অলস দুপুর।

in আমার বাংলা ব্লগlast month

আজ- ২৭শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, হেমন্তকাল


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




1000043369.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

উষ্ণ দুপুরের শুভেচ্ছা সকলকে। কেমন আছেন সকলে? আশা করছি ভাল আছেন। আর কিছুদিন পরে দুপুরে এই সময়টা হয়ে উঠবে সকালের প্রিয়। শীতলতার পর একটু উষ্ণতা পাওয়া যাবে এই সময়টাতে। তবে এখনো কিছুটা ঠান্ডা পরতে শুরু করেছে তাই এই দুপুরের ভালোলাগা সময়টা যেন আর বেড়ে গিয়েছে। তবে দুপুরের এই সময়টা খুবই অলসতা কাজ করে। বিশেষ করে দুপুরের খাবার খাওয়ার পর একটু বিছানাতে গড়িয়ে না নিলেই যেন নয়। আর তখন ইচ্ছে করে ঘুমাতে কিন্তু সব সময় কি আর ঘুমানোর সেই সুযোগটা থাকে। তবে আমরা যারা এই সময়টাতে বাসায় থাকি তাদের এ দুপুরের সময়টাতে বিশ্রামের সুযোগ থাকলো যারা অফিস কিংবা বাহিরে কর্মরত তাদের কিন্তু এই সময়টাতে কাজের মধ্যেই কেটে যায়। তখন তাদের আর বিশ্রামের সুযোগ থাকে না।

আসলে আমাদের জীবনের একএকটা সময় একেক ভাবে কাটে। জীবনে এই দুপুরগুলো ভিন্ন ভিন্ন ভাবে কাটিয়েছি। যখন ছোট ছিলাম তখন এই দুপুরের সময়টা কেটেছে এক ভাবে, এর পর যখন স্কুল জীবনে উঠেছে তখন কেটেছে একভাবে। আর এখন এই কর্মজীবনে এসে এই সময়টা কাটছে আরেকভাবে।

মাঝে মাঝে শৈশবে সেই স্বর্ণালী কাটানোর সময় গুলো খুব বেশি মনে পড়ে। ছোটবেলায় দুপুরের দিকে কখনোই আমার ঘুমানো হতো না। খাওয়া দাওয়া করে বাইরে বের হয়ে যেতাম খেলতে। আম্মু কত চেষ্টা করতেন ঘুম পাড়ানোর জন্য কিন্তু সব চেষ্টায় বৃথা। তবে দু এক দিন হয় তো পিঠে উত্তম মাধ্যম খাওয়ার পর মাঝে মাঝে ঘুমাতাম আর না হলে না। দুপুরে এবং বিকেল সন্ধ্যা এই পুরো সময়টায় বাইরে খেলাধুলার মাধ্যমে কেটে যেত।

এরপর যখন স্কুল জীবনে প্রবেশ করি তখন এই দুপুরের সময়টা কেটেছে কোচিং, প্রাইভেট, টিউশনে এসবের মধ্যে দিয়ে। স্কুল থেকে এসেই খাওয়া দাওয়া করে একটু বিশ্রাম নিতে না নিতে বাসায় টিচার চলে আসছেন। আর এভাবে করে দুপুরের সময়টা কেটে গিয়ে বিকেল হয়ে যেত। আর বিকেল হলেই যে সবসময় বাহিরে বের হওয়া হতো এমনটা না। অন্যায় পড়াশোনার চাপ নানা কারণে দেখা যেত বাসায় বসে কাটানো হত সময় গুলো। আর যেদিন স্কুল বন্ধ থাকতো কিংবা প্রাইভেট থাকতো না সেদিনের দুপুর সময়টাতে অনেক আনন্দের সাথে কাটতো । কেননা তখন ওই সময়টা তো অনেকটা অবশ্য সময় পাওয়া যেত।

আর গ্রামীন বাড়ির দুপুরে সময় এগুলো যেন এখনো চোখে ভাসে। দুপুর হলেই সকলে বসে একসাথে গাছের ছায়াতলে সসে আড্ডা দেওয়া। এই বাড়ির ওই বাড়ি গাছ থেকে ওই গাছ থেকে ফল চুরি করা। যদি ও আমি গাছে উঠতে পারতাম না তবে তাদের সাথে এই কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতাম। এরপর আগে দেখতাম এই সময়টাতে সকলে বসে একসাথে টিভিতে সিনেমা দেখতো। সকালে খাওয়া দাওয়া করে একটা নির্দিষ্ট সময় চলে আসতো দেখার জন্য। এগুলো বেশ আগেকার ঘটনা। তখন তো আর প্রত্যেকের গ্রামের বাড়িতে টিভি ছিল না। হাতে গনা কয়েকজনের বাড়িতে হয়তো টিভি থাকতো আর ওই টিভি সকলে মিলে দেখাহতো। আর এখন তো প্রত্যেকের হাতে হাতে এন্ড্রয়েড ফোন হয়ে গিয়েছে তাই ওরকম ঘটা করা আর কেউ টিভি দেখে না।

আসলে জীবনের এভাবেই পরিক্রমণের সময় গুলো বদলাতে থাকে। সবকিছু একইভাবে চললেও বদলে যায় আমাদের মন, মানসিকতা, আমাদের পরিস্থিতি, পরিবেশ। জীবনের সেই একই সময়, সেই দুপুরবেল কতটা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে কেটে যাচ্ছে।

আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবারও ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

1000038736.webp


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 last month 

বয়স বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথেই আমাদের চিন্তা-ভাবনা মন মানসিকতার ও পরিবর্তন হয়ে যায় ভাইয়া। তাছাড়া অনেক সময় সময়ই আমাদের পরিবর্তন করে দেয়। এই বিকেল নিয়ে অনেক স্মৃতি রয়েছে। ওই যে বললেন না আম্মুর উত্তম মাধ্যম খেয়ে ঘুমাতাম এটা আসলেই বাস্তবিক কথা। কিন্তু এখন চাইলেও বিকেলবেলা ঘুমানো হয় না। যাই হোক শৈশবের বিকেলবেলা সুন্দর স্মৃতিচারণ করেছেন, ধন্যবাদ।

 last month 

দুপুরের সময় আসলেই অলসতা কাজ করে। বিশেষ করে লাঞ্চ করার পর অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট ঘুমাতে পারলেও শরীরটা চাঙ্গা হয়ে যায়। ছোটবেলায় লাঞ্চ করে মাঠে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে থাকতাম। একেবারে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রিকেট খেলে বাসায় ফিরতাম। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

I like this picture, call me to be new best phone aamiin

 28 days ago 

শীতের দুপুর সত্যিই এক অলস সময়। কিন্তু অফিস কাছারিতে থাকলে সেই অলসতার সুযোগ নেই। কিন্তু তাও এক ক্লান্তি ভর করে খাওয়া দাওয়া করবার পর। তবে ছুটির দিনে শীতের দুপুরে লেপের তলায় ঢুকে ঘুমানোর আরামই আলাদা। দারুন একটি বিষয়কে উল্লেখ করলেন ভাই পোস্টে। আসলে এই সময়টা দুপুরই হলো সবথেকে উপভোগ্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.30
JST 0.047
BTC 100889.00
ETH 3929.45
USDT 1.00
SBD 3.74