আমঝুপি নীলকুঠি ভ্রমণ পর্ব -২
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। প্রথম পর্বে আমি আমঝুপি নীল কুঠির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়েছিলাম এবং নীল চাষের বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করেছিলাম। আমঝুপি নীলকুঠিতে যাবার পরে আমি সেখানে বিভিন্ন ধরনের অতীতের নিদর্শন দেখতে পেলাম যা আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে চিন্তা করেছি। প্রত্যেকটি জিনিস অনেক আগের তাই সেগুলোকে খুবই সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে আমঝুপি নীলকুঠিতে। তো চলুন আজকে দেখে নেয়া যাক সেখানে কি কি সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে..…
প্রথমেই আমরা সেখানে একটি পাদনিযুক্ত পাত্র দেখতে পেলাম। এটি অনেক দিন আগেকার হবার কারণে এভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে আমঝুপি নীলকুঠিতে। মূলত এই পাদনি নিযুক্ত পাত্রটি ইংরেজদের শাসনামলে ব্যবহার করা হতো।
এরপরে আমরা একটি পাথর দেখতে পেলাম। যে পাথরটি অতীতে পতি তৈরীর কাজে ব্যবহার করা হতো। এটিও অনেক দিন পুরোনো তাই খুবই যত্ন সহকারে সেটি আমাদের এই আমঝুপি নীলকুঠিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এরপরে আমরা খুবই স্বল্প মূল্যমানের পুতি, কার্নেলিয়াম দেখতে পেলাম। সত্য কথা বলতে এই জিনিসটি আমি আমঝুপি নীলকুঠিতে যাবার আগে কোন সময় দেখেছিলাম না। অতীতে এই জিনিসটির মূল্য খুব কম থাকলেও বর্তমানে এই জিনিসটি আর পাওয়া যায় না বলে এটার মূল্য প্রচুর পরিমাণে। তাই এটাকে খুবই সুন্দরভাবে সেখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এরপরে আমরা অতীতের ব্যবহৃত পোড়ামাটির তৈরি একটা খেলনার ভগ্নাংশ দেখতে পেলাম। হয়তোবা এই খেলনাটি আরও বড় আকৃতির ছিল কিন্তু ভেঙে যাবার পরে বাকি অংশগুলো হারিয়ে গিয়েছে। তাই যে অংশটুকু খুঁজে পাওয়া গিয়েছে সেই অংশটুকুই আমাদের এই আম ছবি নীলকুঠিতে খুবই সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এরপরে আমরা প্রত্নতান্ত্রিক খননে উন্মোচিত সঞ্চয়াধার মটকা বা কোলা দেখতে পেলাম। যদিও ছবিতে জিনিসটা খুব একটা ভালোভাবে বোঝা যাচ্ছে না কিন্তু ও সত্যি কারের এটা অনেক সুন্দর ছিল।
এরপরে আমরা সেখানে হাতির দাঁতের তৈরি নকশা কিন্তু একটা বস্তু দেখতে পেলাম। এর আগে আমি কোনদিন হাতির দাঁতের তৈরি কোন জিনিস দেখেছিলাম না। আমঝুপি নীলকুঠিতে যাবার পরেই আমি সেটা প্রথমবারের মতো দেখতে পেয়েছি।
এরপরে আমরা অতীতের তৈরি করা পোড়ামাটির একটা প্রদীপ দেখতে পেলাম। বর্তমান সময়ে আমরা এই ধরনের প্রদীপ গুলো পূজোতে ব্যবহার হতে দেখতে পাই।
আমঝুপি নীলকুঠিতে ভ্রমণের পরে আমরা আরো অনেক ধরনের জিনিস দেখতে পেয়েছিলাম। একটি পোষ্টের মধ্যে সকল জিনিস আপনাদেরকে দেখানো সম্ভব হচ্ছে না তাই আমি পরবর্তী কোন একটা পোষ্টের মাধ্যমে জিনিসগুলো দেখানোর চেষ্টা করব। প্রত্নতান্ত্রিক এই নিদর্শনগুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের সাথে দেখা হবে আবারো কোন একটা পোষ্টের মাধ্যমে।
শ্রেণী | আমঝুপি নীলকুঠি ভ্রমণ পর্ব -২ |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি সি ২৫ এস ৪৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্ট তৈরি | @mostafezur001 |
লোকেশন | আমঝুপি,গাংনী, মেহেরপুর, বাংলাদেশ |
W3W | https://w3w.co/breastfeeding.glassware.repurpose |
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমঝুপি নীলকুঠিতে আমিও অনেক আগে একবার গিয়েছিলাম। কিন্তু এগুলো তখন আমি দেখেছিলাম না আপনার ফটোগ্রাফি জিনিসগুলো দেখে খুব ভালো লাগলো হাতির দাঁত দিয়ে বানানো কোন জিনিস আমিও আজ পর্যন্ত দেখিনি। আপনার ফটোগ্রাফিতে দেখে ভালো লাগলো।
আসলে এই ঘর গুলো সব সময় খোলা থাকে না যার কারণে আমরা সব সময় এগুলো দেখতে পারি না। কিন্তু এইবার যখন আমি আমঝুপি নীলকুঠিতে গিয়েছিলাম তখন দেখছি সবগুলো ঘর খোলা ছিল।
আমঝুপি নীলকুঠি ভ্রমণে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপনার পূর্ববর্তী পড়ে খুব ভালো লাগলো। এতো সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলে ভাইয়া এই জায়গাটি ভালো লাগার মতই একটা জায়গা। এখানে গেলেই মন ভরে যায়।