আমঝুপি নীলকুঠি ভ্রমণ পর্ব -১
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। বেশ কিছুদিন ধরে আমার অর্ধাঙ্গিনী আমাকে বলছিল কোথাও ঘুরতে নিয়ে যেতে কিন্তু সময়ের স্বল্পতার কারণে তাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে পারছিলাম না। আসলে স্কুল নিয়ে এত ব্যস্ত সময় পার করছি যেখানে পরিবারকে খুব একটা বেশি সময় দিতে পারছিলাম না। হঠাৎ পূজোর ছুটি হবার কারণে চিন্তা করলাম এই সুযোগে তাকে নিয়ে একটু ঘুরে আসি। আমরা এই দিনে বেশ কিছু জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম, পর্যায়ক্রমে আমি সেই সকল জায়গায় সম্পর্কে পোষ্টের মাধ্যমে শেয়ার করব। আশা করি এই পোস্টগুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে আর আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা অজানা কিছু জিনিস সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন।
প্রথমেই আমরা যে জায়গাটিতে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেই জায়গাটির নাম আমঝুপি নীলকুঠি। এটি মেহেরপুর জেলায় অবস্থিত গাংনী থানার একটা জায়গা। জায়গাটি আমার বাড়ি থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আমরা সেখানে মোটরসাইকেলে গিয়েছিলাম তাই আমাদের খুব একটা বেশি সময় লেগেছিল না।ইংরেজরা যখন এ দেশে নীল চাষ করত তখন এই জায়গাটি ছিল তাদের একটি ঘাঁটি। ইংরেজরা আমাদের দেশে প্রায় ২০০ বছরের মতো রাজত্ব করেছিল আর তাদের রাজত্ব করার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল এ দেশে নীল চাষ করা। এই জায়গাটিতে থেকে তারা পার্শবর্তী সকল এলাকায় নীল চাষ পরিচালনা করত। আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে আমি উপরে আমঝুপি নীলকুঠির একটি নকশা দিয়ে দিয়েছি।
প্রবেশের পরে আমি সেখানে আমঝুপি নীলকুঠির ইতিহাসের কথাগুলো দেখতে পেলাম। যেখানে আমঝুপি নীলকুঠির ইতিহাস গুলো খুব সুন্দরভাবে লিপিবদ্ধ করা রয়েছে। আপনাদের জানার সুবিধার্থে আমি সেই ছবিটিও আপনাদের মাঝে শেয়ার করে দিলাম আপনারা এটা দেখে নিতে পারবেন।
এরপরে আমি সেখানে দেখতে পেলাম বাংলাদেশের ইতিহাসের বিষয়গুলো খুবই সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই ব্যানারটি পরলে আমাদের দেশের ইতিহাস গুলো খুব সহজেই জানতে পারা যায়। তাই আমি সেই জিনিসটিও আপনাদের মাঝে একটা ছবির মাধ্যমে শেয়ার করে দিয়েছি।
এরপরে আমি আরও একটি ব্যানার দেখতে পেলাম যেখানে খুবই সুন্দরভাবে নীল উদ্ভিদ এবং এর উৎপাদন সম্পর্কে সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ইংরেজদের শাসনামলে এই অঞ্চলগুলোতে নীল চাষী ছিল প্রধান উৎপাদনের ফসল। কিন্তু ইংরেজরা চাষীদের কে জোরপূর্বক নীল চাষ করা তো তাই বাংলার চাষীরা বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। যার ফলে বাংলার মানুষেরা নীল চাষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলে।
ভেতরে প্রবেশ করার পরে আমি সেখানে একটা নীল গাছের ছবি দেখতে পেলাম। ছবিটি সাদা কালো ক্যামেরায় তোলা অথবা অঙ্কন করা হয়েছিল যার কারণে খুব একটা ভালো বোঝা যাচ্ছে না।
আমঝুপি নীলকুঠি নিয়ে আমার সিরিজের আজকের প্রথম পর্বটি এ পর্যন্তই সমস্ত করছি। পরবর্তী পর্বগুলোতে আরো আকর্ষণীয় সকল জিনিস নিয়ে হাজির হব। যার মাধ্যমে আপনারা কিছু অতীত ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে পারবেন।
শ্রেণী | আমঝুপি নীলকুঠি ভ্রমণ পর্ব -১ |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি সি ২৫ এস ৪৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্ট তৈরি | @mostafezur001 |
লোকেশন | আমঝুপি,গাংনী, মেহেরপুর, বাংলাদেশ |
W3W | https://w3w.co/breastfeeding.glassware.repurpose |
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR