প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। গত ২১ শে জুলাই আমাদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী ছিলো এবং একেবারে সাদামাটা ভাবেই এবারের বিবাহবার্ষিকী পালন করলাম। মূলত সেই অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতা এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাইহোক বিগত কয়েকদিন ধরে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ। যদিও পরিস্থিতি এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে সামনে যে কি হবে, সেটা নিয়ে সবাই দুশ্চিন্তা করছে। তো এমন অবস্থায় কারোরই মন-মানসিকতা ভালো নেই।

এমনিতে আগে থেকেই প্ল্যান ছিলো বিবাহবার্ষিকীর দিন ওয়াইফকে নিয়ে সারাদিন ঘুরাঘুরি করবো এবং রাতের বেলা রেস্টুরেন্টে ডিনার করে বাসায় ফিরবো। তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তখন খুব খারাপ ছিলো বলে,শেষ পর্যন্ত সেটা আর সম্ভব হয়নি। তখন তো মানুষ দরকারী কাজেও বের হতে পারেনি, আর এমনিতে ঘুরাঘুরি করার প্রশ্নই তো উঠে না। তাছাড়া আমি এমনিতেও এই ধরনের উপলক্ষ জাঁকজমক ভাবে উদযাপন করা পছন্দ করি না। তবে গত বছর কারণবশত প্রথম বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে ১০০-১৫০ জন মানুষকে দাওয়াত দিয়েছিলাম এবং বাসায় আয়োজন করেছিলাম। যাইহোক এই বছর ২১ শে জুলাই তে আমাদের দেশের পরিস্থিতি কেমন ছিলো, সেটা আমাদের সবারই কমবেশি জানা।

তো সেদিন বাসায় ছিলাম সারাদিনই। বিকেল বেলা হঠাৎ করে আমার শ্বাশুড়ি আমাদের বাসায় এসে আমাদেরকে সারপ্রাইজ দিলেন। উনি আমাদের বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে আগেই একটি কেক অর্ডার দিয়েছিলেন উনার বাসার পাশের এক মেয়েকে। সেই মেয়ে বেশ ভালোই কেক বানিয়ে থাকে। তাছাড়া আমার শ্বাশুড়ি আমার জন্য একটি পাঞ্জাবি এবং আমার ওয়াইফ এর জন্য একটি থ্রি-পিস আগেই কিনে রেখেছিলেন আমাদের বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে। তাছাড়া আমাদের জন্য বিরিয়ানি এবং পায়েস রান্না করে নিয়ে এসেছিলেন। যাইহোক সারপ্রাইজ পেয়ে আমরা তো ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। তারপর আমরা দু'জন কেক কাটলাম এবং বাসার সবাই মিলে কেকটা খেলাম।

অরেঞ্জ ফ্লেভারের কেকটা খেতে সত্যিই দারুণ লেগেছিল। তাছাড়া চকলেট এবং ভ্যানিলা ফ্লেভারের কেক খেতেও দারুণ লাগে। বেকারিতে তৈরি করা কেকের চেয়ে, বাসায় তৈরি করা কেক খেতে আমার খুব ভালো লাগে। কারণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে একেবারে স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে কেক তৈরি করা হয়ে থাকে। তাছাড়া অন্যান্য সবকিছুই ঘরোয়া পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে। যাইহোক কেক খাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর আমরা সবাই একসাথে ডিনার করলাম। তারপর পাঞ্জাবি ট্রায়াল দিয়ে দেখলাম সাইজ একেবারে পারফেক্ট হয়েছে। যাইহোক দেশের এমন পরিস্থিতিতেও সময়টা বেশ ভালো কেটেছিলো। মাঝেমধ্যে এমন সারপ্রাইজ পেতে আসলেই খুব ভালো লাগে। এই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।