জীবনের গল্প : তপজল কাকার ছোট্ট জীবনী।
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম।
আমাদের সমাজে একজন ব্যক্তি রয়েছে। ব্যক্তিটিকে আমরা সবাই তপজল কাকা বলে ডাকি। সমাজের সবাই তাকে খুবই পছন্দ করে। সহজ সরল খুবই ভালো একজন মানুষ তিনি। দরিদ্র হলেও যেকোনো ব্যক্তিকে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে। যতটুকু সম্ভব মানুষের উপকার। সত্যি ঘটনা হলো তার জীবনে একটি দুর্ঘটনা হয়েছিল। আজ আমি আপনাদের মাঝে ওই দুর্ঘটনাটি শেয়ার করব।
তিনি একটি গাছ কাটা মেইলে কাজ করতো। দীর্ঘ ২০ থেকে ২৫ বছর যাবত একই জায়গায় কাজ করে আসতেছে। সেখানে কাজ করা অবস্থায় সবার মন জয় করে নিয়েছিল। সততার সাথে দীর্ঘদিন যাবত একই জায়গায় কাজ করে আসতেছে। তার পরিবারটা অনেক বড়। তার নয়জন ছেলে-মেয়ে রয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে একটি ছেলে মেয়েকেও পড়ালেখায় শিক্ষিত করে নিতে পারেনি।
তার জীবনে এটাই ছিল অনেক বড় ব্যর্থতা। ছেলে এবং মেয়েদের যথার্থ চেষ্টা করিয়েছে পড়াশোনা করানোর জন্য। কিন্তু তারা কাজে-কর্মে খুবই দক্ষ ছিল। যেকোনো ধরনের কাজের দক্ষতা ছিল তাদের। একে একে প্রায় তিনটি ছেলেকে প্রবাসে পাঠিয়েছে অনেক কষ্টের বিনিময়। তিনটি মেয়েকে বিয়ে ও দিয়েছে।
মোটামুটি সুখের সংসার চলতেছে তার। কিন্তু তার হল একদিন দুর্ঘটনা , তপজল কাকা তার কাজের জায়গায় একটি দুর্ঘটনা হয়। গাছ কাটার সময় তার একটি হাত কেটে যায়। সেই থেকেই তার কষ্ট শুরু হয়। কারণ এরপর থেকে কোন কাজ করতে পারত না। ছেলেগুলো প্রবাস থেকে টাকা পয়সা পাঠাতো না এত বেশি। এই নিয়ে তার সংসার চলতে খুবই কষ্ট হচ্ছিল।
তারপরও তার ভালো ও মানসিকতার জন্য সবাই তাকে অনেক শ্রদ্ধা সম্মান। যেকোনো ধরনের মানুষকে যে কোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে। আমি একদিন দেখলাম একজন বৃদ্ধ লোককে দুপুর এর সময় তার বাড়ি নিয়ে গেছে। পরের দিন আমি যখন তাকে বলি তাকে বাড়িতে কেন নিয়ে গেছিলেন। তিনি বলল বৃদ্ধ লোকটি নাকি দুইদিন কিছু খাইনি। বিষয়টা জানার পর তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আরও অনেক গুণ বেড়ে গেল।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
সত্যি তাপজল কাকার প্রতি রইল আমার অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। তিনি সমাজে সততা ও ন্যায়ের সাথে দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু আফসোস এবং ঘৃণা তার ছেলেদের জন্য। যাদেরকে তিনি সকল কষ্টের বিনিময়ে বিদেশ পাঠিয়েছেন তারাই আজকে তার কোন খোঁজ খবর নিচ্ছেন না, টাকা পয়সা পাঠাচ্ছেন না। যার কেউ নেই তার আল্লাহ আছে।
বর্তমানে সমাজে এ ধরনের মানুষ পাওয়া খুবই বিরল। গল্পটি আপনি পড়েছেন জেনে খুবই ভালো লেগেছে।
আসল ভাই আমাদের সমাজে বর্তমানে সৎলোকের খুবই অভাব। আর এই সততার সাথে জীবন করলে সে জীবনে অনেক বাধা আসে। তার তাপজাল কাকার গল্পটি পড়ে খুবই খারাপ লাগলো, সে সততার সাথে জীবন পরিচালনা করে।ছেলেদের সুখের জন্য কতই না কষ্ট করেছে। আজ সেই ছেলেরা তার খোঁজ খবর নিচ্ছে না। বিদেশ থেকে কোন টাকা পাঠাচ্ছে না। কষ্টে জীবন যাপন করছে। সত্যিই গল্পটি পড়ে খারাপ লাগলো।
গল্পটি লিখে আমার নিজেরও ভীষণ খারাপ লেগেছে ভাই। পুরো গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
এরাই তো প্রকৃত মানুষ। এদের কারণেই পৃথিবীতে একটি প্রবাদ আজও ঘুরে বেড়াচ্ছে। তা হচ্ছে মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। তপজল কাকার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলেই ঠিক বলেছেন ভাইয়া। পৃথিবীতে কিছু সাদা মনের মানুষ থাকার কারণে এখনো পৃথিবীটা মানবিক। মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া গল্পটি শুনে অনেক খারাপ লাগলো ৷যে বাবা সারা জীবন এতো কষ্ট করে তাদের সন্তানদের কষ্ট করে মানুষ করল৷অথচ শেষ পর্যায়ে এভাবে কষ্টে জীবন যাপন করবে এটা ভাবা যায় না ৷
যাই হোক তপজল কাকার জন্য শুভকামনা রইল।
গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। গল্পটি লিখে আমার নিজের কাছেও খারাপ লেগেছে। সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুবই সংগ্রামের জীবন তপজল কাকার। তিনটি ছেলেকে প্রবাসে পাঠানো তো অনেক কঠিন একটি কাজ। যাহোক,তপজল কাকা তার জীবনের দুঃসময়ে এসেও যে মানুষের সাহায্য সহযোগিতা করছে এটা জানতে পেরে তপজল কাকার প্রতি আমারও অনেকখানি শ্রদ্ধা বেড়ে গেল। আমাদের উচিত এ ধরনের ব্যক্তিদের কাছ থেকে জীবনের সততার শিক্ষাটা গ্রহণ করা।
খুব সুন্দর উপলব্ধি আপনার ভাই। বিষয়টা আপনি খুব সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন। সব সমাজে ভালো কিছু মানুষ থাকে। মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।