বাচ্চাদের খেলনা কিনার অভিজ্ঞতা ||১০% বেনিফিসিয়ারি shy-fox এর জন্য
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয় ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট
প্রতিদিনের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি পোস্ট নিয়ে।পোস্টটি হলো বাচ্চাদের খেলনা কিনার অভিজ্ঞতা। আসলে আমি বাচ্চাদের খেলনা তেমন কিনি না। মাঝে মাঝে কিনলে ওদের বাবার সাথে গিয়ে কিনা হয়। গতকাল আমি আর আমার মেয়ে দুটি গিয়েছিলাম,তারা গিয়েছিল শুধু খেলনা কিনার উদ্দেশ্যে। তাদের আগের সব খেলনা পুরানো হয়ে গেছে এখন নতুন খেলনা কিনে সাজিয়ে রাখবে।ওদের নিয়ে রওনা হলাম মার্কেটে। মার্কেটে ঢুকতে প্রথম সারিতেই চোখে পড়ল খেলনার দোকান। শুরু থেকেই কান্না শুরু করছে, যা দেখবে তাই নিবে।ভালো মন্দ কিছুই বুঝবে না।শুধু খেলনা দরকার। যাইহোক আর কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন দেখা যাক বাচ্চারা কিকি খেলনা কিনেছে।
প্রথমে যেতে যে দোকান গুলো সামনে পড়েছে। সেই দোকানে ঢুকলাম। দোকানে তো খেলনার কোন অভাব নেই । অনেক গাড়ি গুড়া, ফ্লাটবাড়ি, মোটর সাইকেল আর ও কতো যে খেলনা। তবে ওরা কোন খেলনাই নিবে না। ওরা নিভে পানি বন্ধুক পপিট, ডাক্তারি ফাইল, মাোবাইল ইত্যাদি। তবে আর কি করা দোকানদার খেলনা গুলো দিলেও ওরা নিল না।ওরা যা বলবে তাই নিভে। আমি পড়েছি মহা বিপদে। কারণ ওদের সব খেলনা ওর আব্বু কিনে দেয়।আমার ঝামেলা পোহাতে হয় না। সেখানকার দোকান গুলোতে ওদের খেলনা না পেয়ে সোজা চলে গেলাম নিউ মার্কেটের দোতলায়। এদিক সন্ধা বয়ে চলছে, আযান ও হয়ে গেছে।সবাই যাচ্ছে নামাজে।এখন একটু অপেক্ষা ছাড়া কিছু করার নেই। তার পর ধর্য্য ধরে বসে রইলাম।
কিছুক্ষণ বসে থাকার পর চলে গেলাম এক দিদির দোকানে। দিদির দোকানে আমি আগে ও গিয়েছি। তবে দিদির দোকানে আমি আগে ও কিছু খেলনা কিনেছিলাম।দিদির দোকানের খেলনা গুলো আমার বাচ্চাদের অনেক পছন্দ। সেখানে থেকে বাচ্চারা দুটি করে খেলনা নিল।খেলনাগুলো অনেক ভালো। খেলনা নেওয়ার পর বাচ্চারা শান্ত হলো।আসলে বাচ্চাদের আনন্দই সবকিছু।তবে আমার ওদের খেলনা কিনতে গিয়ে অনেক ঘুরতে হয়েছিল। ওরা যে এতো সব আবদার করে তা একা না গেলে বুঝতে পারতাম না। ওর আব্বুর সাথে গেলে সব কিছু সেই বহন করে তাই আমি আর কিছু বুঝতে পারি না।
অবশেষে তাারা খেলনা নিয়ে লাফালাফি শুরু করে দিল। এখন ওরা বাড়ি আসবে। আর কিছু কিনার সময় নেই। তারাতাড়ি বাড়ি যেতে হবে। খেলনা সবাইকে দেখাবে।তারপর তারা খেলনা হাতে করে ছবি তুলে নিল।তারা অনেক আনন্দ উপভোগ করেছিল খেলনা পেয়ে।যাই হোক সব কিছু মিলে সময়টা অনেক ভালো কাটিয়েছিলাম।
আজকের মতো এখানে শেষ করছি । আবার দেখা হবে অন্য সময় অন্যকোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্হ্য থাকবেন,আল্লাহ হাফেজ।
প্রয়োজনীয় | তথ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেশন | লিংক |
আমার পরিচয়ঃ
আমি পারুল। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। আমি ফরিদপুরে বসবাস করি। আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলায় লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি।আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করে।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই লেখার সুযোগ করে দেওয়ায় জন্য।
হুম আপু আপনার বাচ্চাদের খেলনা কিনার মুহূর্টা ছিল অসাধারণ ৷আর কসমেটিক দিদিটা দেখতে অসাধারণ ৷আমার মনে হয় দিদি টা হিন্দু ধর্মীয় ৷যদিও বাংলাদেশ মহিলা মানুষ কম দোকান চালায় ৷
বাচ্চাদের খেলনা কিনার অভিজ্ঞতার গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ছোট বাচ্চারা এই ধরনের খেলনা দিয়ে খেলতে খুবই পছন্দ করে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া বাচ্চারা এধরনের খেলনা দিয়ে খেলতে পছন্দ করে। ধন্যবাদ মতমতের জন্য।
আমার বাচ্চার জন্য এত খেলনা কিনতে হয় তা বলার বাহিরে। একটা খেলা দু একদিন খেলে ওটা আর খেলবে না। তারপরে শুরু হয় বায়না করা নতুন খেলনা কিনে দাও। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সত্যি বলেছেন আপু, একদিন দুদিন তারপর আর নেই। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।