অন্য রকমের একটা অনুভূতি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শনিবার , নভেম্বর ১২ /২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। বেশ কয়েকদিন থেকে আজকের এই দিনটির জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। অনেকদিন থেকেই শুনছিলাম আমাদের গ্রামে নাকি ১২ নভেম্বর একটা ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হবে। এই ধরনের ওয়াজ মাহফিল গুলোতে গ্রামের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের অনেক মজা করতে দেখতে পাওয়া যায়। মূলত আমি সেই বিষয়গুলো আজকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরব।
অবসানের পর্ব শেষ হয়ে যাবার পরে যখন দিনটি আসলো তখন নিজের মনের মধ্যেই একটা অন্য রকমের আনন্দ অনুভূতি কাজ করছিল। আমি মনে মনে ভাবছিলাম আমার মনের মধ্যে যদি এমন আনন্দ অনুভূতি বিরাজ করে তাহলে যে সকল ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা আমাদের গ্রামে রয়েছে তাদের মনের মধ্যে কতটা আনন্দ অনুভূতি বিরাজ করছে। আমি যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম আমার সেই ছোটবেলার জীবন কাহিনীতে। মনে পড়ছিল ছোটবেলায় আমিও হয়তোবা গ্রামের ওয়াজ মাহফিল গুলোতে এই ধরনের মজা করতাম যা এখনকার ছেলেমেয়েরা করছে।
ওয়াজ মাহফিল দেখার জন্য আমরা তিনজন গিয়েছিলাম সন্ধ্যার সময়। আমি @kibreay001 এবং @tuhin002 এই তিনজন সেখানে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পরে সেখানে আমরা দেখতে পেলাম একটা মেলার মত অবস্থা বিরাজ করছে। প্রচুর পরিমাণে খাবারের দোকান দেয়া হয়েছে সেখানে এমনকি কসমেটিক্স, ছোট ছেলে মেয়েদের খেলার দোকানও দেয়া হয়েছে সেই জায়গাটিতে। দেখে যে কোন মানুষ মনে করবে যেন এটা কোন একটা আনন্দ উৎসব।
আসলে এই ধরনের দিনগুলোতে একটা আনন্দ উৎসব বিরাজ করে থাকে আমাদের গ্রামে। প্রত্যেক বছর এই ধরনের আনন্দ উৎসবের সাক্ষী হয়ে আমরা। দূর দূরান্ত থেকে আত্মীয়রা চলে আসে বাড়িতে এমন কি যারা গ্রামের বাইরে থাকে চাকরির জন্য তারাও গ্রামে চলে আসে এই দিনটি পরিবারের সাথে উপভোগ করার জন্য। আমরা সেখানে যাবার পরে বিভিন্ন জিনিস খেতে শুরু করে দিলাম। তুহিন ভাই একটু মিষ্টি প্রিয় মানুষ তাই সে প্রথমে আমাদেরকে বলল চল আমরা প্রথমে জিলাপি খাই। জিলাপি খাওয়ার পর বস শেষ হয়ে যাবার পরে আমরা চানাচুর ভাজা খেলাম। তারপরে আমরা বড়া ভাজা খেলাম। আরো কি কি যেন খেলাম সেটা মনে নেই। আসলে সেখানে যাবার পরে খাওয়ার উপর এ ছিলাম যার কারণে মনে করতে পারছিনা কি কি খেয়েছি। সেখানে যাবার পরে আমার স্কুলে অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে দেখা হয়েছিল। তারা স্যার স্যার করতে করতে দৌড়ে চলে আসলো আমার কাছে। বিষয়টি আমার কাছে আরো বেশি ভালো লেগেছে।
অন্যান্য বছরগুলোতে এই দিনটিতে ঢাকা শহরে থাকতে হতো আমাকে যার কারণে অনেকদিন পর এমন একটা দিন উপভোগ করতে পারলাম। অনেকদিন পর এই দিনটি উপভোগ করতে পেরে সত্যিই আমার অনেক ভালো লেগেছে। আর বারবার মনে পড়ে যাচ্ছিল আমার সেই ছোটবেলার কথা গুলো।
আজকে আর আমি আপনাদের মাঝে বেশি কিছু বলছি না। আজকের মত এ পর্যন্তই শেষ করেছি। পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোস্টের মাধ্যমে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সত্যি শীতকাল এলেই ওয়াজ মাহফিল শুরু হয়ে যায়। আপনার ওয়াজ মাহফিলের কথা শুনে, সেই ছোট বেলায় ফিরে গিয়েছিলাম কিছু ক্ষণের জন্য। আসলে আমরা ছোটবেলায় ওয়াজে অনেক আনন্দ করতাম। যাইহোক আপনারা তো ওয়াজে জিলাপি, চানাচুর ইত্যাদি খেলেন। আমাদের বললে ও পারতেন হা হা হা।
ভুলেই গিয়েছিলাম আপু অবশ্যই পরের বার আপনাকে আগে থেকে দাওয়াত করে রাখবো
অনেক ছোট বেলায় আমাদের গ্রামে, নানু বাড়িতে ওয়াজ মাহফিল হতো।তখন ছোট ছিলাম খুব মজা করতাম।ঘুরাঘুরি, খাওয়া কি যে মজা হতো।অনেক বছর আর ওয়াজ মাহফিল হয়না।😪
আমিও অনেক বছর পরে গ্রামের এই ধরনের মাহফিলে থাকতে পেরে খুবই মজা পেয়েছি
সবাই মিলে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন । পোস্ট দেখে সত্যি অনেক অনেক ভালো লাগলো। আসলে গরম গরম জিলাপি খেতে কি যে মজা তা বলে বোঝানো যাবে না। এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
সেটা একদম ঠিক কথা বলেছেন গরম গরম জিলাপি খাবার মজাই আলাদা
শীতকাল এলেই চারপাশে ওয়াজ মাহফিল শুরু হয়ে যায়। শীতের সময় ওয়াজ মাহফিল শুনতে ভালই লাগে। তবে সেখানে কিন্তু অনেক খাবারের দোকান দেখতে পাওয়া যায়। এই দিনটির জন্য সবাই অপেক্ষা করে। আসলে আলাদা রকমের উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার অনুভূতি জেনে।
এটা ঠিক যে শীতকাল আসলেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের মাহফিল দেখতে পাওয়া যায়
আসলেই ভাই গ্রামে গঞ্জের এমন ওয়াজ মাহফিল এ খুব সুন্দর একটা পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সেখানে দেখা যায় ছোটখাট এক মেলা। ছোট বেলায় যখন গ্রামে থাকতাম তখন এই জিনিশ গুলো বেশি উপভোগ করতাম। এখন অবশ্য শহরে খুব একটা ওয়াজ মাহফিল পাইনা। পেলেও দূরে দূরে। তাই আর আলসেমি করে যাওয়া ও হয়না।
ছোটখাটো বলা ঠিক হবে না ভাইয়া এখন খুব বড় ধরনের মেলার মতো আঁকার ধারণ করে
যদিও আমার এলাকায় এমন কোন ওয়াজ হয় না। তাই কোন আইডিয়া নেই, তবে একবার বান্ধবীর সাথে ওর স্কুটিতে করে বারাসতে গেছিলাম এমন শীতের সময়েই। তখন দেখেছিলাম এক জায়গায় অনেক ইসলাম ধর্মের মানুষ জড়ো হয়েছেন এবং ওয়াজ শুনছিলেন। আমরাও কিছুক্ষণ দাঁড়ালাম। যেহেতু আরবি ভাষার বিষয়ে কোন নলেজ নেই। তাই বুঝতে পারি নি। তবে এমনই অনেক দোকান বসেছিল ওই ওয়াজ কে কেন্দ্র করে। মাঝে মাঝে এমন ধর্মীয় জায়গায় গেলে মন ভালোই থাকে।
ঠিক কথা বলেছেন আপু এই ধরনের ধর্মীয় জায়গায় গেলে মনটা ভালো হয়ে যায়
শীতকালে চারদিকে ওয়াজ মাহফিল হয়। এবং ওয়াজ মাহফিলের সাথে সাথে এখানে ছোটখাটো মেলা বসে। আপনি এরকম ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে বন্ধুদের সাথে অনেক আনন্দ এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন। ছোটবেলায় আমরাও এরকম গিয়ে খুব আনন্দ করতাম। আপনার এই ওয়াজ মাহফিলে গল্প গল্পটি পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে এটা ছোটবেলার কথা মনে পড়িয়ে দেবার মতই একটা জিনিস
এ ধরনের ওয়াজ মাহফিলে যেতে আমার অনেক ভালো লাগে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এখন আর যাওয়া হয় না। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
এটাই তো আমাদের সব থেকে বড় সমস্যা, ইচ্ছা থাকলেও সময় থাকে না।
শীতকালে আমাদের এদিকেও বড় বড় ওয়াজ মাহফিল হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত ওয়াজ হয়ে থাকে। ছোটবেলায় আমরাও বাড়ির পাশে ওয়াজ হলে যেতাম। ভালো ভালো জিনিস গুলো কিনতাম এবং খেতাম। আপনারা তিন বন্ধু মিলে খুব সুন্দর করে ওয়াজে মাহফিলে গেলেন। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক ধরনের খাবার ও বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র ওখানে দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে। ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের গ্রামেও দুই তিন দিন পর্যন্ত যে ধরনের ওয়াজ মাহফিল হয় সেগুলো হয়ে থাকে ,কিছুদিন পরে সেটা হবে।