ভ্রমণ পোস্ট || রাঙ্গামাটি এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ (দ্বিতীয় পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই ট্যুরের প্রথম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা চট্টগ্রাম পৌঁছানোর পর একটি হোটেলে ঢুকলাম চা খাওয়ার জন্য। তারপর অনেকে শুধুমাত্র চা খেলো এবং অনেকে নাস্তা করে নিলো। আসলে আমরা তো রাত ১১ টার পর খাওয়া দাওয়া করে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। তাই অনেকের নাকি হালকা ক্ষুধা পেয়েছিল। যদিও আমরা গাড়ি দিয়ে আসার সময় গাড়িতে বসে অনেক কিছুই খেয়েছিলাম। আসলে বন্ধুদের সাথে যেকোনো জায়গায় ট্যুরে গেলে খুব মজা হয়। যাইহোক আমরা হোটেলে কিছু খাওয়া দাওয়া করে বিল মিটিয়ে হোটেল থেকে বের হয়ে গেলাম।
তারপর আশেপাশে একটু হাঁটাহাঁটি করতে লাগলাম। যদিও তখন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিলো। তবে হাঁটাহাঁটি করতে বেশ ভালোই লাগছিল। একেবারে ভিন্ন ধরনের একটা অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছিল মনের মধ্যে। ইতিমধ্যেই দেখলাম যে ভোর ৪.৩০ টা বেজে গিয়েছে, তাই সবাইকে বললাম গাড়িতে উঠতে। কারণ রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজের দিকে যেতে হবে। তো মোবাইলের গুগল অ্যাপস এ দেখলাম যে তখন রওনা দিলে সকাল ৬.৩০ টার আগেই সেখানে পৌঁছাতে পারবো। যাইহোক গাড়িতে উঠে মোবাইলে নেভিগেশন অন করলাম ঝুলন্ত ব্রিজের দিকে যাওয়ার জন্য। কারণ আমার গাড়ির ড্রাইভার মোটামুটি ৮/১০ বছর আগে নাকি রাঙ্গামাটি এসেছিলো। তারপর আর উনি রাঙ্গামাটি আসেননি। পিছনে তো সবাই ঘুমাচ্ছিলো, কিন্তু আমি সামনে বসে ড্রাইভারকে রাস্তার দিক নির্দেশনা দিচ্ছিলাম গুগল ম্যাপস দেখে দেখে।
রাস্তাগুলো বেশ আঁকাবাকা ছিলো। রাস্তাগুলো দেখে মনে হচ্ছিলো সাপের মতো পেঁচিয়ে রয়েছে হা হা হা। ২/৩ বছর আগে যখন খাগড়াছড়ি গিয়েছিলাম, তখন এমন রাস্তা দিয়ে যেতে বেশ ভালোই লেগেছিল। তারপর খাগড়াছড়ি থেকে যখন সাজেক গিয়েছিলাম,তখন তো আরও বেশি ভালো লেগেছিল। যাইহোক যেহেতু রাঙ্গামাটি যাওয়ার রাস্তাটি বেশ আঁকাবাকা এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিলো,তাই ড্রাইভারকে বললাম আস্তে আস্তে যাওয়ার জন্য। এদিকে রাতের বেলা গাড়িতে ঘুমাইনি বলে আমার চোখেও ঘুম এসে পড়েছিল। তবুও কিছু করার ছিলো না, কারণ ড্রাইভারকে রাস্তার দিক নির্দেশনা না দিলে তো ঝামেলা হয়ে যাবে। হয়তো ড্রাইভারকে বললে গুগল ম্যাপস দেখে দেখে যেতে পারতো,কিন্তু ড্রাইভারও তো আমার মতো ঘুমায়নি রাতের বেলা। তাই টুকটাক কথা বললে হয়তো ঘুম কেটে যাবে।
বলা তো যায় না, গাড়ি চালানোর সময় ড্রাইভার ঘুমিয়ে পড়লে তো সোজা আমাদেরকে উপরে চলে যেতে হবে হা হা হা। আমি গাড়ির ভিতরে বসে বসে কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। যাইহোক রাঙ্গামাটি এরিয়াতে প্রবেশ করেই দেখতে পেলাম একের পর এক বাজার। খুব সকাল সকাল বাজার বসে গিয়েছে। এরমধ্যে কয়েকজন বললো যে বাজারের যেকোনো হোটেল থেকে নাস্তা করে তারপর ঝুলন্ত ব্রিজের দিকে যাই। আবার অনেকে বললো যে ঝুলন্ত ব্রিজের দিকে গিয়ে নাস্তা করার কথা। যাইহোক শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো যে ঝুলন্ত ব্রিজের দিকে গিয়েই নাস্তা করবো। তো আমরা ৬.৩০ টার আগে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজের গেইট এর সামনে পৌঁছে গেলাম। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১২.১০.২০২৪ |
লোকেশন | রাঙ্গামাটি,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ড্রাইভারকে সঙ্গ দিয়ে ভালোই করেছেন। পাহাড়ি এলাকার রাস্তাগুলো এরকম আঁকাবাঁকা হয়। ড্রাইভারদের অনেক সতর্কতার সাথে এই রাস্তা গুলোতে ড্রাইভ করতে হয়। তবে রাস্তা গুলো অনেক সুন্দর লাগে দেখতে। বৃষ্টি হওয়াতে চারপাশের পরিবেশ আরো চমৎকার লাগছে। আপনার এই ভ্রমণ পর্ব টা দেখে ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পাহাড়ি এলাকায় ড্রাইভিং করাটা আসলেই খুব কঠিন। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার ভ্রমণের মুহূর্তে ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো এবং সুন্দরময় উপভোগ করেছেন। বিশেষ করে রাঙ্গামাটি ভ্রমণ করার ইচ্ছা আমার অনেক রয়েছে। তবে পতেঙ্গা ভ্রমনের কথা শনে পুরোন দিনের কথা মনে পরে গেলো। দৃশ্য গুলো দেখে ভালো লাগলো কারণ আমি সেখানে ভ্রমণ করেছিলাম।
সময় সুযোগ হলে অবশ্যই রাঙামাটি ঘুরতে যাবেন ভাই। যাইহোক এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে রাঙামাটির রাস্তা গুলো। এত সুন্দর রাস্তা আর আঁকা বাকা। তবে আবার ভয় আছে। খাঁদে পড়ে গেলে সোজা উপরে,হা হা হা। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই,রাস্তা গুলো সত্যিই দারুণ লেগেছিল। যাইহোক ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।