কবিতা || স্বরচিত কবিতা - " ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ "।
বিকেলে এসে ঘুমিয়েছিলাম আর রাতের আটটা পেরিয়েছে ঘুম থেকে উঠতে উঠতে।তাই ঝটপট কোনো দিকে না তাকিয়েই তাড়াতাড়ি স্টিমিটের কাজ গুলো করতে বসে গিয়েছি।আমিও দাদার মতো হওয়ার ট্রাই করি অর্থাৎ অভ্যাসগুলো।যেমন,যাই হবে হোক কাজ বাদ দেওয়া যাবেনা একেবারেই।অবশ্য দাদার মতো হওয়াটা তো প্রায় অসম্ভব ব্যাপার।সে কারণেই তাড়াতাড়ি কাজ নিয়ে বসলাম।এরপর খেতে হবে,কারণ সকাল থেকে এক কাপ চা ছাড়া আর কিছুই খাওয়া হয়নি।কারণ এক্সাম চলছে আর এক্সামের আগে আমি কিছুই খেতে পারিনা আর এক্সামের পর বাসায় ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায় তাই খাওয়ার মতো এনার্জীও থাকেনা।বাসায় এসে কোনোরকমে হাত মুখ ধুঁয়েই ঘুম।সে ঘুম ভাঙ্গলো এখন,তাই ঝটপট কাজ নিয়ে বসা।আসলেই মানুষের জীবনে আর যাই হোক কাজে অবহেলা করলে কখনোই চলে না,মানুষের দরকার সবসময় কাজ নিয়েই থাকা।কারণ অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা।এটা আপনারা সকলে নিজের হয়তো টের পাবেন।যেমন বেকার বসে থাকলে খালি উল্টো পাল্টা চিন্তা মাথায় আসবে আর কাজে থাকলে এসব খারাপ কোনো চিন্তা মাথায় আসার ও সুযোগ বা সময় হয়না।
আজকের এ কবিতাটি গতকাল ই আমি লিখেছিলাম,এতো দ্রুত তো আর কবিতা লিখা যায়না।কারণ কবিতা বিষয়টি মনের ব্যাপার ,মন থেকে না ভাবলে কখনোই কবিতার মাধুর্য আসেনা।আর হুরহুর করে আর যাই হোক কবিতা লেখা যায়না।অন্তত আমি তো পারিনা।যেমন দাদা,হাফিজ ভাই ওনারা একেবারে ইন্সটেন্ট কবিতা বানাতে পারে,আমার একটু টাইম লাগে মাথায় আনতে।
আজকের কবিতাটি লিখেছি ভালোবাসার কবিঃপ্রকাশ নিয়ে।ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ আমরা যতটা সহজে বলে ফেলি ততটা সহজ কিন্তু সহজ নয়।ভালোবেসে একটা মানুষ অনেক কিছু করতে পারে বা করে যা সাধারণ ভাবে কেও করবেনা।ভালোবাসা মানুষ নিজের ভালো না দেখে সবসময় ভালোবাসার মানুষটির ভালো খুঁজতে যায় যাতে অনেকসময় নিজেদের ও ক্ষতি হয়,কিন্তু সে ক্ষতিটা মানুষ মাথা পেতে নেয়।
দূরত্ব মনের কয়েক শত,দৃষ্টির ও ওপারে
আমি তাও তোমায় ছুঁতে পাই,মনের আঙ্গিনা দিয়ে।
মন কেমনের অন্যদিনে,
খানিক থাকি তোমার পানে।
তুমি সে আবার ফিরে যাও নিজের পৃথিবীতে,
আমার সময় থমকে দাঁড়ায় শুধুই তোমার তরে।
আমার পৃথিবী ঘিরে শূন্যতার বসবাস,
তোমার সে ক্ষণিকের ছোঁয়ায় রাঙ্গায় মনের দুয়ার।
নিজের জগৎ এ আলো হয়ে,
প্রদীপের নিচের সে অন্ধকার আমি।
সবেতে আনন্দ বিলিয়ে,
জীবনের দিবানিশি আমি।
জীবনের চলার পথের ক্ষণস্থায়ী পথিক আমি,
জীবনের বেড়াজালের একটু ভরসার হাত যে আমি।
জীবনের নানা অধ্যায়ের ব্যবহার সে আমি,
জীবনের চলার পথে শক্ত কাঁধ সে যে আমি।
প্রয়োজন তাই ফুরোয় আমার,
সব দরকার শেষে।
প্রিয়জন আমি হতে পারিনা,
প্রয়োজনে নিজেকে দিয়ে বিলিয়ে।
হাত ছুঁয়ে দিলেও ঠাহরানো হয়না,
হৃদয়ে যে ছুঁতে পারোনা।
স্পর্শ তাই মন ছোঁয় না ,
কারণ সে হৃদয় যে আমার হয় না।
আমি নীরব কবি,
অশ্রু হয় লেখা।
আমি নীরব শ্রোতা,
শত আঘাতে নেই শব্দ কথা।
আমি নীরব চাহনি,
ভুলে ভরা এ জীবন।
আমি নীরব ব্যথা,
মনের সে রক্ত ক্ষরণ।
আমি সে হাসিমুখ,
ব্যথায় হাস্যউজ্জ্বল সর্বদা।
আমি সে কান্না,
রাতের আঁধারে মুখ লুকিয়ে বন্যা।
আমি সে মাথা নোয়ানো ,
যাতে মেনে নেওয়া মিথ্যে অপবাদ মানহানি।
আমি সে জড়ানো কণ্ঠ,
যাতে বেঁধে যায় ব্যথা, যা পেয়েছি প্রতিনিয়ত।
অশ্রুসিক্ত এ লেখার প্রতিটি শব্দের অলিগলি,
আমি শব্দে ঝর্ণার ছন্দে কান্নার সুর তুলি।
আমি শব্দের খেলায় তোমাকে বুঝাই,
বারেবারে বুঝাই ভালোবাসি কতখানি!
আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।আমার আজকের লেখাটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।
ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur
আপু অতি চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন আপনি। এটা সত্য যে ভালবাসার বহি:প্রকাশ সহজে ঘটানো যায় না। তবে নিজের পছন্দের মানুষকে ভালোবাসার কথাটা বলার জন্য প্রথমে তাকে বিশেষভাবে ইঙ্গিত দেয়া হয়। যাতে সে ভালবাসার কথাগুলো বুঝতে পারে। আর যখন ভালোবাসার মানুষ নিজেদের মনের ভিতর লুকিয়ে থাকা ভালোবাসাগুলো বুঝতে পারেনা তখন নিঃসন্দেহে মনের মধ্যে অগাধ বেদনার সৃষ্টি হয়।
বাহ,বেশ ভালোই জানেন দেখছি।
আপু পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে।
ভালোবাসা নিয়ে খুব সুন্দর একটি কবিতা আপনি লিখেছেন। কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। এই ভালোবাসার কবিতার মধ্যে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
জ্বি আমি শুধুমাত্র তা ই তুলে ধরার ট্রাই করেছি।
অনেক সুন্দর হয়েছে আপু।মানুষ আসল ভালবাসা টা বুঝতে পারেনা।তাই যে আসলেই ভালবাসে তার ভালবাসার সুযোগ নিয়ে ব্যবহার করে।তার অনুভূতির মূল্য দিতে পারে না।পরে একসময় আফসোস করে।ধন্যবাদ সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য।
একদম তাই,ভালোবাসা না বুঝতে পারাটাই সমস্যা।
আপু আসলেই সত্যি কথা অলস মস্তিস্ক শয়তানের কারখানা ,খালি কারখানা না ডিরেক্ট বাড়ি ঘর করে দালানকোটা তুলে অবস্থা খারাপ,আর কাজের মানুষের মাথায় শয়তান বাসা বাধার সময় পায়না।
আমার ও আপনার মতোই কবিতা হুট করে লিখতে পারিনা ,এক জায়গায় বসে চুপচাপ ভেবে চিনতে লিখতে হয়। তবে আপনার কবিতার লাইন গুলো দারুন লাগলো। অসাধারণ লিখেছেন।
ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ কবিতাটি খুব সুন্দর লিখেছেন। ভালবাসা শব্দটা যত সহজে বলা যায় তার বহিঃপ্রকাশ কিন্তু তত সহজ না। একজনকে পছন্দ হয়ে গেল আর তাকে ভালবেসে ফেললাম এভাবে ভালবাসা হয় ন। সেই ভালবাসা পেতে তার যথাযথ বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে হবে।
হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, প্রিয়জন-প্রয়োজন এই সব কিছু মিলিয়ে ভালবাসা এবং এগুলো বিবেচনা করেই তবে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটানো যায়। ধন্যবাদ আপু।