চিতই পিঠা বানানোর রেসিপি|| ১0 % বেনিফিসিয়ারি লাজুক শিয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনার মাঝে হাজির হয়েছে একটি রেসিপি নিয়ে। রেসিপিটি হলো চিতই পিঠা বানানোর রেসিপি। চিতই পিঠা আমরা সবাই কম বেশি পছন্দ করি । সাথে যদি থাকে দেশি মুরগি,তাহলে তো কথায় নেই।আসলে আমাদের পরিবারের সবাই চিতই পিঠা অনেক পছন্দ করে।আমাদের বাড়িতে প্রায়ই এই পিঠা তৈরি করে থাকি। গরম গরম এই পিঠা গুলো খেতে অনেক মজা লাগে।গতকাল আমাদের বাড়িতে মেহমান এসেছিল । আমার শাশুড়ি বয়স ৮০ বছর। সে আজ ও আমাদের পিঠা বানাতে গেলে সাহায্য করে। সে আমার অনেক কাজে সাহায্য করার জন্য ব্যস্ত থাকে কিন্তু পারে না।গতকাল ও আমি যখন পিঠা বানিয়েছিলাম তখন ও সে আমাকে পিঠা গুলো গুলিয়ে দিয়ে ছিল। আগুনের কাছে বসে থাকতে পারে না, তাই আমি বানিয়েছি।তবে দুঃখের বিষয় হলো আমি সাজে পিঠা দিলেই সাজের মাঝের বাটিটা ছিদ্র হয়ে যায়। তাই আর কি করা আমাকে চার বাটিতে পিঠা তৈরি করতে হয়েছে। যাইহোক বন্ধুরা তাহলে চলুন দেখে আসি কিভাবে চিতই পিঠা তৈরি করেছি।
১.চালের গুঁড়া
২.বৃষ্টির পানি
৩.লবন
৪।সাজ
ধাপ-১
প্রথমে আমি কিছু চালের গুঁড়া নিয়েছি।এখন চালের গুড়ার ভিতর লবন দিয়ে দেব।আগে থেকে গরম করে রাখা বৃষ্টির পানি দিয়ে ভালো করে গুলিয়ে নেব।
ধাপ-২
চালের গুড়া গুলো এভাবে গুলিয়ে নেব।
ধাপ-৩
এখন মাটির চুলাই একটি মাটির সাজ বসিয়ে দিলাম। সাজ গরম হয়ে আসলে গুলিয়ে রাখা গুঁড়া গুলো দিয়ে দেব।
ধাপ-৪
গুঁড়া গুলো দিয়ে দেওয়ার পর বেশকিছু ক্ষণ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করে নেব।ঢাকনা খুলে এভাবে হয়ে আসলে নামিয়ে নেব। এভাবে আমি অনেক পিঠা তৈরি করেছি।
ধাপ-৫
ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল মজার চিতই পিঠা রেসিপি।এখন একটি প্লেটে তুলে গরম গরম পরিবেশন করব। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। কেমন হয়েছে বন্ধুরা মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
আজ এখানে শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য সময় অন্য কোন লেখা নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্হ্য থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে।
চিতই পিঠা আমার খুব পছন্দের একটি পিঠা। শীতকালে সকালবেলা অথবা সন্ধ্যা বেলা ভর্তা কিংবা গুড়ের সাথে এই পিঠা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। কষা মাংসের সাথেও এই পিঠাটি খেতে খুব ভালো লাগে। দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনার তৈরি যেতে পিঠাগুলো বেশ নরম তুলতুলে হয়েছে। এবং বেশ সুন্দরভাবে ফুলে ও উঠেছে। এরকম চিতই পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। আমি মনে করি এই পিঠাটি এমন সুন্দর হওয়ার জন্য, এই পিঠা তৈরি করার আটার প্রতি বেশি লক্ষ্য রাখতে হয়।
জি আপু এই পিঠা তৈরি করার জন্য আটাই মেইন,প্রশংসনীয় মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন চিতই পিঠা কম বেশি সবাই পছন্দ করে। সাথে যদি থাকে দেশি মুরগি তাহলে তো কোন কথাই নেই। আমি তো ভীষণ পছন্দ করি চিতই পিঠা খেতে। খুবই সুন্দর ভাবে এই রেসিপিটি তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনারা শাশুড়ি আপনাকে এখনো সাহায্য করে জেনে ভালো লাগলো ।
জি ভাই আমার শাশুড়ি আমাকে এখনো সাহায্য করে। প্রশংসানীয় মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
কি কথা শোনালেন আপু, আপনার শাশুড়ির বয়স ৮০ বছর তবুও আপনাকে হেল্প করে। অথচ এখনকার দিনে মেয়েরা বেশি কাজকর্ম করতে চায় না। বেশিরভাগ মেয়েরাই ইলেকট্রিক জিনিসের উপর নির্ভরশীল। আর সেখানে আপনার ৮০ বছরের শাশুড়ি আপনাকে আটা গুলিয়ে দিয়েছে। যাইহোক আপু, আপনার শাশুড়ির গুলিয়ে দেয়া আটা থেকে খুবই সুন্দর পিঠা হয়েছে। এই চিতই পিঠা ঝাল ঝাল মুরগির মাংস দিয়ে খেতে পারলে ভীষণ মজা লাগবে। চিতই পিঠার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া আমার শাশুড়ি পিঠা বানাতে গেলে গুলিয়ে দেয় বা মাঝে মাঝে বানিয়ে দেয়।উনি আগের মানুষ তো তাই এখনো শুধু কাজের প্রতি অনেক একটিভ। ধন্যবাদ
আমার অনেক প্রিয় পিঠা বিশেষ করে পুদিনা চাটনির সাথে।তবে দুঃখের বিষয় ২-১ টার বেশি খেলেই এসিডিটি হয়।ধন্যবাদ আপু মজাদার পিঠার রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য।
তা অবশ্যই ঠিক বলেছেন বেশি খেলে এসিডিটি হয়, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি আমার অনেক পছন্দের পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন। এই চিতই পিঠা আমার দুধ এবং সরিষা বাটা দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে। একটা কথা শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার শাশুড়ি ৮০ বছর তবুও আপনাকে পিঠা তৈরি করতে সাহায্য করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল
জি আপু সরিষা বাটা দিয়ে খেতে অনেক মজা লাগে। আর আমার শাশুড়ি সত্যি আমাকে সাহায্য করে। ধন্যবাদ
আমার অনেক পছন্দের এই পিঠা আমাদের এলাকায় এগুলো কে সাত খোলা পিঠা বলে।এই গুলো দূত দিয়ে ভিজিয়ে রাখলে খেতে ভিশন মজা লাগে। আবার এগুলো বিভিন্ন ভর্তা দিয়ে খেলে ভিশন মজা লাগে। চিতই পিঠা বানানোর ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত।
পিঠার নাম যাইহোক পিঠা গুলো তো একই। ঠিক বলেছেন দুধে ভিজিয়ে বা ভতা দিয়ে খেতে অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
নিশ্চয়ই আপনার শাশুড়ি খুব হেল্পফুল তাই ৮০ বছর হওয়া সত্বেও আপনাকে সাহায্য করতে এখনো আসে। যাইহোক আপু আপনি খুব সুন্দর করে চিতই পিঠা বানিয়েছেন। আমার আম্মু প্রায় সময় এভাবে চিতই পিঠা বানায় ভর্তা দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে।
জি আপু আমার শাশুড়ি অনেক হেল্পফুল একজন মানুষ। এই পিঠা গুলো ভর্তা বা মাংস দিয়ে খেতে অনেক মজা । ধন্যবাদ
আপু আপনি খুবই ভাগ্যবতী আপনার শাশুড়ি মা ৮০ বছর বয়সে এসেও আপনাকে প্রতিটি কাজে সাহায্য করার চেষ্টা করেন।পিঠা পুলি এগুলো মা শাশুড়িরা ভালো বানাতে পারেন। চিতই পিঠা আমার খুব ভালো লাগে, আগে ঢাকায় থাকতে মাঝে মাঝে সন্ধ্যায় চিতই পিঠা শুঁটকি ভর্তা, সরিষা ভর্তা ধনেপাতা ভর্তা দিয়ে খাওয়া হতো। আমি এই পিঠা বাসায় কখনো বানানোর চেষ্টা করিনি। আপনার রেসিপি টি দেখে অনেক ভালো লাগলো একদিন বাসায় বানিয়ে খাবো। আপনাকে এবং আন্টিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই সুন্দর রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি বলেছেন আপু পিঠা পুলি মা শাশুড়িরা ভালো বানাতে পারে। তবে আমরা ও তো শাশুড়ি হব, এই কারণে আমাদের শিখতে হবে। জি আপু একদিন অবশ্যই বাসায় তৈরি করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার শাশুড়ির এত বয়স হয়ে গিয়েছে তারপরও কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করা দেখে আমি সত্যি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। চিতই পিঠা তৈরি করার খুবই চমৎকার একটা পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আমার কাছেও এই ধরনের পিঠা গরম গরম খেতে খুবই ভালো লাগে।
প্রশংসনীয় মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
আপু আপনার শাশুড়ী বয়স ৮০ বছর হওয়ার পর আপনাকে কাজে সাহায্য করতে চাই। আপু আপনি খুব লাকি মা এর মত শাশুড়ী মা পেয়েছেন। নিজের মেয়ে মত করে দেখে। চিতল পিঠা আমি তেমন খায় না মাঝে মাঝে খাই ভালো । আপনার পোস্টের চিতল পিঠা তৈরি রেসিপি দেখে শিখে নিলাম। আপু একটা জিনিস বুঝলাম না নরমাল পানি পরিবর্ততে কেন বৃষ্টি পানি ব্যবহার করছেন?অনেক ধন্যবাদ আপু মজাদার পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু লাকি কি না জানি না, তবে আমার শাশুড়ি আমাকে অনেক ভালোবাসে। আর আপু বৃষ্টির পানি না দিলে ও চলবে। নরমাল পানি দিয়ে তৈরি করতে পারেন। মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।