কাঁচকলার পাঁপড়িচাট(১০% @shy-fox এর জন্য)
তারিখ-১৩.১১.২০২২
নমস্কার বন্ধুরা
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
১.কাঁচকলা | ২টো |
২.আলু | ১টা |
৩.বেদানা | অর্ধেক |
৪.কর্ণ ফ্লাওয়ার | ২.৫টেবিল চামচ |
৫.আটা | ২.৫টেবিল চামচ |
৬.নুন | স্বাদমতো |
৭.গোটা সরষে | হাফ চা চামচ |
৮.হলুদ | ১ টেবিল চামচ |
৯.টমেটো সস | ২টেবিল চামচ |
১০.চাট মশলা | স্বাদমত |
১১.কাঁচা লঙ্কা | স্বাদমতো |
১২.ঝুড়িভাজা | যতটা ইচ্ছে |
১৩.চিনেবাদাম | যতটা মন চায় |
প্রণালী
কাঁচকলাকে কেটে এইভাবে গ্রেট করে নিতে হবে, একটু মিহি হলেই ভালো হয়।
গ্রেট করা কাঁচকলায় পরিমাণ মত হলুদ, নুন, লঙ্কা বাটা এবং কর্ণ ফ্লাওয়ার এবং আটা দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিতে হবে।
কড়াইয়ে সরষের তেল দিয়ে তাতে হলুদ এবং গোটা সরষে ফোড়ন দিতে হবে।
আগে থেকে কুচো করে রাখা আলুকে সেই তেলের মধ্যে দিয়ে সাথে হলুদ, নুন, লঙ্কা কুচি দিয়ে ভালো করে ভেজে তরকারি করে নিতে হবে।
হাতে সাদা তেল মাখিয়ে মেখে রাখা কাঁচকলাকে হাতের তেলোয় চেপে চেপে পাতলা করে চেপ্টে নিতে হবে। সঠিক শেপের প্রয়োজন নেই। যেমন খুশি শেপে গড়লেও খেতে ভালোই হবে।
এবার একটা ডুবো কড়াইয়ে সাদা তেল গরম হলে সেই তেলে কাঁচকলার পাঁপড়িগুলো ভেজে নিতে হবে ।
পাশে আরেকটা কড়াইতে অল্প সাদা তেল দিয়ে চিনেবাদামগুলো ভেজে নিতে হবে।
এবার অ্যাসেম্বল করার পালা। 😀একটা প্লেটে পাঁপড়িগুলো সাজিয়ে নিয়ে তার উপর আলুর তরকারি সমান ভাবে দিয়ে দিলাম।
এবার তরকারির উপর টক দই এবং টমেটো সস দিয়ে দিলাম।
এবার এর উপর ঝুড়িভাজা এবং বাদাম ভাজা দিয়ে দিলাম।
এবার এর উপর চাটমশলা,কাঁচালঙ্কা কুচি এবং বেদানা ছিটিয়ে দিলাম।
আরে এবার আর কী? দেখুন তো কত সুন্দর কালারফুল বানালাম জিনিসটা! লোভনীয় লাগছে তাই না!আপনারা চাইলে এতে ধনেপাতা দিতেই পারেন তবে আমি দি নি কারণ কাঁচকলার সাথে সব কিছু তো যায় না, সেটা ভেবেই।
এরকমভাবে কাঁচ কালার পাঁপড়ি চাপ আমি কখনো খাইনি। আপনার রেসিপিটা দেখে ভালো লাগলো। না শেষে আপনি খুব সুন্দর করে। আর শেষে আপনি ঝুরিভাজা বাদাম ও বেদনা দিয়ে কালারফুল ভাবে সাজিয়েছেন। দেখতে আরো আকর্ষণীয় ও লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এই সুন্দর রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য।
এটা সম্পূর্ণ নিজের বুদ্ধিতে করলাম আমি।ধন্যবাদ ভাই।
মজার মজার রেসিপি গুলো শুধু রাত্রি বেলা দেখতে পাওয়া যায়। না তখনি খেতে পাওয়া যায় আর না তো সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা যায়।
কলা দিয়ে এমন স্বাদের রেসিপি এর আগে কখনো দেখিনি। তবে একটা কথা মানতেই হবে। কাঁচা কলার পাপড়ি চাট খেতে যতটা স্বাদ হবে ডেকোরেশন এর জন্য তার দ্বিগুণ বাড়িয়ে তুলবে।
হিহি! দিনের বেলাতেই না হয় বানিয়ে খেয়ে নিন। ভালো লাগবে।
দিদি আপনার রেসিপিটি চমৎকার হয়েছে। কাঁচকলার পাঁপড়িচাট রেসিপিটি ইউনিক ছিল। আসলে কাঁচকলা দিয়ে যে এত সুন্দর পাপড়িচাট বানানো যায় আমার জানা ছিল না। দেখি একদিন ট্রাই করতে হবে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ দিদি। একবার খেয়ে দেখবেন। ভালো লাগবে।
ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া কিংবা বৃষ্টির সময় আমারও ভাজাপোড়া খেতে ভালোই লাগে।আর হ্যা আসলেই টুইস্ট ছিল। এভাবে কাঁচা কলা দিয়ে পাঁপড়িচাট খাওয়া হয়নি,চানাচুর এবং বাদাম দেওয়াতে মনে হয় স্বাদ আরো বেড়ে গিয়েছে। প্রতিটি ধাপ খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে
খেতে দারুণ হয়েছে। একবার বানিয়ে খেয়ে দেখবেন।
চাইবে না কেন আপু, অবশ্যই মন চায়। আপনার মত শীত পড়লেই ভাজাভুজি খেতে ভীষণ ভালোই লাগে। কিন্তু আপনি যে রেসিপিটা দেখালেন মনে হয় না কখনো দেখেছি বলে। কাঁচকলা তার সাথে আবার ফল, বাদাম সবকিছুই আছে। আসলে এইভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। কিন্তু আপনার রেসিপিটা দেখতেই লোভনীয় লাগছে। আপনার ভাই আসলে অবশ্যই তৈরি করে খাওয়াবেন। আমি নিজেও কখনো ট্রাই করে দেখব।
সত্যিই শীত মানেই ভাজা পোড়া। ধন্যবাদ। 😊
অনেক ভাল লাগলো আপু আপনার বানানো পাপড়ি চাট রেসিপিটি। ভাজা ভুজি কম ই খেয়ে থাকি আমি কিন্তু পরিবারের সকলের জন্য করতে হয়। ধাপ গুলো দেখে বানানো সহজ হয়ে গেলো ।অনেক ধন্যবাদ রেসিপি শেয়ার করার জন্য ।
হ্যাঁ পরিবারের সকলকে বানিয়ে খাওয়াতেই পারেন। দারুন মজার হয়
আপু কলা দিয়ে এভাবে পাপড়ি বানিয়ে কখনো খাইনি। আপনার খাবারটা দেখে অত্যন্ত লবণও লাগছে। আর আপনার তৈরি করেছেন বেশ ভালোভাবে। যা আমাদেরকে ধাপে ধাপে বুঝিয়ে দিয়েছেন।খেতে পারলে হয়তো টেস্টটা ভালই লাগতো।
একবার খেয়ে দেখবেন দিদি। আশা করি ভালো লাগবে।
বাবারে বাবা এত রাতে তো এত ডেলিসিয়াস খাবার দেখে তো খিদা বেড়ে গেল।কাঁচা কলার পাঁপড়ি চাট দেখে তো জিভে জল চলে আসলো।ভাজাভুজি খাওয়াই বাঙালির প্রধান মজার খাবার।শীতকালেই তো বেশি চলে এসব।সুন্দর পরিবেশনা আপনার বেশ ভাল লাগলো।
হিহি! রাতে দেখে দিনে বানিয়ে খেয়ে নিন দিদি।
কাঁচকলার পাঁপড়ি চাট খাওয়া তো দূরের কথা প্রথমবারের মতো নাম শুনলাম। যাইহোক খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। বাড়িতে কোনদিন সুযোগ হলে আপনার মত করে বানানোর চেষ্টা করব।
অনেক ভেবে ভেবে বার করেছি এই রেসিপি ভয়ে ভয়ে ছিলাম যে আদেও ভালো কিছু হবে কি না। 😁🤣
কিন্তু এর যা টেস্ট হয়ে ছালো বললে বিশ্বাস করবেন না। তার জন্য খেতে হবে। ☺ ধন্যবাদ।
খাবারের টেস্ট যদিও মুখে শুনে অথবা ফটোতে দেখে বোঝা যাবে না । বাড়িতে একবার তৈরি করে দেখতে হবে সত্যি রেসিপিটি কেমন হয়😎 । এরকম ইউনিক একটি রেসিপি একটু সময় বের করে বাড়িতে তৈরি করব।