স্পোর্টস পোস্ট || শ্বাসরুদ্ধকর ওয়ানডে ম্যাচে পাকিস্তানের জয়লাভ
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আবারো স্পোর্টস বিষয়ক পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। ক্রিকেট খেলা ছোটবেলা থেকেই আমার ভীষণ পছন্দ। তাই চেষ্টা করি ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে। যাইহোক আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন, পাকিস্তান বনাম আফগানিস্তানের মধ্যে ওয়ানডে সিরিজ চলছে। শ্রীলংকার স্টেডিয়ামে তারা এই সিরিজটি খেলছে। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের সাথে বিশাল ব্যবধানে পাকিস্তান জয়লাভ করে। তবে ২য় ওয়ানডে ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। এই ম্যাচটি ২৪শে আগষ্ট অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচটি আমি লাইভ দেখেছিলাম কিছুটা,তবে পুরোটা দেখেনি। পরবর্তীতে হাইলাইটস দেখেছিলাম। প্রথমে টসে জিতে আফগানিস্তান ব্যাটিংয়ে নামে। তাদের দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান দুর্দান্ত শুরু করে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
প্রথম থেকেই তারা কিছুটা মারমুখী ভঙ্গিতে ব্যাট করে। প্রথম ১০ ওভারে আফগানিস্তান কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৮ রান সংগ্রহ করে। তাদের জুটি ক্রমাগত আফগানিস্তানের রানের সংগ্রহ বাড়াচ্ছে। ৩৫ তম ওভারে গুরবাজ সেঞ্চুরি তুলে নেয়। এই প্রথম আফগানিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করলো। দলীয় ২২৭ রানের মাথায় ৪০ তম ওভারে ইব্রাহিম জাদরান লং অফে ক্যাচ আউট হয়। এরপর ৪৫ তম ওভারে গুড়বাজ ১৫১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়। শেষপর্যন্ত আফগানিস্তানের অধিনায়ক শাহিদির ব্যাটিং দৃঢ়তায় আফগানিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩০০/৫। পাকিস্তানের শাহেনশাহ আফ্রীদি ১০ ওভার বল করে ৫৮ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেয়। জবাবে ৩০১ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নামা পাকিস্তানের দুই ওপেনার ফখর জামান এবং ইমাম উল হক দুর্দান্ত শুরু করে। ফখর জামান ৩০ রান করে নবম ওভারে দলীয় ৫২ রানের মাথায়, ফারুকীর ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড আউট হয়ে যায়।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
তারপর পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম এবং ইমাম উল হক চমৎকার জুটি গড়ে তোলেন। বাবর আজম ৫৩ রান করে ফারুকীর বলে ক্যাচ আউট হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর ইমাম উল হক আউট হয়ে গেলে,শাদাব খান রানের চাকা সচল রাখে। শাদাব খান পাকিস্তানকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে গেলেও, ফারুকীর ট্রিকসে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যায়। যদিও এমন আউট ক্রিকেট বিশ্ব অন্য চোখে দেখে। ফারুকী বোলিং করার সময় শাদাব খান দৌড় শুরু করে দেয়। তখন ফারুকী বল না করে শাদাব খানকে রান আউট করে দেয়। শাদাব খান আউট হবার পর ম্যাচের পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যায়। পরবর্তীতে নাসিম শাহ দলকে জয় এনে দেয়। শেষ মুহূর্তে ভাগ্য পাকিস্তানের দিকে সহায় হয়। এক বল বাকি থাকতে এক উইকেটে পাকিস্তান জয়লাভ করে। তাদের স্কোর হচ্ছে ৩০২/৯ (৪৯.৫) ওভার। আফগানিস্তানের ফারুকী ৯.৫ ওভার বল করে ৬৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেয়। শাদাব খান ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়। সবমিলিয়ে ম্যাচটি দারুণ উপভোগ করেছি।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | স্পোর্টস |
---|---|
স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২৬.৮.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Twitter Link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঐদিন পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের এই ক্রিকেট ম্যাচ আমি কিছুটা দেখেছিলাম আমার হাজবেন্ডের সাথে। আফগানিস্তান প্রথমে ব্যাট করে 300 রান করলেন পাঁচ উইকেটে। যদিও আমি মনে করলাম এই ম্যাচটি আফগানিস্তান জিতবে। লাস্ট দিকে শাদাব খান যখন রান আউট হয়ে যায় আমি তখনও মনে করলাম আফগানিস্তান জিতবে। তবে খেলাটির লাস্ট ওবার পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগলো। বিশেষ করে পাকিস্তানের বোলারটি চার মেরে ম্যাচটি জিতিয়ে নিলেন। তবে আমি সব খেলোয়াড়দের নাম জানিনা তবে ক্রিকেট খেলা বুঝি। যদিও পাকিস্তান এক উইকেট এর জয় লাভ করেছে। এবং দ্বিতীয় ম্যাচটি নিয়ে আপনি খুব সুন্দর করে পোস্টটি করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু, শাদাব খান আউট হবার পর আমিও ভেবেছিলাম পাকিস্তান হারবে। যাইহোক আপনি ম্যাচটি কিছুটা দেখেছিলেন,জেনে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান এর দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি আমি দেখেছিলাম। ঐদিন এই ম্যাচটি আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। কারণ কিছুক্ষণ মনে হয় পাকিস্তান জিতবে আবার কিছুক্ষণ মনে হয় আফগানিস্তান জিতবে। তবে ওইদিন আফগানিস্তান প্রথমে অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। ২২৭ রানে তাদের প্রথম উইকেট পড়েছে। তারপর আফগানিস্তান ৫০ ওভার ব্যাটিং করে 300 রান করলো পাঁচ উইকেট। যদিও শেষ দিকে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা ভালো করার কারণে ম্যাচটি পাকিস্তান জিতে গেছে। তবে শেষ দিকে আফগানিস্তানে বলার টি যেভাবে সাদাব খানকে যেভাবে আউট করল তা আমার কাছে মোটেই ভালো লাগেনাই। যাইহোক পাকিস্তান লাস্ট পর্যন্ত এক উইকেটে জয়লাভ করল। আর প্রত্যেক খেলায় হার-জিত আছে।
ম্যাচটিতে টানটান উত্তেজনা ছিলো ভাই। ম্যাচের মোড় একবার পাকিস্তানের দিকে যায়, আবার আফগানিস্তানের দিকে যায়। এমন ম্যাচ দেখতে খুব ভালো লাগে। যাইহোক আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
একটা সময় ক্রিকেট খেলা অনেক দেখতাম। আর ক্রিকেট খেলতেও আমি অনেক পছন্দ করতাম। তবে এখন সময় স্বল্পতার কারণে ক্রিকেট খেলা তেমন একটা দেখা হয় না।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এই ম্যাচটি সম্পর্কে অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
ব্যস্ততার জন্য আমিও ক্রিকেট খেলা আগের মতো দেখার সুযোগ পাই না। আপনার মতো আমিও একসময় ক্রিকেট খেলা দেখতাম অনেক এবং খেলতামও। যাইহোক পোস্ট পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।