|| ছোটো বেলায় ঘটে যাওয়া একটি দুর্ঘটনা ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি, আমার ছোটবেলায় ঘটে যাওয়া একটি দুর্ঘটনা নিয়ে। চলুন তাহলে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
এগারো মাস বয়সে যখন আমি সবেমাত্র হাঁটতে শিখেছি, তখনকার একটি ঘটনা এটি। এর আগেই বলেছিলাম, অনেক বড় একটি পরিবারের সবচেয়ে ছোট্ট সদস্য ছিলাম আমি। ছিলাম বললাম কারণ, এখন আমার বড় দাদা-দিদিদের ছোট ছোট বাচ্চারা রয়েছে, তাই এখন অবশ্যই আমি আর পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য নেই। সে যাইহোক, ঠাকুমা ,জেঠু - জেঠিমা, কাকু - কাকিমা, দাদা - দিদি , মা - বাবা সবমিলিয়ে আমাদের একসাথে একটা বড়ো পরিবার। দাদুর কথা বললাম না কারণ, তিনি আমার জন্মের আগেই মারা গিয়েছেন। আর এতো বড়ো পরিবারের রান্না - বান্না বা অন্যান্য কাজগুলো করতে তো অনেক বেশি সময় লাগে তা আমরা সকলেই জানি।
সেইরকমই একদিন ছুটির দিনে মা, জেঠিমা,কাকিমা সকলে মিলেই রান্নার কাজে ব্যস্ত। সেইজন্য আমাকে দিদিদের কাছে আমাকে দিয়ে গিয়েছিল, একটু দেখেশুনে রাখার জন্য। কিন্তু তারাও তখন খুব বেশি বড়ো না, তাই খেলার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। আর এদিকে আমি চুপচাপ বসে থাকতে থাকতে গুটি গুটি পায়ে একা একা ছাদে উঠবো বলে নাকি সিঁড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। আবার পুরনো দিনের সিঁড়িগুলো বেশ খাড়া টাইপের হয়। তাই আমি আর সেই উচুঁ সিঁড়ি পার করতে পারিনি। তার বদলে সেখানেই পড়ে গিয়েছিলাম, আর সিঁড়ির কোনায় ধাক্কা খেয়ে চোখে আর কপালে প্রচন্ড পরিমাণে আঘাত পেয়েছিলাম।
কপাল তো প্রচন্ড পরিমাণে ফুলে উঠেছিল আর এদিকে চোখের উপরে কেটে গিয়ে সেখান থেকে প্রচুর রক্তপাত হচ্ছিল। আমি তো খুব জোড়ে জোড়ে কান্না করছিলাম আর সেই শুনে মা দৌঁড়ে এসে এতো রক্তপাত দেখে অজ্ঞান হয়ে গেছিল। বাড়ীর বড়োরা সবাই প্রচন্ড কান্নাকাটি করছিল ।তারপর আমাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হয়ে গিয়েছে দেখে ডাক্তাররা তো প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিল, আর বলেছিল আমার চোখের কি হবে তা বলা যাচ্ছে না । তারপর কি হয়েছিল ডিটেলস এ জানিনা ,তবে আমার চোখের উপরে সেলাই দেওয়া হয়েছিল, যে দাগ আমার এখনো আছে। তবে সেটা ছোটবেলার থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে। কারণ এটা কুড়ি বছর আগের সেলাই তাই দাগটা আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে, আশা করছি ভবিষ্যতে আরও কমে যাবে । তবে সেটা পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়তো কোনদিনই হবে না।
তার উপর কপালে যেখানে ফুলে উঠেছিল সেখানে এখন শক্ত আর উচুঁ হয়ে আছে। ওটা আর কখনও হয়তো ঠিক হবার নয় । তবে খুব একটা খেয়াল করে না দেখলে সেটা বোঝা যায় না, মানে খুব বেশি একটা জায়গা জুড়ে এটা না । মাঝে মাঝে আমি নিজেও সে কথা ভুলে যায়, যে আমার কপালে কোনো ফোলা আছে আর চোখের উপর সেলাই এর দাগ। তবে সেটা যে আরও বড়ো কিছু হয়নি এটাই আমার জন্য অনেক।
পোস্ট বিবরণ | জেনারেল রাইটিং |
---|
কিছুদিন আগে আমার ছেলেটা পড়ে সোফার সাথে আঘাত খায়, আর চোখের উপরে হালকা কেটে যায়। দাগটা এখনও আছে।এমন দূর্ঘটনা দেখলে মায়েরা কখনো ঠিক থাকতে পারে না।আর আপনার সেই ছোটবেলার এই ঘটনা পড়ে সত্যিই খুব খারাপ লাগছে।আর ভাগ্য সহায় ছিল বলে খুব বেশি কিছু হয় নি।
আশা করছি, আপনার ছেলে এখন ভালো আছে আপু। তার দাগটাও যেন কিছুদিনের মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে যায়, এই কামনা করি। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
চোখের দিকে তাকালেই বোঝা যায় স্পষ্ট। কিন্তু এমনিতে ভালো আছে। আশা করি দাগটা চলে যাবে।
মানুষের জীবনে চলার পথে অনেক ঘটনা ঘটে থাকে। তুই কেমন একটা ঘটনা ছোটবেলা আপনার জীবনের ঘটেছে। আসলে আপু খাড়া সিঁড়িতে ওঠা একটু কঠিন হয়ে থাকে। আপনি উঠতে গিয়ে ধাক্কা খেয়েছেন এবং মাথায় আঘাত হয়,যার জন্য অনেক রক্ত ঝরছিল। আপনার রক্ত ঝরার কথাটা পড়ে বুঝতে পারলাম কতটা আঘাত হয়েছিল আপনার। আর একটা কথা ঠিক বলেছেন মাথায় আঘাত হয়ে উঁচু হওয়া জায়গাটা পুরোপুরি সেরে ওঠেনা । কারণ ঠিক এমন একটি ঘটনা আমারও ঘটেছে। যাক আপু ওই দিন বড় রকম কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি এটা আপনার ভাগ্য।
হ্যাঁ ভাই, খাড়া সিঁড়িতে ওঠা সত্যি একটু কঠিন ব্যাপার হয়ে থাকে, সেই জন্যই আমার সাথে এরকম একটা ঘটনা ঘটেছিল।
দিদিভাই ছোটবেলায় সবার জীবনে এমন ছোট বড় অনেক দুর্ঘটনা হয়েছে।পরিবারের গুরুজনেরা সতর্ক থাকা সত্ত্বেও অনেক ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যায়। আপনার সেই ক্ষত দাগটা এখনো কপালের উপরে দেখা যায়। আপনার অতীতে জমে থাকা কিছু দুর্ঘটনার কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আশা করছি আগামী দিনগুলো আপনার খুবই ভালো কাটবে ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনারও আগামী দিনগুলো খুব ভালো কাটুক এই কামনা করি।
আপনার সাথে ঘটে যাওয়া ছোটবেলার দুর্ঘটনাটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো দিদি। এই ধরনের কোনা জাতীয় জায়গাতে যদি আমাদের শরীর আঘাত পায় তাহলে খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। দাবি যেহেতু কমতে শুরু করেছে হয়তোবা আস্তে আস্তে এই দাগ একদিন হারিয়ে যাবে।
মনে হয় না, আর এই দাগ কোনদিন পুরোপুরি বিলুপ্ত হবে বলে। যাই হোক, ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে ছোট্ট বাচ্চাদের দেখে শুনে রাখাটাই উত্তম কারণ তারা তো বোঝেনা কোথায় গেলে কি হয়। এরকম ছোট্ট কালের খারাপ মুহূর্ত আমার সাথে জড়িত রয়েছে । যাই হোক চোখের সমস্যা হয়নি হয়তো আপনার পরিবারে সকল সদস্য ভয়ে ছিল। সেগুলো এখন শুধুই অতীত গল্পটি পড়তে পেরে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ভাই চোখের সমস্যা হয়নি ,এটাই আমার জন্য অনেক বড়ো ব্যাপার। ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোটবেলায় কমবেশি সবাই এইরকম আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তবে আপনার বিষয়টা জেনে সত্যি খুব খারাপ লাগছে। সিঁড়িতে উঠতে গিয়ে পড়ে গিয়ে মাথায় ব্যথা পেয়েছেন এবং রক্ত বেরিয়েছে। ভাগ্যিস চোখের কোন ক্ষতি হয়নি। না হলে হয়তো বা বড় দুর্ঘটনা সেদিন ঘটে যেত। তবে এরকম ছোট বাচ্চারা অনেক বার আঘাত খেলেও দেখেছি চোখের আঘাত হয় না।আর হলেও সেটা খুব কমই হয়।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে, সুন্দর মন্তব্যে করে পাশে থাকার জন্য।
ছোটবেলার মজার স্মৃতি যেমন রয়েছে তেমনি দুর্ঘটনার স্মৃতি ও রয়েছে সবার জীবনে। আপনি আজকে ছোটবেলায় ঘটে যাওয়া একটা দুর্ঘটনার কথা বলেছেন আমাদেরকে। ভাগ্য ভালো ছিল চোখের কোনরকম ক্ষতি হয়নি আপনার। আর সন্তানের এরকম দুর্ঘটনা দেখলে মায়েদের অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যায়। তেমনি আপনার মায়ের ক্ষেত্রেও হয়েছে। খুব খারাপ লেগেছে আমার কাছে, দুর্ঘটনার গল্পটি পড়ে।
হ্যাঁ ভাই চোখের কোনরকম ক্ষতি হয়নি, এটাই অনেক। আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ছোটবেলার এরকম একটা দুর্ঘটনার কথা শুনে আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে। আসলে ছোটবেলার দুর্ঘটনাগুলো মাঝে মাঝে মনে পড়লে নিজের কাছেও অন্যরকম লাগে। আপনার এই দুর্ঘটনাটা কিন্তু অনেক বড় হতে পারতো তবে ভাগ্য ভালো ছিল এরকম কিছুই হয়নি। অনেক কিছুই মাথায় আসছে যদি অন্য কিছু হয়ে যেতে তাহলে কি হতো। যাইহোক দিদি আপনি তাহলে পরবর্তীতে সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন এবং চোখেও কোন সমস্যা হয়নি। ভালো লেগেছে পুরোটা।
হ্যাঁ আপু, দুর্ঘটনাটা আরও বড় রকমের হতে পারত ,কিন্তু সেটা না হয়ে অল্পের উপর দিয়ে চলে গেছে ,এটাই অনেক। ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি বলতে আপু প্রত্যেকটি মানুষের ছোটবেলার বেশ দারুন দারুন কিছু স্মৃতি থাকে আপনার স্মৃতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে মানুষের জীবনের চলার পথে এরকম দুর্ঘটনা প্রায় ঘটে থাকে। আসলে আপু খাড়া সিঁড়িতে ওঠায় এমনিতেই একটু কঠিন হয়ে পড়ে। আপনি সেই সময় উঠতে গিয়ে পড়ে গিয়ে মাথায় বেশ আঘাত পেয়েছিলেন জেনে বেশ খারাপ লাগলো। আপনার রক্ত ঝরার কথাটা পড়ে বুঝতে পারলাম বেশ আঘাত পেয়েছিলেন আপনি। আসলে এই সমস্ত ঘটনা এখন মনে পড়লে বেশ ভালই লাগে আপু। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই ,বেশ ভাল রকমেরই আঘাত পেয়েছিলাম আমি। যার ক্ষত চিহ্ন এখনো আছে আমার।