জীবনে প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার অনুভূতি।
আজ- ১৪ই,ভাদ্র , | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শরৎকাল ||
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখাননেওয়া হয়েছে।
তবে যাই বলেন না কেন, সময়টা কিন্তু মোটেই সাম্প্রতিককালের ছিল না। আমি সর্বপ্রথম নিজের জন্য একটি মোবাইল পেয়েছিলাম আজ থেকে প্রায় এক যুগ আগে। মানে ২০১১-১২ সালের দিকের কথা। ওই সময় আমি ক্লাস নাইনে পড়তাম। মোবাইলটির মডেল ছিল Symphony x99 ওই সময়ে এই মোবাইলটি ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। বিশেষ করে এর quad বাটনের জন্য , এই মোবাইলটি ওই সময় আমি ২৮৫০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম চট্রগ্রামের নিউ মার্কেট থেকে। মোবাইলটির মাধ্যমে আমি বেশ ভালো সার্ভিস পেয়েছিলাম। এই মোবাইলটির মাধ্যমে আমি সর্বপ্রথম মোবাইল ইন্টারনেটের সাথে পরিচিত হয়। কেননা এই মোবাইলে অপেরা ব্রাউজার ব্যবহার করা যেত। যার মাধ্যমে ফেইসবুক গুগল থেকে শুরু করে সব কিছুই ইউজ করতে পারতাম।
এখানে আরেকটি সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো মোবাইলটি আম্মু সম্পুর্ন নিজের ইচ্ছায় আমাকে কিনে দিয়েছিল। যদিও আব্বু একেবারে রাজি ছিল না। কিন্তু ওই সময় আসলেই মোবাইল টি আমার দরকার ছিল, কারণ আমি ক্লাস ৮ পর্যন্ত আমাদের বাসার পাশের একটা স্কুল এ পড়েছিলাম। ক্লাস নাইনে উঠার পর আমি যে স্কুলে ভর্তি হই সেটা আমার বাসা থেকে বেশ খানিকটা দূরে ছিল। তাই বাধ্য হয়ে আমাকে আম্মু মোবাইল টা কিনে দেন। যদিও স্কুলে মোবাইল ব্যবহার করার কোন নিয়ম ছিল না । তবুও কিছু শর্তে আমি স্কুলে মোবাইল টা নিয়ে যেতাম। মোবাইল স্কুলে সুইচ আফ ই থাকত।
মোবাইল টি আমি ৩ বছর ব্যাবহার করেছিলাম। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো আমার ফেসবুক আইডি যেটা এখনো আমি ইউজ করছি সেটা symphony x99 দিয়েই খোলা হয়েছিল। যেহুতু ওই মোবাইল টিতে VGA ক্যামেরা ছিল তাই ছবি তেমন একটা ভাল উঠত না। কিন্তু ঐ সময়ের জন্য সেটা আমার কাছে অনেক ভাল ছিল। ওই মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে সর্বপ্রথম আমি যে ছবিটি আমার ফেসবুকে আপ্লোড দিয়েছিলাম। সেটি ফেসবুকে এখনো আছে, সেটা দেখলে এখনো আমার হাসি পাই। কারণ ওই সময় বেশ রোগা পাতলা ছিলাম।
এছাড়াও এ মোবাইলটা কে ঘিরে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে, যেমন সর্বপ্রথম ইন্টারনেট থেকে গান ডাউনলোড করা। মোবাইল এ ফেসবুক চালানো। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের খোজ পাওয়া।
জীবনের প্রথম মোবাইলটি সম্বন্ধে যতই লেখা হবে আসলে তা কম হয়ে যাবে। কেননা জীবনের অনেক প্রথম এই মোবাইল টির সাথে জড়িত। ভবিষ্যতে হইত অনেক ভাল ভাল ব্যন্ডের মোবাইল ইউজ করব কিন্তু প্রথম মোবাইলের সাথে যে রকম আবেগ আনিভুতি জড়িয়ে আছে সে রকম হয়তো আর হবে না। হয়তো ভবিষ্যতে লাখ টাকার মোবাইল ও ইউজ করব কিন্তু সেই অনুভুতি কখনোই জীবনের প্রথম মোবাইল এর আনুভুতির মত হবে না।
নোটঃCopy right act 1976 এর আন্ডারে fair usage policy এর ধারা মোতাবেক উপরের ছবিটি কোনো বিজনেস পারপস ছাড়া শুধু মাত্র creative common লাইসেন্স এর আন্ডারে আমার পার্সোনাল ব্লগে ইউজ করলাম। ফলে, আমার বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে copyright infringement এর কোনো রকমের আনীত অভিযোগ নস্যাৎ হবে।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
নতুন মোবাইল কেনার অনুভূতি সত্যি আলাদা রকমের ভাইয়া। আপনার অনুভূতি জানতে পেরে ভালো লাগলো। আমি যখন প্রথম মোবাইল হাতে পাই তখন হয়তো ফেসবুক একাউন্ট খোলা হয়নি। আপনি এই ফোন থেকেই প্রথম ফেসবুক একাউন্ট খুলেছেন এবং ছবি আপলোড করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলেই প্রথম কেনা মোবাইলের সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।
ভাইয়া আপনার জীবনের প্রথম মোবাইল পাওয়ার অনুভূতি জানতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে মায়ের হাত থেকে মোবাইল পাওয়ার অনুভূতিটা অন্য রকম। আপনি সত্যিই অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আপনার সেই পুরনো স্মৃতিগুলো। এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো যে আপনার এই ফোন দিয়েই আপনি ফেসবুক আইডি খুলে ছিলেন এবং সেটি এখনো আপনি ব্যবহার করছেন। আপনার প্রথম এই ফোনের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা সেটা এখনো ফেসবুকে আছে। তাই আমার আপনার সেই ফেসবুকের ছবিটা দেখার খুব ইচ্ছা জাগছে। যাইহোক ভাইয়া আপনার এই অনুভূতি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
সত্যি ভাইয়া আপনার জীবনে মোবাইল ফোন পাওয়ার গল্পটি পড়ে আমার বেশ ভালই লেগেছে।জীবনে প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার অনুভূতি আসলে মা বাবার হাত থেকে মোবাইল ফোন পাওয়ার অনুভূতিটা সত্যি অন্যরকম। বিশেষ করে মায়ের হাত থেকে। আরো ভালো লাগলো যে আপনি প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার পরে আপনি ফেসবুক আইডি খুলেছিলেন। আসলে প্রথম প্রথম কিছু পাওয়ার অনুভূতিটা সত্যি একটু ভিন্ন রকম যেটা আপনার সাথে ঘটেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার এত সুন্দর গল্প সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার জীবনের প্রথম মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়টি জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আমার কাছে যেটা গুরুত্ব পেয়েছে সেটি হচ্ছে হাই স্কুল লাইফে আপনি বিভিন্ন ব্রাউজার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সেই সাথে আপনার জীবনের অসংখ্য স্মৃতি জড়িয়ে আছে প্রথম মোবাইলের সঙ্গে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
নিজের মায়ের কাছ থেকে মোবাইল পাওয়ার অনুভূতিটা সত্যিই অন্যরকম তবে এরকম ভাগ্য আমার কখনো হয়নি আম্মু সবসময়ই মোবাইল ব্যবহার করতে নিষেধ করত যদিও পরবর্তীতে আম্মু আব্বুকে অনুরোধ করে একটা ফোন কিনে দিয়েছিল সেটাও এসএসসির পরে। জীবনের প্রথম ফোন হাতে পাওয়ার এক সুন্দর অনুভূতির গল্প আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ভাইয়া পড়ে খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে।
ভাইয়া, আপনার জীবনে প্রথম মোবাইল ফোন হাতে পাওয়ার অনুভূতির কথা গুলো জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট খোলা এবং গান ও ছবি ডাউনলোড দেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রথম মোবাইল ফোন হাতে পাওয়ার মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে অতি চমৎকারভাবে উপস্থাপন করার জন্য ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনার জীবনে প্রথম মোবাইল ফোন হাতে পাওয়ার অনুভুতিটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷হুম ভাই সময় খুব তারাতারি চলে যায় ৷আমার ও খুব মনে পরছে যখন আমিও প্রথম মোবাইল ফোন হাতে পাই কি যে ভালো লাগে তা আসলে বোঝানো সম্ভব৷যাই হোক আপনার মায়ের টাকা দিয়ে ফোন কিনেছেন ৷মায়ের তুলনা নেই
ভাইয়া আপনার ভাগ্য অনেক ভাল যে আপনার আম্মু আপনাকে প্রথম মেবাইল নিকে দিয়েছে। Symphony x99 ২৮৫০ টাকা দিয়ে। এখন পর্যন্ত যত গুলো অনুভূতি পড়লাম তার মাঝে আপনারটা সব থেকে দামি পেলাম। যেটা দিয়ে ফেসবুক চলে সেটা তো দামি হবেই হা হা হা ধন্যবাদ ভাইয়া।