মেয়েকে ডাক্তার দেখানো ও একটু ঘুরাঘুরি ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো মেয়েে ডাক্তার দেখান ও ঘুরাঘুরি। আজ কয়েক দিন ধরে মেয়েটার ঠান্ডা ও কাশি লেগেই আছে। যদি ও বলে ঔষধ এনেছিলাম তবে তেমন কমেনি।কাশিটা অনেক বেশি। তাই গতকাল বিকেল মেয়ে দুটি নিয়ে গেলাম ডাক্তার দেখানোর জন্য। আসলে আমি একা কখনো যায়নি ওর আব্বু ও বাড়িতে ছিল না। কিন্তু মেয়েকে নিয়ে যেতেই হবে। কারণ বাচ্চা মানুষ রাতে ঘুমাতে পারে না অনেক কাশি। তারপর আমাদের বাড়ি পাশে এক ভাজতিকে সাথে নিয়ে গিয়েছি।আমি আগে ও গিয়েছি তারপর দুটি বাচ্চা নিয়ে একা যাওয়া ভালো লাগছিল না। তারপর আমি ওকে বললাম চলো আমরা একটু ডাক্তারের কাছে যাব ও ঘুরবো।ও বলল রেডি হয়ে আসি।তবে আমাদের মেইন উদ্দেশ্য ছিল মেয়েকে ডাক্তার দেখান।আমরা গিয়েছিলাম বেলা ৩ টার সময়। কিন্তু যাবার সাথেই আগে ডাক্তারের দোকানে গিয়েছিলাম। কিন্তু দোকানদার দোকান বন্ধ করে দুপুরে খেতে গিয়েছে এখনো আসেনি, আসবে ৪ টার সময়। তারপর আমরা একটু পাশে ঘুরলাম।
তো চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট ঃ
প্রথমে আমরা ডাক্তারে দোকানে গিয়েছিলাম কিন্তু দোকান বন্ধ থাকায় ডাক্তারের পাশে ট্রেন যাবার ব্রিজ দেখতে গিয়েছি।আসলে ট্রেনের ব্রিজটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আমি ব্রিজের ওপর উঠতে চেয়েছিলাম কিন্তু নদীতে অনেক পানি তাই ব্রিজের ওপর উঠতে সাহস পেলাম না। আমার মেয়ে ব্রিজের কাছে যাবে না ভয়ে। কিন্তু ব্রিজের ভিতর দিয়ে অনেক লোকজন যাওয়া আসা করছিল। দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। তাই আমি ছবি তুলে নিয়েছি।
আমার মেয়েরা যেহেতু ট্রেন যাবার ব্রিজে উঠতে সাহস পেল না তাই আমি ওদের কে ট্টেনের রাস্তা দিয়ে একটু ঘুরে নিয়ে এলাম। তারপর ট্রেন যাবার রাস্তার পাশেই রয়েছে মানুষের পারাপারে জন্য আর একটি ব্রিজ। সেই ব্রিজটি দেখে ও অনেক ভয় লাগছিল।আসলে কখনো ব্রিজের ওপর এভাবে উঠিনি তাই মনে হচ্ছে একটু বেশি ভয় লাগছিল। তাপর আমার ছোট মেয়ে ব্রিজের ওপর ওঠে একটু হাঁটতে লাগল।আমি ওকে বেশি দূরে যেতে দিলাম না। কারণ পাশে ফাঁকা রয়েছে বাচ্চারা তো যদি পড়ে যায়, তাহলে তো আবার খাবার হয়ে যাবে। যাইহোক অনেক দিন পর বিকেলে এভাবে ঘুরতে অনেক ভালো লেগেছিল।সত্যিই তো ঘুরার মজাটা অন্য রকম।
ইতি মধ্যে ডাক্তার চলে এলো।ডাক্তার আমাদের গ্রামের সম্পর্কে কাকা হন।ডাক্তার আমাদের এলাকায় হাতুড়ি ডাক্তার বলা চলে। তবে বেশ অভিজ্ঞতা আছে। আমার দুই বাচ্চার জন্য উনার কাছ থেকেই বেশি ঔষধ আনা হয়। সাধারণত সামান্য অসুখ বিসুখ হলে উনার ঔষধ খেলে সেরে যায়। এলাকায় এই ডাক্তারের অনেক সুনাম আছে। উনি না পারলে বলে দেয় যে আপনারা আরো ভালো ডাক্তার দেখান। এটা ডাক্তারের ভালো একটা গুণ। যাইহোক তারপর মেয়েকে দেখে একটা সিরাপ দিল।বাচ্চাদের জন্য কিছু সিভিট দিয়েছিল । বলল এক চামচ করে তিনবার করে খাওয়াবেন। ঔষধটা নিয়ে আমরা চলে আসলাম।
ডাক্তারের দোকান থেকে বের হয়ে আসলাম চপের দোকানে। চপের দোকানে অনেক প্রকারের খাবারের জিনিস রয়েছে। বিরিয়ানি চপ, মাংসের চপ, আলুর চপ, পুরি ও সিঙ্গারা ইত্যাদি।তবে সবাই মিলে পুরি খেল। আর আসার সময় আমার মেয়ে মাংসের চপ নিয়ে এসেছিল বাসায় খাবে বলে।তারপর বাচ্চারা চলে এলো চিপস এর দোকানে। সেখানে থেকে চিপস, জেমস,মামা বিস্কুট, জুস ও বাদাম নিল। তারপর আমরা চলে আসলাম বাজার থেকে বাড়ির উদ্দেশ্য।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে৷
বাচ্চারা অসুস্থ হলে,সত্যি ই মায়েদের অনেক কষ্ট হয়ে যায়। আশাকরি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।সিজন চেঞ্জ হওয়ার জন্য এখন ঘরে ঘরে সব সিক হচ্ছে।আপনিও আপু রেস্ট নিন। ধন্যবাদ আপু।
জি আপু সিজন পরিবর্তন হওয়ার জন্য একই অবস্থা। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলছেন আপু বাচ্চাদের অসুখ হলে বাচ্চারা তো নিজেরাই ঘুমাতে পারে না তার সাথে মায়েরাও ঘুমাতে পারে না।ডাক্তার দেখাতে গিয়ে তো দোকান বন্ধ থাকায় বেশ ঘোরাঘুরি করতে পারছেন।আমি একদম পারিনা দুজন বাচ্চা নিয়ে ডাক্তার দেখাতে।ধন্যবাদ আপু।
জি আপু ঠিক বলেছেন বাচ্চারা তো ঘুমাতে পারে না সাথে মায়ের তো আরো। ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রাম এলাকায় MBBS ডাক্তার খুব বেশি একটা যেতে চায় না। ওই হাতুড়ি ডাক্তার গুলোই বেশি থাকে, তবে ওদের চিকিৎসা ব্যবস্থা একেবারে খারাপ না। টুকটাক সমস্যার সমাধান করতে পারে। আর এই সময়টাতে সবারই কমবেশি শরীর খারাপ হচ্ছে। আপনার মেয়ের দিকে খেয়াল রাখেন, আশাকরি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া টুকটাক সমস্যা সমাধানের জন্য হাতুরে ডাক্তার যথেষ্ট। ধন্যবাদ আপনাকে।
সিজন পরিবর্তন হচ্ছে তো এই সময়ে সাবধানিতা অবলম্বন করা উচিত।যাইহোক আপনার মেয়ের জন্য দোয়া রইলো আল্লাহ তাকে দ্রুত সুসস্থতা দান করুন।আর ঠিকি বলেছেন আপু বাচ্চারা অসুস্থ হলে নিজেরাও ঘুমায় না অন্যদের ও ঘুমাতে দেয় না।
জি ভাইয়া নিজেরা ঘুমাতে পারে না আর মায়ের তো ঘুম নেই। আমার পোস্ট পরে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সামনে তো শীত এসে গেছে আপু। আপাতত একটু সাবধানে থাকাই ভালো! ঠান্ডায় জ্বর, সর্দি, কাশি লেগে যায়! তবে একটু ঘুরাঘুরি করলেও মনটা ভালো হয়! আপনার মেয়ের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আর আপু ব্রিজটি চেনা চেনা লাগছে, এটা কোথায়?
তাই ভাইয়া এটা ফরিদ পুর। সাবধানে থাকলে ও হবার সময় কিভাবে যে হয় বুঝা মুশকিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমেই ভাগ্নীর সুস্থতা কামনা করি।দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে ভাল করেছেন।অসুখ কে অবহেলা করতে নেই। হাতুড়ে ডক্তার রা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ভালই চিকিৎসা করেন।কিন্তু বিপত্তি বাধে যখন বড় রোগের চিকিৎসাও করতে যান।উনি এমন নন দেখে ভাল লাগল।আপনারা অনেক ভাল সময় কাটিয়েছেন দেখে ভাল লাগল।ধন্যবাদ আপু মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া অসুখকে অবহেলা করা ঠিক নয়। তাই তো তারাতাড়ি বাচ্চাদের জন্য ঔষধ নিয়ে আসলাম। দোয়া করবেন যেন তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। ধন্যবাদ
বাচ্চারা অসুস্থ হলে সত্যি বেশ খারাপ। নিজে অসুস্থ হলেও অতটা খারাপ লাগে না যতটা খারাপ লাগে বাচ্চা অসুস্থ হলে। যাইহোক ডাক্তার দেখানোর আগে বাচ্চাদের নিয়ে খুব সুন্দর একটি ঘুরাঘুরির মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বাচ্চাদের নিয়ে এভাবে মাঝে মাঝে ঘোরাঘুরি করা দরকার। যাইহোক আপু আপনার বাচ্চার জন্য সুস্থতা কামনা করছি।
জি আপু ঠিক বলেছেন নিজেরা অসুস্থ হলে ও ততটা খারাপ লাগে না যতটা বাচ্চা অসুস্থ হলে লাগে।সত্যিই মাঝেমধ্যে ঘোরাঘুরি করার দরকার আছে।ধন্যবাদ
আপু আপনার মেয়ের কাশির কথা শুনে আমার কাছে খুবই খারাপ লাগলো। কেননা বেশ কিছুদিন থেকে আমি ও আমার ছেলে দুজনে ঠান্ডা জনিত কারণে কাসির সমস্যায় ভুগছি। ঘন ঘন কাশির কারণে রাতে ঠিকমত ঘুমোতেও পারছি না। আপনার মেয়ের কাশি যেন খুব দ্রুতই ভালো হয়ে যায় এই কামনা করছি। সেই সাথে আমার ও আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন আমরাও যেন খুব দ্রুতই কাশি থেকে মুক্তি পাই। মেয়েদের নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে রেললাইনে ও রেল ব্রিজে বেশ ঘোরাঘুরি করে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং আমাদের মাঝে তা শেয়ার করেছেন এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া বর্তমান বাচ্চাদের ঠান্ডা কাশি বেশিই লেগে আছে। সবারই জন্য যেন সবাই দোয়া করি,যাতে সব বাচ্চারাই সুস্থ থাকে।
ডাক্তার দেখানোর আগে বাচ্চাদের নিয়ে খুব সুন্দর একটি ঘুরাঘুরির মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বাচ্চাদের নিয়ে এভাবে মাঝে মাঝে ঘোরাঘুরি করা দরকার। যাইহোক আপু আপনার বাচ্চার জন্য সুস্থতা কামনা করছি। সেই সাথে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বাচ্চাদের নিয়ে ডাক্তার দেখানোর আনন্দঘন মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মাঝে মাঝে এভাবে একটু ঘুরাঘুরি করলে মনটা ও অনেক ভালো থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে সিজনটা খুবই খারাপ চলছে আপু। মোটামুটি সব জায়গাতেই ঠান্ডা কাশি লেগে আছে। গত সপ্তাহে ঠান্ডা কাশিতে ভুগেছি , আজ থেকে আবার নতুন করে যেন শুরু হচ্ছে। বড়রা তবু আমরা সহ্য করতে পারি কিন্তু ছোট বাচ্চাদের ভীষণ অসুবিধা হয় ঠান্ডা কাশিতে। আমার নিজের ভাগিনার ক্ষেত্রে দেখেছি। যাই হোক আশা করি ওষুধে ভালো কাজ হবে। আর সবশেষে সিঙ্গারা আর পুরি দেখে খুব লোভ হল। একটা সময়ে প্রচুর খেতাম এগুলো কিন্তু এখন একদমই খাই না বলা যায়।
সত্যি ভাইয়া বড়রা যেমন তেমন কিন্তু ছোটদের জন অনেক খারাপ অবস্থা ঠান্ডা কাশি । আসলে সিঙ্গাড়া পুরির মজা অন্য রকম। কেনো যে বাদ দিলেন বুঝলাম না।