শিমুল বাগানের উদ্দেশ্যে যাত্রা পর্ব ২, সুনামগঞ্জ
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- শিমুল বাগানের উদ্দেশ্যে
- ২৪,সেপ্টেম্বর ,২০২৩
- রবিবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লকবাসি কেমন আছেন আপনারা? করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকের পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করব শিমুল বাগানে ভ্রমনের দ্বিতীয় পর্ব। থাকছে শিমুল বাগানে যাওয়ার অভিজ্ঞতা এবং যাত্রাপথের অনেক ধরনের গল্প চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক । গত পর্বে দেখিয়েছিলাম টাঙ্গুয়ার হাওরের কিছু রাস্তা। আজকে ওই রাস্তা ধরে এগোতে থাকি শিমুল বাগানের উদ্দেশ্যে রাস্তাটি যেমন সুন্দর কিছু কিছু জায়গায় ভয়ঙ্কর ভাঙ্গা ছিল। রাস্তাতে এগোতে এগোতে সামনে একটি উঁচু ব্রিজ দেখতে পাই।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
ব্রিজের উপর উঠলেই ওখান থেকে আশেপাশের অসম্ভব সুন্দর প্রকৃতির দৃশ্য দেখা যায়। যেহেতু আমি সম্পূর্ণ রাস্তাটি একাই বাইক রাইড করেছি তাই তেমন ছবি উঠাতে পারিনি। ব্রিজে থেকে সুন্দর প্রকৃতি দেখে আমরা আবার এগোতে থাকি।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
ব্রিজ পার হতেই ভয়ংকার রাস্তাও পাড়ি দিতে হয়। আমরা হাওরের রাস্তা দিয়ে অনেকের বাড়ির উঠানের উপর দিয়েও বাইক রাইড করতে হয়েছে।যেতে যেতে হঠাৎ সামনে দেখি রাস্তা শেষ। রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে গিয়েছে সামনে ব্রিজ দেখা যাচ্ছে কিন্তু মোটরসাইকেল নিয়ে ওইভাবে যাওয়া যায় না।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
এখানে একটি নৌকা চলাচল করে আমাদের নৌকার জন্য অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। তবে বেশ ভালই হয়েছে এই সময়টুকু হাওয়রে পানিতে পা ডুবিয়ে একটু ঠান্ডা অনুভূতি এবং আশেপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। প্রতিটি এলাকার মানুষের কালচার আলাদা তাই অনেক বেশি ভ্রমণ করলে তাদের সাথে কথা বললে তাদের কালচার সম্পর্কে জানা যায়।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
আমরা ওখানে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের মানুষের ব্যস্ততা দেখতে পাই সাথে বাচ্চাদের আনন্দ উল্লাসের সাথে গোসল করার চিত্র খুজে পাই। বাচ্চারা সবসময় অনেক বেশি মজা করে থাকে তাদের তো মাথায় অনেক বড় চিন্তার ভার থাকে না। তাদের হাওরের পানিতে গোসল করা দেখে আমার অনেক খুব তাদের সাথে মজা করতে ইচ্ছে করছিল মনে হচ্ছিল ছোটবেলায় ফিরে যাই।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
আমরা অনেক সময় অপেক্ষা করার পর কাঙ্খিত নৌকাটি চলে আসে আমরা মোটরসাইকেল নৌকায় উঠিয়ে হাওর পাড়ি দেয়া শুরু করি।অবশ্য এটা বেশি দূর যেতে হবেনা সর্বোচ্চ 15 থেকে 20 মিনিট সময় লাগবে তারপরে আমরা আবার রাস্তা দেখা পাব। ঠিক বিশ মিনিট পরেই আমরা নৌকা থেকে নেমে শিমুল বাগানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। যেহেতু আমাদের অপরিচিত রাস্তা তাই এলাকার মানুষের কাছে শুনতে শুনতেই আমাদের শিমুল বাগান পর্যন্ত যেতে হবে। শিমুল বাগানে যেতে অনেক ধরনের রাস্তায় পাড়ি দিতে হয়েছে পাকা রাস্তা, কংক্রিট ঢালাই এবং মাটির কাঁচা রাস্তাও পাড়ি দিতে হয়েছে। শিমুলবাগানটি অবস্থিত যাদুকাটা নদীর পাশেই।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
আমরা এখানে দাঁড়িয়ে যাদুকাটা নদীর সৌন্দর্য এবং শিমুল বাগানের সৌন্দর্য একসাথে উপভোগ করতে পারবো। আমরা সকাল সাড়ে দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে শিমুল বাগানের প্রবেশ পথে চলে আসি। আমরা দুইটি বাইক ওইখানে রেখে জনপ্রতি ২০ টাকা টিকিট ক্রয় করে শিমুল বাগানে প্রবেশ করি। আজকে আর বেশি গল্প না করে শিমুল বাগানের অভ্যন্তরীণ কাহিনী ও মজাদার কিছু গল্প পরবর্তী পোস্টে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ।
শিমুল বাগানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার সময় পথে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। টাঙ্গুয়ার হাওরের ভেতরের ওই রাস্তাটা বেশ সুন্দর ছিলো। অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু এই ভ্রমণ পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বাহ ভাই এক জার্নিতে সবরকম অ্যাডভেঞ্চার পেয়েছেন দেখছি। পানিতে ডুবে যাওয়া ব্রীজ এবং রাস্তা নৌকা ভ্রমণ আর কী চাই হা হা। শিমুল বাগানে প্রবেশের জন্য আবার টিকিট লাগবে বাহ বাহ। যদিও টিকিটের দাম বেশি না। তবে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার পরবর্তীত পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।।
আপনি বরাবরই একজন ভ্রমণপ্রেমী মানুষ এটা আমরা সকলেই জানি কারন আপনার ভ্রমণ করার পোস্ট এর আগেও দেখেছিলাম। শিমুল বাগান দেখতে গিয়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বোঝাই যাচ্ছে তবে এটা দেখে অনেক বেশি অবাক হলাম যে রাস্তায় এত বেশি ভাঙ্গা হলো কিভাবে...?? যাইহোক রাস্তা দিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় হঠাৎ করেই রাস্তা শেষ হয়ে গেল এবং সেখানে সামনেই পানি যদিও সেই সময়টাতে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে পানির মধ্যে পা নামিয়ে দিয়ে বসে থাকে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার সুন্দর এই অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে ব্রিজ পার হয়ে সেখানে রাস্তাটা অনেক খারাপ তাছাড়া মজার বিষয় হচ্ছে নৌকার জন্য অপেক্ষা করার পাশাপাশি পানিতে পা ডুবিয়ে পা ঠান্ডা করেছেন হা হা হা।