আসসালামু আলাইকুম/আদাব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বুধবার, নভেম্বর ১৬/২০২২

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। কয়েকদিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিশ্বকাপ ফুটবল। আর এই বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে বর্তমান সময়ে যত ধরনের সমস্যা করা যায় আমাদের সমাজে। বিশেষ করে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের সাপোর্টারদের মধ্যে থেকে এই ধরনের সমস্যাগুলো বেশি দেখতে পাওয়া যায়। তারা দুই দলে এতটাই বেশি বিভক্ত হয়ে যাই যেখানে আত্মীয়-স্বজনের কথাও চিনতে পারেনা। এমন কিছু পরিবারও দেখতে পাওয়া যায় যেখানে বাপ ছেলের শত্রু হয়ে যায় আর ছেলে বাপের শত্রু হয়ে যায় শুধুমাত্র এই আর্জেন্টিনা ব্রাজিল কে নিয়ে। এই আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলকে নিয়ে ফুটবল খেলার রেস্ট ধরে বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ধরনের নাটক তৈরি হচ্ছে। তেমনি একটা নাটকের রিভিউ হবে আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি। চলুন শুরু করা যাক...

নাটক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য

সিনেমার নাম	ব্রাজিলের পোলা আর্জেন্টিনার মাইয়া
পরিচালক	শিউল বাবু
অভিনয়	সাগর মৃধা , রিয়া চৌধুরী , রনি খান , রত্না খান সহ আরো অনেকে
দৈর্ঘ্য	৩২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড
ভাষা	বাংলা
মুক্তির তারিখ	২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং।

নাটকের সারসংক্ষেপ

^{মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নেওয়া হয়েছে}

নাটকের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই আর্জেন্টিনার সাপোর্টার ব্রাজিলের সাপোর্টার ফুটবল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ব্রাজিলের সাপোর্টার সেই ফুটবল দিয়ে আর্জেন্টিনার সাপোর্টারের গায়ে মারে আর এর মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ঝগড়া।

^{মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নেওয়া হয়েছে}

সেই ঝগড়াই অংশগ্রহণ করার জন্য চলে আসে তাদের ছেলে এবং মেয়ে। একপর্যায়ে তারা একে অন্যের সাথে পানি দিয়ে মারামারি শুরু করে দেয়।

^{মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নেওয়া হয়েছে}

তারপরেতে আমরা দেখতে পাই ব্রাজিলের সাপোর্টারের জার্সিটা রোদেতে শুকাতে দেয়েছে, আর সেখানে আর্জেন্টিনার সাপোর্টার এসে তার জার্সিটা ফেলে দেয়। এটা দেখেই শুরু হয়ে যায় পুনরায় তাদের মধ্যে ঝগড়া। এইসব অংশগ্রহণ করার জন্য আর্জেন্টিনা সাপোর্টারের বাবা এবং ব্রাজিলের সাপোর্টারের মা চলে আসে।

^{মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নেওয়া হয়েছে}

এরপরের দেশে আমরা দেখতে পাই আর্জেন্টিনার সাপোর্টার এবং ব্রাজিলের সাপোর্টার কোথাও এক জায়গায় যাবে। তারা একটা অটো রিক্সা কে দাঁড় করায় শেখান থেকে অন্য কোথাও যাবার জন্য। কিন্তু অটো চালক তাদেরকে বলে আমি জার্মানির সাপোর্টার ফলে আমি আর্জেন্টিনা ব্রাজিল সাপোর্টারদের কে আমার অটো রিক্সায় তুলি না।

^{মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নেওয়া হয়েছে}

এরপরের দৃশ্যে আমরা দেখি ব্রাজিলের সাপোর্টার আর্জেন্টিনার সাপোর্টারের বাড়িতে একটা পোস্টার লাগিয়ে এসেছে। সেই পোস্টটা দেখে তো আর্জেন্টিনা সাপোর্টারদের কপালে চোখ উঠে গিয়েছে।

^{মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নেওয়া হয়েছে}

এরপরের দৃশ্যে আমরা দেখতে পাই আর্জেন্টিনার সাপোর্টারের বিয়ে এসেছে কিন্তু ব্রাজিলের সাপোর্টার শত্রুতা করে সেই বিয়ে ভেঙে দিচ্ছে।

^{মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নেওয়া হয়েছে}

এই ঘটনাতে বাবা মেয়ে প্রচুর পরিমাণে রেগে যায় আর চলে যাই ব্রাজিলের সাপোর্টারের বাড়িতে নালিশ করার জন্য। সেখানে লালেশনে তাদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ঝগড়া তৈরি হয়।

^{মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নেওয়া হয়েছে}

এরপরে আমরা দেখতে পাই তারা সকলে একত্রিতভাবে আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিলের খেলা দেখছে। যখনই আর্জেন্টিনা একটা গোল খেয়ে যায় তখনই আর্জেন্টিনা সাপোর্টার হার্ট অ্যাটাক করে। এটা দেখে সকলে তাকে নিয়ে হসপিটালে চলে যাই।

^{মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নেওয়া হয়েছে}

এরপরে তারা সকলে সকালবেলা একটা জায়গায় বসে এবং তারা তাদের ভুল বুঝতে পারে যে অন্য দেশকে নিয়ে এত মাতামাতি না করে নিজের প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্ক ভালো রাখার প্রয়োজন। কারণ বিপদের সময় এই প্রতিবেশীরাই এগিয়ে আসে।

ব্যক্তিগত মতামত

ব্যক্তিগতভাবেই এই নাটকটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনারা অনেকে হয়তোবা এই নাটকটি দেখে একটা মজার বা ফানি নাটক বলতে পারেন কিন্তু আমি মনে করি এটা খুবই শিক্ষামূলক একটা নাটক। কেননা বর্তমান সময়ে আমরা এই দুটো দল নিয়ে এতটাই মাতামাতি শুরু করে দেই যার ফলে আমাদের প্রতিবেশীর সাথে খারাপ ব্যবহার করি। এমনকি রক্তের সম্পর্কের মানুষের সাথেও ঝগড়াঝাঁটিতে লিপ্ত হয়ে যায় শুধুমাত্র এই খেলাকে ঘিরে। কিন্তু সত্য কথা তারা খেলে তাদের দেশের জন্য কিন্তু আমরা তাদেরকে নিয়ে একটু বেশি বেশি করে ফেলি। আমাদের সকলের উচিত তাদের খেলাকে কেন্দ্র করে ঝগড়াঝাঁটিতে লিপ্ত না হয়ে ভালোভাবে সকলের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা।

নাটকটির আমি আমার ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট দিবো ১০ এর মধ্যে ৯.৫