'পরিচিত'-বাস্তব জীবনের গল্পকথা পাঠ(১০% @shy-fox এর জন্য)
তারিখ-১৪.১১.২০২২
নমস্কার বন্ধুরা
আসলে জীবন যখন একটা পর্যায়ে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়, তখন রোমান্স, বিরহ কিছু আসে না। তখন যেন কিছু উপদেশ, ভালো কথা শুনলেও মনে হয়, "দূর ছাই! আপনি চুপ করে যান প্লীজ, আমি নিজেই নিজের জীবন থেকে বড় শিক্ষা নিয়ে নিয়েছি।আপনি আগে আমার জায়গায় দাঁড়িয়ে দেখুন। "
আর্টস পড়ছিস?সায়েন্স নিলি না কেন?
এখনো পড়ে যাচ্ছিস?আর কত দিন পড়বি?
চাকরি পাসনি?কী হল এত দূর পড়ে শোনা করে?
মাস্টার্স করে গ্রুপ ডি পোস্টে চাকরি?ভালো কিছু পেলি না?
টিউশন করিস?চাকরি হল না তাহলে?
বেসরকারি চাকরি?সরকারিতে পেলি না?
বিয়ের বয়স তো পেরিয়ে গেল।কবে বিয়ে করবি?
চাকরি পেয়ে গেছিস এখনো বিয়ে করিস নি?
চাকরি করা মেয়ে?সংসার করবে তো?
বিয়ে তো অনেক দিন হল এখনো বাচ্চা হয়নি?
কেন বাচ্চা হল না?কোনো প্রবলেম আছে?
অ্যাডজাস্ট হচ্ছে না?বাচ্চা হয়নি বলেই হচ্ছে ওটা?
একটাই ছেলে?আরো একটা নিলি না কেন?
মেয়ে?ভবিষ্যতে দেখবে কে?একটা ছেলের দরকার।একটা ছেলে নে?
ডিভোর্স হয়ে গেল?কেন?কী হয়েছিল?
একা থাকিস?একা থাকতে ভালো লাগে?
এই প্রশ্ন গুলোই,ঠিক এই প্রশ্ন গুলোই তারা করে।কারা করে?ওই যে তোমার আশে পাশে থাকে,তোমার সো কল্ড পরিচিতরাই।এই প্রশ্নের উত্তর গুলো ওদের কাছেই আছে।তবুও করে।জেনে শুনেই করে।কেন করে?আসলে স্বভাব।খোঁচা দেওয়া স্বভাব।এমন সহানুভূতি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করবে,যেন কত ভালো চায়।ওরা ভালোই জানে অপর দিকের মানুষটাকে এই প্রশ্ন গুলো করলে কতটা খারাপ থাকতে পারে তারা।আসলে কিছু মানুষ এমনই।অন্যের খারাপ থাকা দেখে,এরা পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করে।
আচ্ছা এসব প্রশ্ন করে আপনারা কী পান বলুন তো?কেন করেন?সবার জীবনেই কোনো না কোনো সমস্যা থাকে।জীবনে যার সমস্যা আছে,সে নিজেই সলভ করে নিতে পারবে।আপনি তো আর সলভ করে দেবেন না?দেবেন কি?তাহলে দিন না কয়েক লাখ টাকা,সে তাহলে টিউশন করা ছেড়ে দেবে।খুঁজে দিন না ভালো একটা চাকরি?যার বিয়ে হয়নি বা করেনি তার মনের মত একটা মানুষ খুঁজে দিন না?যার বাচ্চা নেই তাকে বরং আপনার বাচ্চাটা দিয়ে দিন?
পারবেন দিতে?জানি আপনি দেবেন না।কোনো সাহায্য আপনার থেকে আসবে না।কোনো ভাবেই আপনি সহযোগিতা করবেন না।তারপরেও আপনি খোঁচা মেরে ওই ধরনের কথা গুলো জিজ্ঞেস করবেন।কারণ আপনার স্বভাব।
একটা কথা মন দিয়ে শুনুন।জীবনটা যেহেতু তার নিজের,তাই তাকে নিজের মত করে কাটাতে দিন।আপনি তার জীবনে আড়ি পাতা,উঁকি মারা বন্ধ করে দিন।দেখবেন প্রবলেম সলভড।তারা ভালো থাকতে পারছে।জীবনে সমস্যা নিয়েও ঠিক ভাবে জীবন চালাতে পারে তারা,হেসে খেলে আনন্দে ভালো থাকতে পারে,শুধু ভালো থাকে না আপনাদের জন্য।জীবনের সমস্যা নিয়ে তাদের অত কষ্ট হয় না,যতটা কষ্ট পায় আপনাদের কথায়,আপনাদের অবান্তর প্রশ্নে।ওই ধরনের প্রশ্ন করা গুলো শুধু বন্ধ করে দিন।তাতে আপনি খারাপ থাকবেন জানি,বিশ্বাস করুন ওরা ভালো থাকবে।
কলমে:সরজিৎ ঘোষ।
এটা আসলে একটা খোঁচা দেওয়া স্বভাব আপু। যেখানে মানুষের বিপদে দুঃখের সময় মানুষ পাশে এসে দাঁড়াবে ,বোঝাবে তা না তখন চেষ্টা করে কিভাবে তার কষ্টকে বাড়িয়ে দিবে, খোঁচা দিয়ে কথা বলবে এবং তাকে বোঝাবে যে এই বিপদের জন্য তোমার এ অবস্থার জন্য তুমি নিজেই দায়ী। আপনি ঠিক বলেছেন আপু প্রশ্নগুলো আসলে ই যারা করে প্রশ্নগুলোর উত্তর তাদের নিজের কাছেই রয়েছে। আরে প্রশ্নগুলো করে নিজেদের আত্মীয়-স্বজন আশেপাশের পাড়া-প্রতিবেশী রাই। তারা আসলে কারো ভালো থাকা তো পছন্দ করেই না দুঃখের সময় কিভাবে কাটে খোটা দিতে হয় ,খোঁচা দিতে হয় সেটা নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
একদমই ঠিক কথা বোন। কিছু লোক অন্যের দুঃখে আনন্দ পায়।
আপু আপনার সৃজনশীলতা যতই আমি দেখি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। অনেক সুন্দর একটি টপিকস নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমি এখন দিনের আপনার মত হয়ে যাচ্ছি। ভালোই লাগে আমার কাছে একাকিত্ব জীবন। আর পোস্টটি সম্বন্ধে কি বলবো ? অসাধারণ হয়েছে আপনার আজকে পোস্টটি।
সত্যিই নিজের পরিসর সীমিত করে নিলে সঠিক ভাবে বাঁচা যায়।
আপু অনেক ভালো লাগলো আপনার ভিডিওটা দেখে।আপনি ঠিক বলেছেন আমাদের রিয়েল লাইফে এরকম খোঁচা মারা মানুষের অভাব নেই।আপনার সব কথাই বাস্তবিক।আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ আপনাকে এত কষ্ট করে একটি ভিডিও বানিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ দিদি। এসব খোঁচামারার লোক থেকে দূরে থাকতে হবে আমাদের।
আরে বাপরে, আপনি তো দেখছি সৃজনশীলতার চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন।😲 আপনার এই বাস্তব জীবনের গল্পকথা পাঠ এর সাথে আমি নিজেকে কিছুটা relate করতে পারছি। আশেপাশে এমন কিছু মানুষ তৈরি হয়েছে আমার, যারা সুযোগ পেলেই নিন্দা করছে। আঘাত করছে দুর্বল জায়গা গুলোতে। আমি জানিনা তারা এগুলো করে কি মজা পায়, তবে করে। হয়তো অভ্যাসের বসেই তারা এগুলো করে। যাইহোক খুব ভালো লাগার মত একটা পোস্ট ছিল, আর আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকটাও অসাধারণ ছিল।😊
হাহা! না না তেমন কিছু না। সবটাই একরকম এক্সপেরিমেন্ট করছি। আপনাদের ভালো লাগলে আমারও ভালো লাগে। ধন্যবাদ অনেকটা।
এসকল কথা গুলো কিছু মানুষ বলবে, আসলে কথায় আছে না আপু, পাচে লোকে কিছু বলে। কিছু মানুষের এই অভ্যাস নিন্দা করা তা কখনো শেষ হবে না। নিন্দুকেরা সব সময় নিন্দা করেই যাবে।আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকটাও চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লিখেছেন।
ঠিকই দিদি। কিছু লোক অন্যের দুঃখেই সবচেয়ে বেশী খুশি হয়।
একটা সময় আমি নিজেও সব কিছুতে নেগেটিভ জিনিস টাই খুঁজে বেড়াতাম । কিন্তু বর্তমানে যা কিছুই হয়ে যাক না কেন হাসি মুখে সবটা অ্যাকসেপ্ট করি। কারণ আমি এখন বিশ্বাস করি মিষ্টি বড়ই গাছেই ঢিল টা পরে বেশি। আর যা ঘটে অবশ্যই ভালোর জন্যই ঘটে।
এমন গল্পগাঁথা পাঠ এবারই প্রথম শুনলাম। আপনার প্রথম পর্ব মিস করে গিয়েছি। বেশ ভালো লাগলো সব টা। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে শুনে অন্যরকম একটা অনুভূতি হলো। লেখাগুলোর সাথে নিজের জীবনের কিছু কিছু সংযোগ যেন অজান্তেই ঘটে গেছে।
হ্যাঁ, কিন্তু সবার তো মানসিক স্থিতি থাকে না যে সব কিছু এক্সেপ্ট করে নেবে। কিছু মানুষ জেনে বুঝে আঘাত করে দূর্বল জায়গায়।
ধন্যবাদ আপনাকে।