গ্রাম থেকে সবজি কেনার মূহুর্ত
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট ।
গ্রাম থেকে সবজি কেনার মূহুর্ত
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে বেশ কিছু দিন ধরে দেশের অবস্থা একেবারে খারাপ। মানুষের টাকা পয়সা থাকলেও ভয়ে মানুষ বাজার করার মতো সাহস পায়নি।আসলে আবারো অনেক শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি। যাইহোক কয়েকটি দিন আগে আমি আমার বাবার বাড়িতে গিয়েছিলাম সেখানে গিয়ে সবজি কেনার জন্য বের হলাম। আসলে আমার বাবার বাড়ির এলাকায় লোকজন অনেক সবজি চাষ করে তাই ভাবলাম এসেছি কিছু সবজি নিয়ে যায়। তারজন্য মায়ের সাথে সবজি কিনতে মাঠে গিয়েছিলাম। সত্যি এমন তাজা সবজি সরাসরি ক্ষেত থেকে আনতে পারলে অনেক ভালো লাগে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
প্রথমে গিয়েছিলাম ঢ়েড়স ক্ষেতেটা ঘুরে দেখি। আসলে এখন ঢ়েড়স ক্ষেত প্রায় শেষের দিকে। কয়েকটি ঢেঁড়স ক্ষেত ঘুরে দেখলাম। আসলে প্রায় ক্ষেতের ঢ়েড়স গাছ গুলো এখন পেকে গিয়েছে। তবে গাছের ভিতর দিয়ে জালি জালি অনেক ঢ়েড়স রয়েছে। তারপর আমার এক চা বললো তুই যতগুলো পারিস তুলে নিয়ে যা। আমি বললাম মেপে দিন কিন্তু সে বলছে তোর কাছে আমি বিক্রি করবো না।যাইহোক তারপর আমি দুই কেজির মতো ঢ়েড়স তুলে এনেছি।
তারপর আমার অন্য চাচাদের অনেক পটল রয়েছে। আসলে এরা সবাই আমার কাছ থেকে টাকা নিতে চাইনি কিন্তু আমি বলেছি টাকা না নিলে আমি কিছুই নেব না।তখন অন্য চাচা মেপে তিন কেজি পটল দিয়েছে কিন্তু সে দুই কেজির টাকা নিয়েছে। আসলে এমন সরাসরি গাছ থেকে তুলে এনে খাওয়া অনেক কম হয়। তবে পটল গুলো অনেক ভালো ছিল। খেতেও অনেক মজার।
তারপর গেলাম আমার ভাইয়ের ক্ষেতে ধুন্দল কাটতে। আসলে গ্রামের চাচারাই টাকা নিতে চাইনি আর তো ভাই।তখন ভাইয়া আমাকে অনেক গুলো ধুন্দল কেটে দিল। আসলে এমন সবজি গুলো দেখে শুধু মন হয় সব নিয়ে যায়।কিন্তু সব গুলো এক সাথে নিলে তো আবার ফ্রিজে রেখে খেতে হবে।কিন্তু কারফিউ এর মধ্যে বারবার কেনা ও ঝামেলা তারজন্য ভাবলাম বেশি বেশি করে নিয়ে যায়।
কিছু দূর যেতেই চোখ পড়লো শসা ক্ষেতের দিকে। আসলে এমন কচি শসা খেতে কে না পছন্দ করে। আমি কিন্তু শসা ক্ষেতে অনেক পছন্দ করি। তারপর ক্ষেত থেকে বেশ কিছু শসা কেটে এনেছি। যদিও শসা মেপে দেয়নি কিন্তু আমি কিছু টাকা দিয়েছে।আসলে একজন ভালোবেসে দিলেই আমি একা নিয়ে আসবো তা কিরে হয়। যদিও তারা টাকা নেবে না তারপর তার নাতনির হাতে দিয়েছি।
তারপর কিছু বরবটি ও সিম তুলে নিলাম। আসলে এমন সবজি সব সময় হাতের কাছে পাওয়া যায় না। আর সবজি গুলো বেশ ভালো ছিল। যদি ও সবজি গুলো আমি এখনো খাচ্ছি।আসলে তাজা সবজি কয়েকটি দিন ফ্রিজে থাকলেও ভালো থাকে। সবজি গুলো বেশ ছিল। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1820822693471834456?t=VZzPo7OPhdpxmKDRdcSTjQ&s=19
গ্রাম থেকে সবজি নিতে পারলে অনেক টাটকা যেমন পাওয়া যায় তেমনি কম দামেও পাওয়া যায়।তাছাড়া চেনা মানুষের কাছে এটাই সুবিধা তারা টাকা নিতে চাননা, তারপরও আপনি কিছু টাকা দিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।যদিও সবজি গাছের অবস্থা খুব একটা ভালো দেখলাম না তারপরও বাজারে বেশ দাম থাকে এগুলোর।পটল ও শসাগুলি বেশি ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ আপু।