জনদরদীর অকাল মৃত্যু (তৃতীয় পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


সে মানবসেবা করছে এটা নিয়ে তাদের কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু পরদিন এলাকার সমস্ত মুরুব্বী এসে ইমরানের বাবাকে চেপে ধরে। তারা সবাই মিলে ইমরানের বাবাকে এমন ভাবে অনুরোধ করে যে ইমরানের বাবা আর না করতে পারে না। পরবর্তীতে ইমরানের বাবা ইমরানকে ডেকে ইলেকশন করার অনুমতি দেয়। যদিও ইমরানের নিজেরও কখনো ইলেকশন করার ইচ্ছা ছিলো না। কিন্তু এলাকার লোকজনের কথা চিন্তা করে সে শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে যায়। এলাকার লোকজনের ভেতর ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকার কারণে ইমরান ইলেকশনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়। এতে করে সে প্রাক্তন চেয়ারম্যানের চক্ষু শুলে পরিণত হয়।

Black and Gold Fancy New Year Card_20240911_192617_0000.png

যদিও সে সামনাসামনি ইমরানকে কিছুই বলে না। কারণ সে ভালোমতোই জানে ইমরানকে কিছু বললে এলাকার লোকজন তার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে যাবে। এজন্য সে সুযোগের অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ইমরান চমৎকারভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে থাকে। এলাকার সমস্ত সমস্যা সে এক এক করে সমাধান করতে থাকে। আগে যেখানে মানুষজন এলাকার চেয়ারম্যান কে ভয় পেতো। সেখানে ইমরানকে সবাই আপন মনে করে। যে কোন সমস্যায় তার কাছে ছুটে আসে। ইমরানও তার সামর্থের সর্বোচ্চ বিয়ে এলাকার লোকজনের জন্য কাজ করতে থাকে।

ইমরানের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে তার এলাকায় প্রত্যেকটা শিশুকেই সে স্কুলে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। এলাকার যারা বেকার ছেলেপেলে থাকে তাদেরকে কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা করে দেয়। এলাকার যে সমস্ত লোকজন নানা রকম অন্যায় অপরাধের সাথে যুক্ত ছিলো তাদেরকে ভালো হতে সাহায্য করে। এ সমস্ত কাজের কারণে তার জনপ্রিয়তা ঈর্ষনীয় পর্যায়ে পৌঁছে যায়। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


PUSS_Banner2.png



ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.30
TRX 0.33
JST 0.052
BTC 97986.44
ETH 3904.86
USDT 1.00
SBD 4.03