নাটক রিভিউ || সুইট কাপল
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে সুইট কাপল। এই নাটকটি সপ্তাহ খানেক আগে রিলিজ হয়েছে। এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এবং তানজিম সাইয়ারা তটিনী। অপূর্ব এর নাটক প্রায়ই দেখা হয় আমার। তবে এই নায়িকার বেশ কয়েকটি নাটক ইতিমধ্যে দেখা হয়েছে আমার। এই দুজনের জুটি দারুণ লাগে আমার এবং দিনদিন এই জুটির জনপ্রিয়তা অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
নাটক | সুইট কাপল |
---|---|
রচনা | সাকিব রায়হান |
পরিচালনা | নাজমুল রনি |
অভিনয়ে | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তানজিম সাইয়ারা তটিনী,মিলি বাশার,মৌ শিখা,আনন্দ খালেদ, পামির খান এবং আরো অনেকে |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
প্রচার | ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ |
দৈর্ঘ্য | ৪৫ মিনিট |
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী নিম্নরুপঃ
নাটকের নায়ক অপূর্ব নাটকের নায়িকা তটিনীকে দেখতে যায় তাদের বাসায়। যদি একে অপরকে পছন্দ করে তাহলে তাদের বিয়ে হবে। অপূর্বর সাথে অপূর্বর মা এবং বন্ধু আনন্দ খালেদ যায় মেয়েদের বাসায়। যাইহোক অপূর্ব এবং তটিনী দুজন দুজনকে পছন্দ করে। তটিনীর ছোট ভাইয়ের কাহিনী দেখে খুব হাসি পেয়েছিল। কারণ অপূর্বকে দেখলেই ঈদের সালামি চায় তটিনীর ছোট ভাই। যাইহোক পাত্র পক্ষ চলে যাওয়ার পর তটিনী তার মা বাবাকে বলে সে এখন বিয়ে করতে চায় না। তবে সবাই বুঝানোর পর তটিনী বিয়ে করতে রাজি হয়। অপূর্ব এবং তটিনী এরপর বেশ কয়েকবার দেখা করে রেস্টুরেন্টে। কিছুদিন পর তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের রাতে আবারো তটিনীর ছোট ভাই অপূর্বর কাছ থেকে ঈদের সালামি চায়।
টাকা নেওয়ার দারুণ একটি টেকনিক বের করেছে তটিনীর ছোট ভাই। যাইহোক বেশ সুখেই কাটছিলো তাদের সংসার। অপূর্ব অনেকটা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল তটিনীর উপর। অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসতো। মাঝে মধ্যে বাসায় পঁচা মাছ নিয়ে আসতো। এগুলো দেখে তটিনীর ভীষণ রাগ উঠতো। একদিন অপূর্ব এবং তটিনী যখন কথা বলছিল,তখন তটিনী মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার সময় অপূর্ব ধরে ফেলে। তটিনী সাথে সাথে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তারপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর টেস্ট করে দেখতে পায় তটিনীর মাথায় ব্রেন টিউমার হয়েছে। এটা শুনে অপূর্ব এবং উভয় পরিবার ভীষণ কষ্ট পায়। অপূর্ব এবং তটিনী সারাক্ষণ মন খারাপ করে বসে থাকে এবং প্রায়ই কান্না করে। দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে প্রচুর কান্নাকাটিও করে।
আসলে বিয়ের পরে অল্প সময়েই দুজন দুজনের খুব আপন হয়ে যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তটিনীর বাবা তটিনীকে নিয়ে জার্মানি যাবে। কিন্তু অপূর্বকে সাথে নিয়ে যাবে না। কারণ অপূর্ব তটিনীকে সেই অবস্থায় দেখলে একেবারে সহ্য করতে পারবে না। অপূর্ব ভীষণ কষ্ট পাবে,সেটা ভেবে তটিনী অপূর্বকে সাথে করে নিয়ে যাবে না। তবে অপূর্ব তটিনীর সাথে জার্মানি যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিল। তটিনী অপূর্বকে বলে চিকিৎসা করার পর যদি তটিনী মারা যায়, তাহলে আবার বিয়ে করতে। যদি চিকিৎসা করার পর তটিনী প্রতিবন্ধী হয়ে যায়, তাহলে যেন অপূর্ব তার সাথে যোগাযোগ না করে। মোটকথা তটিনী পুরোপুরি সুস্থ হলেই অপূর্বর সাথে আবার দেখা হবে। নয়তো অপূর্বর সাথে আর কখনো দেখা হবে না তটিনীর। এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।
উপরের সবগুলো ছবি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের লিংক👇👇
ব্যক্তিগত মতামত
আমরা যখন কাউকে মন থেকে ভালোবেসে ফেলি,তখন সেই মানুষটার প্রতি আমরা এমনিতেই নির্ভরশীল হয়ে যাই। ভালোবাসার মানুষের সাথে সারাক্ষণ কথা বলতে ইচ্ছে করে,হাসি ঠাট্টা করতে ইচ্ছে করে। মোটকথা নিজের পুরোটা সময় ভালোবাসার মানুষের সাথে কাটাতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সেই মানুষটা যদি এমন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়,তখন সেটা মোটেই মেনে নেওয়া যাওয়া না। প্রতিটি মুহূর্ত ভীষণ কষ্ট পেতে হয়। আসলেই অপূর্ব এবং তটিনীর কষ্ট দেখে ভীষণ খারাপ লেগেছিল। সবমিলিয়ে নাটকটি দেখে খুব ভালো লেগেছিল। অপূর্ব এবং তটিনী এককথায় দুর্দান্ত অভিনয় করেছে।
আমার রেটিং
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | নাটক রিভিউ |
---|---|
স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৬.৯.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
সুইট কাপলের কিছু ক্লিপ আমি নিউজফিডে দেখেছিলাম ভাল লেগেছিলো।খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আপনি উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কাছ থেকে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
Twitter Link
সুইট কাপল নাটকটি অনেক সুন্দর ভাইয়া। অনেকদিন আগে আমি নাটকটি দেখেছিলাম। আপনার নাটক রিভিউ করার মধ্যে দিয়ে আবারো আর একবার নাটকটি দেখা হয়ে গেল। এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
নাটকটি বেশ রোমান্টিক এবং হার্ট টাচিং আপু। আপনি নাটকটি দেখেছিলেন,জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বর্তমানে তানজিম সাইয়ারা তটিনী মেয়েটি অসাধারণ অভিনয় দ্বারা সবাইকে মুগ্ধ করছে। আমার কাছে তটিনীর নাটকগুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। সুইট কাপল নাটকের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ভালোবাসার মানুষের উপর আমরা আসলেই অনেকটা নির্ভরশীল। অসাধারণ এই নাটকটির রিভিউ দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু, তটিনীর অভিনয় দারুণ হয়। বেশ ভালো লাগে তটিনীর নাটক দেখতে। যাইহোক রিভিউ পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সুইট কপাল এই নাটকটি অসাধারণ ছিল।নাটকটি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুন্দর ছিল এই নাটকটি আমার আজও দেখা হয়নি কিন্তু সময় পেলে দেখে নেব। এই ধরনের দেখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে রিভিউ করার জন্য।
আপনার মতো আমারও এই ধরনের নাটক দেখতে খুব ভালো লাগে। সময় করে নাটকটি দেখে নিবেন। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার নাটকের রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো।আসলে ভাইয়া নাটক তেমন দেখা হয় না। তবে আপনার নাকটের রিভিউ পড়ে নাটক দেখের ইচ্ছে জাগলো।আসলে তটিনী যে অপূর্বকে শর্ত দিল তার জন্য নাটক দেখে ইচ্ছে জাগলো। দেখি সময় করে দেখে নিব।ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঝে মধ্যে বাংলা নাটক দেখতে খুব ভালো লাগে আপু। সময় করে অবশ্যই দেখে নিবেন। রিভিউ পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
যদিও এই নাটকটি এখন পর্যন্ত দেখা হয়নি তবে এই নাটকের গল্পটা আসলেই অনেক ভালো, পরিচালক দারুণভাবে গল্পটি লিখেছেন এবং আপনি চমৎকারভাবে রিভিউ আকার আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সত্যি ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে সময় কাটাতে অনেক বেশি ভালো লাগে কিন্তু সেই মানুষটা যখন হঠাৎ করে কোন জটিল্যে আক্রান্ত হয়ে যায় তখন অনেক বেশি খারাপ লাগে। পৃথিবীটাকে অনেক বেশি অন্ধকার মনে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রিভিউ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাই, ভালোবাসার মানুষ যখন ধীরে ধীরে জীবন থেকে হারিয়ে যেতে থাকে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে, তখন পুরো পৃথিবীটা অন্ধকার হয়ে যায়। যাইহোক গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভালো লাগার মত একটি নাটক রিভিউ আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই প্রেম অনুভূতিমূলক দারুন একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে। আমি এমনিতেই অপূর্ব নাটক গুলো বেশি পছন্দ করে থাকি।
আপনার মতো আমিও অপূর্বর নাটক দেখতে খুব পছন্দ করি ভাই। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নাটক টি দেখেছি ভাই! অপূর্ব মানেই রোমান্টিকতার ছোঁয়া। শেষের ফিনিশিং আমার কাছে ভালো লেগেছিল। কঠিন মুহূর্তে যে পাশে থাকে সেই তো প্রিয়জন।
ঠিক বলেছেন ভাই, অপূর্ব রোমান্টিক নাটকের জন্য বেস্ট। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এ নাটকটি আমি দেখেছি আমার কাছে মোটামুটি লেগেছে কারণ বিরহের নাটক দেখতে ভালো লাগে না । প্রথম দিকে খুব সুন্দরভাবে শুরু হয়েছিল নাটকটি শেষের দিকে গিয়ে এসে কেমন যেন তালগোল হারিয়ে ফেলেছিল মনে হলো । অপূর্বর নাটক গুলো দেখতে কিন্তু ভালো লাগে । আর আপনি খুব সুন্দর করে নাটকের রিভিউটি দিয়েছেন ।
প্রথম দিকে আসলেই খুব ভালো লেগেছিল নাটকটি। তবে শেষের দিকে খারাপ লেগেছিল। যাইহোক রিভিউ পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।