ফ্রেন্ডের সাথে আড্ডায় চা ও মজার খাওয়া-দাওয়া সে সাথে ফটোগ্রাফী।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

কয়েকদিন আগে আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করার বিষয়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। সেই সাথে শেয়ার করেছিলাম মজার ভেলপুরি আর আইসক্রিম খাওয়ার কথাটিও। তো সেই পোস্টে আমি লিখেছিলাম যে আমি আরো কিছু জায়গায় গিয়েছিলাম। তো আজকে আমি আপনাদের সাথে তাই শেয়ার করবো। তাহলে চলুন শুরু করি অর্থাৎ আমার ব্যাপার গুলো কিংবা আমার সময় গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরি আর আপনারাও পড়ুন।

আসলে যে জায়গাটিতে আমরা বসে ছিলাম অর্থাৎ বিপ্লব উদ্যান। জায়গাটি খুবই সুন্দর অর্থাৎ আড্ডা দেওয়ার খুবই দারুণ একটি প্লেইস। সে কারণেই সেখানে আমরা বেশ অনেকক্ষণ সেখানে গল্প করেছিলাম বসে। আপনারা দেখলেই বুঝতে পারবেন জায়গাটি কেমন।আমি উপরে ছবি দিয়েছি, আপনারা ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন কতো সুন্দর মনোরম একটি পরিবেশে। দেখলেই মনে হয় আড্ডা দেওয়ার জন্যেই তৈরি করা হয়েছে জায়গাটি। অবশ্য আমার যা মনে হয় শুধুমাত্র মানুষের বিনোদনের জন্যই এই প্লেইসটি এতো সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।

আমরা একটু এর পরে ভাবলাম মালাই চা খাওয়া যাক। কারণ এখানকার মালাই চা এর অনেক সুনাম শুনেছি। তো আমরা চলে গেলাম হামিদ ভাইয়ের মালাই চায়ের স্টলটিতে। সেখানে মাটির ভাঁড়ে করে চা দেওয়া হয়। যা আমার জন্য খুবই আনন্দের। কারণ মাটির ভাঁড়ে চা খাওয়াটা আমার খুবই পছন্দ।

চা অর্ডার দিয়ে আমাদেরকে ভিতরে বসতে দেওয়া হলো। তো আমরা ভিতরে বসলাম। ভিতরের ইন্টেরিয়র বেশ ভাল রকমের ছিলো। ছোটখাটো জায়গাতে যতো সুন্দরভাবে সাজানো যায় আর কি।

এরপরে চা এনে দিলো। আসলে দেখতেই পাচ্ছেন পরিমাণে বেশ ভালোই দিয়েছিলো চা। আর আমিতো চা লাভার! আপনারা সকলেই জানেন অর্থাৎ যারা আমার পোস্টে নিয়মিত পড়েন তাদের জানার কথা, যে আমার চা কতো বেশি পছন্দ। সে কারণেই আমরা দুইজনে মিলে ভাবলাম প্রথম একটু চায়ের ফটোগ্রাফি করা যায়। এর পরেই চা খাওয়া যাক। কারণ যা ফটোগ্রাফি করার জন্য একেবারেই পারফেক্ট আমার যা মনে হয়।

তারপরে কিছু চায়ের ফটোগ্রাফি করলাম নিজের পছন্দমতো।

এরপরে চা টা টেস্ট করে দেখলাম সত্যিই চা টা খুব ভালো ছিলো।তবে চিনির পরিমাণ একটু বেশি ছিলো। যারা চা তে চিনি কম খায় তাদের চা টা ভালো লাগবে না। তবে আমি যেহেতু অসম্ভব চিনি খাই চা তে। সে কারণেই চা টা আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছিলো।

এরপরে আমরা সেখানে অনেকক্ষণ আড্ডা দিলাম। এরপরে সেখানে আড্ডা দিতে দিতে আমার ফ্রেন্ড বললো সে একটু নিউমার্কেট যাবে। সেখানে তার পাখির জন্য খাবার কিনবে। তো আমরা সেখানে গেলাম, আর সেখানে যাওয়ার পরে পাখির খাবার কেনার পর ভাবলাম কিছু খেয়ে এরপরে বাসায় যাওয়া যাক। সে কারণেই আমরা তেহেরি খেলাম। তেহেরি আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। এরপরে তো বাসায় চলে আসলাম। অর্থাৎ সেদিন আমরা মোট তিনটি রেস্তোরাতে গিয়েছিলাম। একই দিনে তিনটি রেস্তোরা বেশ মজার বিষয় না বলুন তো?হিহিহি।

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।আমার আজকের লেখাটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। ভালো থাকবেন সবাই।