শৈশবে ফেলে আসা দিন গুলি||@shy-fox 10% beneficiary @abb-school 5%

আসসাামুআলাইকুম ও নমষ্কার,

আমার সকল প্রিয় ভাই ও বোনেরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করছি সৃষ্টিকর্তা অসীম করুণাময় আপনারা সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভাল আছি।

pexels-nothing-ahead-3715315.jpg

সোর্স



আমাদের শৈশবে ফেলে আসা দিন গুলি নিয়ে কিছু সৃতি চারণ করছি। শৈশবে দিন গুলির কথা মনে পড়লে পরম সুখ অনুভব হয় ও মনে শান্তি আসে। আমাদের সেই শৈশবের অঙ্গিন অধ্যায় দিন গুলি কতই না মধুর। আমাদের সকলের ইচ্ছা সেই ছোট বেলার দিন গুলি ফিরে পেতে। আমাদের দিন গুলি সবচেয়ে মধুর সময় যেটি, সেটি হলো শৈশবে দিনগুলি। আমার যখন ছোট থাকি তখন মনে হয় বড় হলে মনে আমাদের জীবনটা কত সুখময় হবে। যখন আমরা বড় হই তখন প্রতি মহত্বের ফিরে পেতে ইচ্ছা করে শৈশবে দিন গুলি।

🌹ছোটবেলার দিনলিপি 🌹



ছোটবেলায় ভাই ও বোনদের সাথে যখন ঘুমাতাম। খুব সকালে মা বাবা আমাদেরকে ডেকে ঘুম জাগ্রত করে দিত। হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে পড়ার টেবিলে বসতে বলতো। আবার স্কুলে যাওযার সময় মা গোসল করিয়ে খাওয়া দাওয়া করিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে দিতো। ভাই বোন ও বন্ধু সাথে স্কুলে যেতাম। আবার বাড়ি ফিরতাম যখন প্রায় দুপুর হয়ে যেত।

তারপর মায়ের হাতে দুপুরের খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম নিতাম। ব্যাট বল হাতে নিয়ে খেলার মাঠে বন্ধুদের সাথে খেলতে যেতাম। খেলার মাঠে আমাদের হৈহল্লোর করে সময় কাটাতাম। সন্ধ্যা নামলেই বাড়ী ফিরে আসতাম। হাত মুখ ধুয়ে মা আমাদেরকে পড়ার টেবিলে বসতে বলতো। আমরা মনযোগ দিয়ে পড়া চেষ্টা করতাম। মা বাবা পড়ার সময় আমাদের সাহায্য করতেন। রাত নয়টার বা দশ টা সময় পড়া শেষ করে বাবার সাথে টিভি অনুষ্ঠান দেখতাম। তার পর রাতের খাবার খেয়ে ভাই ও বোনদের সাথে ঘুমাতে যেতাম।

🌹শৈশবে উৎসবের দিনগুলি🌹



শৈশবে উৎসবের দিনগুলি আরও সুন্দর হয়ে থাকে। আমাদের সবচেয়ে বছরের দিনগুলি আনন্দময় হয়। সেই উৎসবের দিন গুলির উপলক্ষ করে আমাদের নতুন নতুন জামাকাপড় কিনে দেয়া হয়। বাবার মার সাথে হইহল্লোর করে নতুন কাপড় কিনতে যেতাম। আমাদের ঈদের দিনে বাবার সাথে ঈদগায়ে যেতাম নামাজ পড়তে। ঈদের নামাজ পড়ে আমার বাসায় ফিরে আসতাম। মা আমাদের জন্য সুন্দর সুন্দর পিঠা পায়েস রান্না করে রেখে দিতো। আমার মজা করে সবাই মিলে একসাথে খেতাম। বিকালে ভাই বোনদের সাথে মেলায় যেতাম মেলাতে অনকে খেলনা কিনে নিয়ে আসতাম। সেই উৎসবের দিন গুলি এখন খুব মনে পড়ে। আনন্দময় দিনগুলি আসলে ভুলার নয়।

🌹আমাদের শৈশবের বিদ্যালয় 🌹



আমাদের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হচ্ছে বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে আমাদের প্রিয় স্থান হচ্ছে স্কুলের আঙ্গিনা।
আমাদের বিদ্যালয়ে বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা ও খোলা
উন্মুক্ত পরিবেশে সময় কাটাতাম। কেউ আমাদের বাঁধা বরণ করতোনা। আমরা এখানে মুক্ত বিহঙ্গ, যে নিজের ডানা মেলে অবাধে ভেসে চলে শান্তিময় স্বাধীনতার নিরাপদ পরিসরে। আমরা বিদ্যালয়ে যাওযার জন্য খুব উদগ্রীব থাকতাম। বেশি অসুস্থ্য নাহলে আমার স্কুলে যেতে মিস করতাম না। ছোটবেলায় স্কুল যেনো আমাদের প্রাণ কেন্দ্র ছিল। স্কুলের মজার সময় গুলি মনে পড়তো।

🌹ছোটবেলার বাবা মার শাসন🌹



ছোটোবেলার বাবা মার শাসন ছিল মমতাময়। কোন প্রকার দুষ্টুমি করলে বাবা মা আমাদেরকে কাছে ডেকে নিয়ে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতো। কোনো বকা ঝকা করতো না। শুধু বলত এই কাজ করা যাবে না। এটা করলে তোমাকে খারাপ দেখাবে ইত্যাদি বলে শাসন করত। বাবা মা ঐ মধুর শাসন গুলি এখন আমরা খুব মিস করছি।

আমাদের এই শৈশবের দিনগুলি লিখে শেষ করা যাবেনা। কতই না জমায় রয়েছে সেই শৈশবের দিনগুলি। আজ বড় হয়ে বুঝতে পারছি। ছোটবেলার দিন গুলি আর কখনো ফিরে পাবোনা। আর কখনো ফিরে ফিরে পাবোনা। বিদ্যালয়ের বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো। এখন শৈশবে ফেলে আসা দিন গুলি সৃতির পাতায় রয়ে যাবে।

আমার পরিচয়

আমার নাম মোশারফ হোসেন। আমার বাড়ী থানা ইসলাম পুর জেলা জামালপুর। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বয়স ৩০ বছর। আমি একজন বিবাহিত। আমার স্ত্রী একজন গৃহিণী। আমার দুটি সন্তান রয়েছে। একটি মেয়ে একটি ছেলে।
আমার সুখী পরিবার। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

সবাইকে ধন্যবাদ,

@mosarofhosen

Sort:  
 2 years ago 

চমৎকারভাবে আপনি ছোটবেলার স্মৃতি গুলো তুলে ধরেছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমার অনেক ভালো লেগেছে তবে আপনি যে ছবিটি ব্যবহার করেছেন সেই ছবিটি সোর্স আপনি ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারেননি। অনুগ্রহ করে Discord এ আমাকে মেনশন দিন।

 2 years ago 

একেক জনেন ছোটবেলা একেক রকম হওয়া সত্ত্বেও কিছুটা ভিন্ন আছে।যাই হোক আপনার ছোটবেলার পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 59185.02
ETH 2522.04
USDT 1.00
SBD 2.47