভালই লাগে সবাই খুব পছন্দ করেন কিন্তু আমি দুটো বেশি আর খেতে পারি না, এমনিতে খেতে খুব ভালো লাগে।
তালের পিঠার মধ্যে দুধ ব্যবহার করা হয় শুনেছি, তবে তালের বড়ার মধ্যে সেটা হয় না ভাই।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তালের বড়া রেসিপি তৈরি করে। আসলে এই রেসিপি কিছুদিন আগে আমাদের বাড়িতে তৈরি করেছিল খেতে বেশ ভালো লেগেছিল। আমি বিকেল বেলায় যখন রেসিপি খেয়ে বাইরে খেলা খেলতে যাচ্ছিলাম মা আমাকে ডেকে মাথায় অল্প একটু লবণ দিয়ে দিয়েছিল। আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম লবন দেওয়ার কারণ কি। তখন মা বলছিল এলাকায় কিছু ভূত পেত্নী আছে সেগুলো গায়ের সাইটে বসতে পারে তাই লবণ দিয়ে দিলাম। আমি তখন হাসি দিয়ে চলে এসেছিলাম। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
বাহ্! আপনার এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে, নতুন একটা ঘটনা জানতে পারলাম ভাই। ভালো লাগলো জেনে।
এবছর এখন পর্যন্ত তালের বড়া রেসিপি খাওয়া হয়নি ।আপনার তালের বড়ার রেসিপি তৈরি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। তালের বড়া যেটা আমার খুবই পছন্দের । যে খাবারটি এই সময়ে খাইতে পারা যায় ভালো লাগলো আপনার রেসিপি তৈরি দেখে।
আমারও আপনার মত তালের বড়া পছন্দের একটি রেসিপি ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।