বন্ধুত্বের বন্ধন।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে। অনেকদিন পর ভাবলাম একটি জেনারেল রাইটিং নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হওয়া যাক, তো যে ভাবা সে কাজ।

আজকের এই পোস্টটি অর্থাৎ আজকের এই বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করার ভাবনাটি আজকে জাস্ট সকালেই মাথায় আসলো তাও একেবারে ভোরবেলা।

তার একটা কারণও আছে। কারণ গতকাল রাতে আমরা কয়েকজন ফ্রেন্ড মিলে বেশ অনেকক্ষণ আড্ডা দিয়েছিলাম হোয়াটসঅ্যাপের অডিও কলে। তো তা নিয়েই ভাবলাম আপনাদের সাথে কিছুটা ফিলিংস শেয়ার করা যাক।

আসলে পুরনো ফ্রেন্ডদের সাথে আড্ডাটা সব সময় কেনো জানি একটু বেশিই জমে যায়। আর তা যদি হয় একেবারে বেস্ট ফ্রেন্ডদের সাথে। তাহলে তো কথাই নেই। আসলে আমাদের মধ্যে ব্যস্ততাটা এতোটাই বেড়ে গিয়েছে যে আমরা আর চাইলেও আগের মত কথা বলতে কিংবা দেখা করতে পারি না।

কিন্তু সবকিছু ভেবে দেখলাম, পুরনো ফ্রেন্ডদের মতো ফ্রেন্ড পাওয়া সত্যি ই খুব কষ্টকর আর বর্তমান যুগে সত্যিকারের কোনো ফ্রেন্ড পাওয়াটাই আমার কাছে মনে হয় অনেক বেশি কষ্টকর। আর তা আমি অনেক বেশি ফিল করি। যখন থেকে আমি ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা শুরু করেছি তখন থেকে।

সেসব কারণে গতকাল রাতে আসলে অনেকক্ষণ বেশ মজা করেছি। তার জাস্ট একটাই কারণ সেটা হলো কলেজের ফ্রেন্ডের সাথে আড্ডা দিয়েছি এটাই। আর তেমন কিছুই না। আর এই সময়টা যে এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে চলে গিয়েছে তা নিজেও টের পাইনি এবং বিষয়টা বেশ অবাক লেগেছে। কারণ আমরা অনেক ঘন্টাই আড্ডা দিয়েছিলাম।

আমার কাছে মনে হয় বন্ধুত্বের সংজ্ঞাটা এখানেই সবকিছু থেকে বন্ধুত্বটাকে আলাদা করে দেয়। অর্থাৎ কিছু মানুষের সাথে সময় কাটালে সে সময়টা কোন দিকে চলে যায় তা খেয়ালই করা যায় না।

আমার এই ফ্রেন্ড সার্কেল টার ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম নয়। এদের সাথে কিন্তু আমার প্রতিদিন কথা হয়না কিংবা দেখা তো হয় ই না খুব একটা। কিন্তু তাও আমাদের সম্পর্কটা এখনো দেখা হলে বা কথা হলে ঠিক আগের মতোই হয়ে যায়। যেমনটা দুই তিন বছর আগে ছিলো।আর আমার কাছে মনে হয় এটাই বন্ধুত্বের মর্মার্থ।