বাবার বাড়ি যাবার আনন্দ ||১০% বেনিফিসিয়ারি shy-fox এর জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি অন্য রকম পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো বাবার বাড়ি যাবার আনন্দ। আসলে প্রতিটি মেয়েই তার বাবার বাড়ি যাওয়ার আনন্দ একটু বেশি থাকে। আমার বাবার বাড়ি আমার শশুর বাড়ির থেকে খুব বেশি দূরে নয়।দুই স্ট্যান্ড পার হলেই যাওয়া যায়।তবে আমার প্রায় (৩-৪) মাসের মধ্যে যাওয়া হয় না। আমার মেয়ে দুটি তার নানু বাড়ি যাবার জন্য অস্হির হয়ে পড়েছে।তবে তারা একা কারো সাথে যাবে না আমাকে ছাড়া। আজ সকালে যখন স্কুল থেকে এসেছে আম্মু দু'দিন স্কুল বন্ধ নানু বাড়ি চলো।আমি বললাম ঠিক আছে গোসল করে প্রাইভেট পরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে নেও তারাতারি।ওরা আমার কথা মতো সকল কাজ করল।এখন পড়া শেষ হলে তারা তারাতাড়ি নতুন জামা কাপড় পড়ি রেডি।কি আর করা অবশেষে তাদের নিয়ে বেরিয়ে পরলাম।তাহলে চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক আজকের পোস্টঃ
প্রথমে আমি আমার দুটি মেয়ে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলাম।তখন আমাদের একটা অটো ঠিক করা ছিল আগে থেকে। আমরা বের হওয়া মাএ অটো চলে আসলো আর অটোতে ওঠে গেলাম।অটোটে ওঠে আমার মেয়ে দুটি মহাখুশি। তারা নানু বাড়ি যাবার আনন্দে প্রায় দিশেহারা। কারণ বেশ কিছু দিন পরে নানু বাড়ি যাবে আসলে স্কুল বন্ধ থাকার আনন্দে একটু বেশি খুশি।
এখন আমারা চলে আসলাম বাহিরদিয়া স্টেশনে। বাহিরদিয়া ব্রিজের পাশে আমাদের অটো দাড়াল।সেখানে অনেক গাড়িঘোড়া ছিল। আমার মেয়েরা নামার জন্য অস্হির ছিল। কারণ তারা সেখানে নেমে কিছু খাবার কিনবে। কিন্তু আমার আগে থেকেই বেড়ানোর জন্য মিষ্টি ও চিপস ও বাচ্চাদের টুকিটাকি খাবার কিনা ছিল। যাইহোক আমরা অটো থেকে না নেমে ব্রিজের বিপরিতদিকে রওনা হলাম।কয়েক মিনিটের ভিতরে আমরা চলে আসলাম অন্য স্ট্যান্ডে।সেখানে এসে অটো থামাল।
এটা হলো ধুলদি বাজার। ধুলদি বাজারে যখন আমাদের অটো থামাল।ধুলদি বাজারে অনেক দোকান পাঠ রয়েছে। সেখানেও ভিন্ন ধরনের জিনিস পাওয়া যায়।হাজার কিনা থাকলেও বাচ্চারা আবার ধুলদি থেকে আইসক্রিম নিল।এখন আমাদের এক ফুফি সেই অটোতে এলো আমাদের সাথে। তবে অনেক দিন পর সেই ফুফিটার সাথে দেখাহলো।ফুফিটা আমার সাথে অনেক গল্প করছে।আসলে পুরোনো দিনের গল্প শুনা ভালোই লাগে।তার পর বাজার থেকে বের হয়ে সোজা চলে আসলাম আমাদের বাড়িতে। অবশেষে তারা নানু বাড়িতে পোছায়ে অনেক খুশি।
আজকের মতো এখানে শেষ করছি । আবার দেখা হবে অন্য সময় অন্যকোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্হ্য থাকবেন,আল্লাহ হাফেজ।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে।
যেখানেই ছোট থেকে বড় হওয়া সেখানের মায়া কখনোই কমে যায় না। যদি সেই জায়গার কথা একবার মনে পড়ে তাহলে মনটা কেমন জানি করে। ঠিক তেমনি আপু আপনি আপনার বাবার বাড়ি যাওয়ার সময়টুকু আমাদের সাথে অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
সত্যি ভাইয়া যেখানে বড় হওয়া সেখানের মায়া কখনো কমে যায়না। পাশে থাকবেন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জেনে ভালো লাগলো যে আপনি আপনার বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছেন। প্রত্যেকটা বাচ্চারা নানু বাড়ি যাওয়ার জন্য অনেক উংসাহিত থাকে।আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। কিন্তু আপনার পোষ্টের ছবি কোয়ালিটি আরেকটু ঠিক করতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমার ও অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে
মামার বাড়ি মধুর হাড়ি তাই আপনার মেয়েরা মামার বাড়ি যাওয়ার জন্য এত খুশি।আবার অনেক দিন পর বাড়ির লোকজনের সাথে দেখা হবে আপনার।আশা করি অনেক ভাল সময় কাটবে।
সত্যি ভাইয়া অনেক ভালো সময় কাটাবো মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ধুলদি বাজার খুব সুন্দর নাম।অনেকদিন পর নিজ বাবার বাড়ি যাওয়ার আনন্দটাই অন্যরকম।তাছাড়া আপনার মেয়েরা তার নানা নানীকে দেখে অনেক আনন্দিত হয়েছে জেনে বেশ ভালো লাগলো।শুভকামনা রইলো আপু।
সত্যি আপু অনেক দিন পর নানু বাড়ির লোকজন দেখে তারা মহা খুশি ছিল। আপু আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।