শৈশব। কবিতা নং :- ৩৫
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আমি আমার লেখা একটা কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
আসলে আমরা এখন বড় হয়ে বুঝতে পারছি যে শৈশবকালটা আমাদের জন্য কত মধুর সময় ছিল। তখন ছিল না কোন টেনশন। আমাদের চাহিদা অনুযায়ী মা বাবা সবকিছুই পূরণ করতেন সব সময়। এমন কোন জিনিস নেই যা মা বাবা আমাদের পূরণ করেনি। যতই কষ্ট হতো তাদের তাও আমাদের সব চাহিদা পূরণ করত।
যদিও মা-বাবার ইনকাম অনেক কম থাকার কারণে তাদের অনেক কষ্ট হতো। তারা কখনো আমাদের বুঝতে দিত না তাদের কষ্ট। যতই কষ্ট হতো না তাদের তাও তারা হাসিমুখে সব আবদার আমাদের পূরণ করত। এছাড়া ছোটবেলায় যখন আমরা খেলাধুলা করতে গিয়ে পড়ে ব্যথা পেতাম, তখন মা এসে আমাদের কোলে তুলে নিয়ে আদর করে আমাদের ব্যাথায জায়গায় মলম দিয়ে দিত।
আমরা জন্মের পর সবাই মায়ের দুধ পান করে বড় হয়েছি। আমার কাছে মনে হয় মায়ের দুধের মত অমৃত আর এই পৃথিবীতে কোথাও নেই। আর এই মায়ের দুধের ঋণ কোন সন্তানি কোনদিন পূরণ করতে পারবে না। যখন আমাদের ছোটবেলায় খেলতে খেলতে ক্ষুধা লেগে যেত তখন মায়ের কোলে এসে আমরা মায়ের বুকের দুধ পান করতাম।
এছাড়াও বাবা যখন বিকেল বেলায় বাজারে যেত জিনিসপত্র কেনার জন্য, তখন আমরা বাবার জন্য অপেক্ষায় বসে থাকতাম। কখন বাজার থেকে বাবা আসবে এবং বাবার বাজারের থলি থেকে আমরা আমাদের মন্ডা মিঠাই বের করে খাব। এছাড়াও কখনো কখনো বাবার সাথে বাজারে যাওয়ার জন্য আবদার করতাম। যদিও বাবা নিয়ে যেতে চাইত না। তাও আমাদের আবদারের কাছে বাবা পরাজিত হয়ে আমাদের নিয়ে বাজার করতে যেত বাবা।
কখনো কখনো অন্যায় করলে বাবা-মা আমাদের বোঝাতেন অন্যায় কাজ কখনো করতে নেই। তারা কখনো আমাদের খারাপ পথে চলার জন্য উৎসাহিত করত না। কিন্তু কখনো কখনো তাদের বারণ করার সত্ত্বেও আমরা কোন খারাপ কাজ করলে মা বাবা আমাদের শাসন করতেন। এছাড়া কখনো কখনো মায়ের হাতে ধোলাই যেতাম। যদিও বাবা এসে মায়ের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতেন।
এই মা-বাবার জন্যই আমাদের শৈশব কালটা এত মধুর হয়। কিন্তু একটা কথা কখনো ভেবে দেখেছেন, এই ভুবনে যাদের মা-বাবা নেই তাদের শৈশবকালটা কত কষ্টের ভিতর কাটিয়েছে। তারা শৈশবকালের এই মধুর সময় কখনো অতিবাহিত করতে পারেনি। তাদের শৈশবকাল গিয়েছে দুঃখ কষ্টের মাঝে। তাদের কাছে শৈশব কালটা ছিল কষ্টের।
আমরা বড়ই ভাগ্যবান যে আমরা শৈশবকালে আমাদের মা-বাবাকে দুজনকে একসাথে পেয়েছি। তারা আমাদের এইটুকু আনন্দের জন্য তারা তাদের সবকিছু ত্যাগ করেছেন। তাদের এই ভালোবাসার ঋণ আমরা কখনো শোধ করতে পারবো না। আর এজন্য বাবা মার কাছে আমরা চিরঋণী।
✠ শৈশব ✠
এইতো সেদিন জন্ম নিলাম,
এই সুন্দর পৃথিবীতে।
দেখতে দেখতে বয়স আজ,
অনেক হয়ে গেছে।
কত সুন্দর ছিলরে ভাই,
আমাদের শৈশবকাল।
জীবনে কোন টেনশন ছিল না,
ছিলনা কোন অহংকার।
মায়ের দুধ পান করে,
কাটিয়েছি শৈশব কাল।
মায়ের দুধের মত অমৃত পেয়েছেন,
আর তাহলে জীবনে কি চান।
শৈশব ছিল বড়ই মধুর,
কত বাহানাই যে করতাম।
কিছু কিছু বাহানায় আবার,
মায়ের হাতে মার খেতাম।
যদিও বাবা পরে সেই জিনিস,
পূরণ করতো আমাদের।
কোন জিনিস অপূরণ ছিল না,
ছিলাম মা বাবার বড় আদরের।
খাবার কোন টেনশন ছিল না,
তিন বেলা খেতাম পেট ভরে।
মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ,
ছিলনা কোন জায়গাতে।
মায়ের পাশে বসে বসে,
তার রান্না করা দেখতাম।
মাংস যখন কষা হত,
তখন বাটি ভরে খেতাম।
মায়ের হাতের এমন স্বাদ,
কোথাও পাবে না আর ভাই।
যারা শৈশবে মাকে পাইনি,
তাদের মতো যন্ত্রণা আর কোথাও নাই।
বাবা যখন বাজারে যেত,
অপেক্ষায় বসে থাকতাম,
বাজার থেকে কিনে আনা,
মন্ডা মিঠাই পেট ভরে খেতাম।
শৈশব স্মৃতি মনে পড়ে,
তাই দুঃখ লাগে মনে।
শৈশবকাল কতই মধুর,
ছিল আমাদের জীবনে।
আশাকরি কবিতাটি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
তো দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে। ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ওয়াও অসাধারণ আপনার শৈশব কবিতাটি।শৈশব কবিতাটি পড়ে অসম্ভব ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন ছোট কালে আমাদের কোন টেনশন ছিল না। মা-বাবা যতই কষ্ট হোক আমাদের খাওয়া-দাওয়া হইতে সব ব্যবস্থা করত। ছোটবেলা আমরা যদি কোন মতে খেলাধুলা করতে আঘাত পেতাম মা বাবা কত আদর করত ।এবং ব্যথা পেলে কষ্ট পেত আমাদের জন্য। এখন বড় হয়ে শৈশবের কথা মনে পড়লে অনেক খারাপ লাগে। আমাদের শৈশব জীবনে ভালো ছিল। এ নিয়ে আপনি খুব চমৎকার কবিতাটি লিখেছেন। সত্যি বলতে আপনার কবিতাটি পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে কবিতাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
আপনি তো অনেক সুন্দর করে শৈশব নিয়ে চমৎকার কবিতা লিখেছেন। তবে প্রত্যেক মানুষের শৈশব জীবন ভালোই কেটেছে। কারণ ওই সময় কোন চিন্তা ভাবনা কিছুই ছিল না। সবাইয়ের মা-বাবা অনেক আদর করে শৈশব জীবনে। তবে ঠিক বলেছেন আমরা যদি সামান্য কষ্ট পেতাম মা অনেক আদর করে মাথার উপর হাত বুলিয়ে দিত। তবে আপনার কবিতাটি পড়ে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক সুন্দর করে কবিতাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।