নিকট আত্মীয়দের ইফতারের দাওয়াত ।

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

আজ - ৫ ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল |


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।



1000019505.jpg

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি ভালো আছেন। আজকে কিছুটা শান্তিতে আছি বিশেষ করে গরমটা আজকে অনেকটাই কম। তাই মন মেজাজ কিছুটা হলেও ভালো আছে অন্যদিনের তুলনায় । আকাশে মেঘ দেখা যাচ্ছে কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। তবে মনে হচ্ছে বৃষ্টি আসবেই আজকে। আসলে সত্যি বলতে রোজার মধ্যে ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া হলে ভালোই লাগে। কারণ না হয় রোজা রেখে প্রচন্ড কষ্ট হয়। তার মধ্যে আবার পরীক্ষা চলতেছে, সবমিলিয়ে আরো কঠিন হয়ে যেত অবস্থা। যাক এসব কথা ছেড়ে এবার মূল কথায় আসে।

1000019484.jpg

বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে একটা আলাদা আলাদা ঐতিহ্য থাকে, আলাদা সংস্কৃতি থেকে। ঠিক তেমনি অন্যান্য অঞ্চল আছে কিনা জানিনা তবে আমাদের এখানে একটি সংস্কৃতি চালু আছে, এমন যে। রোজার মধ্যে নিকট আত্মীয়দের একদিন ইফতারি বানিয়ে খাওয়ানো। এমন একটি অনুষ্ঠান গত পরশু দিন ছিল আমাদের বাসায়। অনেক রকমের ইফতার আইটেম করা হয়েছিল আমাদের বাসায়। আসলে আমরা বাঙালিরা খুবই অতিথি পরায়ণ। নরমালি আমরা ইফতারিতে যে খাবারগুলা খাই। মেহমান আসলে তার পরিমাণ ২ গুন হয়ে যাই।

1000019483.jpg

আরেকটি ব্যাপার হলো, আমাদের ফ্যামিলিতে সাধারণত ইফতারের কোন আইটেম দোকান থেকে কিনে আনা হয় না, সবকিছু বাসায় তৈরি করা হয়। কারণ আমরা একটু ভোজন রসিক ফ্যামিলিতে তো তাই।

তবে এটা সত্য যে ইফতার গুলো তৈরি করতে অনেক কষ্ট হয়েছে আম্মুর। আমার যে খাবারটি সবচেয়ে ভালো লাগছে সেটা হচ্ছে প্রাইড চিকেন আর চিকেন সসলিক । দুটো আইটেম ই বানাতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে, এবং ২ টো আইটেম ই অনেক মজার হয়েছে।

1000019467.jpg

চিকেন সসলিক কাঁচা অবস্থায় এরকম ছিল । এখানে আরেকটি মজার ব্যাপার হলো যে , চিকেন সস্লিকের জন্য যে কাঠি ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো খুঁজে পেতে বেশ কষ্ট হয়েছে । কারণ কাঠি গুলো কোথায় পাওয়া যায় সেটাই প্রথমে জানা ছিল না। পরে অনেক কষ্ট এগুলো খুঁজে বের করলাম ।

1000019486.jpg

1000019485.jpg

1000019474.jpg

ওপারেগুলো হচ্ছে ফ্রাইড চিকেন । খেতে অনেক এটা তৈরি করা হয়েছে নরমালি চিকেন কে ম্যারিনেট করে তারপর বেশন বিস্কুটে ঘুরো এবং ডিম দিয়ে উপরে ভাজা হয়েছে ।

1000019473.jpg

1000019471.jpg

আর এগুলো হচ্ছে ফালুদা। ফালুদা হচ্ছে আমার প্রিয় খাবার গুলোর মধ্যে একটি । অনেক বেশি ভালো লাগে এই খাবারটি ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 6 months ago 

আপনি ঠিক বলছেন আমরা বাঙালি জাতিরা এমনই অতিথি পরায়ণ। কোন একটি বিশেষ দিনে সবাইকে দাওয়াত করায় খেতে খুবই পছন্দ করি। বাইরের খাবার আসলে সবার জন্য খুবই ক্ষতিকর। যদিও অনেকেই অপারগ অবস্থায় খেয়ে থাকেন। আবার অনেকে আছেন অভ্যাসগত কারণেই খেয়ে থাকেন। যারা আসলে তৈরি করতে চাই না বাসায়। আমরাও সব কিছু বাসায় তৈরি করি রমজান মাসের আইটেম গুলো। ভালই লেগেছে আপনি খুব সুন্দর ভাবে খাবারের আইটেম গুলো শেয়ার করলেন। অনেক ভালো লেগেছে আপনার ব্লগিংটা পড়ে।

 6 months ago 

আসলে বাঙালিরা একটু বেশিই অথিতিপরায়ন।তারা অথিতিকে যেমন খাওয়াতে ভালোবাসে ঠিক তেমনি নিজে খেতেও ভালোবাসে।বিভিন্ন খাবারের ছবি দেখে বেশ লোভ লাগছে।মেহমান এর জন্য তো খাবার দ্বিগুন হবেই।যাই হোক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

আমাদের এদিকে সবেমাত্র কিছুটা বৃষ্টি হলো। বৃষ্টির পর প্রচন্ড বাতাস বইছে। সারাদিন অবশ্য ভালোই গরম পড়েছে তবে এখন ওয়েদার একদম ঠান্ডা। আমরাও প্রত্যেক রমজানে নিকট আত্মীয়দের ইফতারের দাওয়াত দিয়ে থাকি। মোটামুটি সব কিছু বাসায় তৈরি করি। সবাই মিলে একদিন এরকম ইফতার করার মুহূর্তটাই অন্যরকম। আর এটা ঠিক অতিথি আসলে খাওয়া দাওয়া দ্বিগুণ হয়। অনেক আইটেমের খাবার দেখা যাচ্ছে টেবিলে। ভালো লাগলো দেখে।

 6 months ago 

আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হলো, আপনি যে অসাধারণ ইফতারের আয়োজন করেছেন তা শুধু পেট পূর্ণ করে না, মনকেও সমৃদ্ধ করে। আপনার বাসায় তৈরি খাবারের বর্ণনা এবং ছবিগুলো দেখে আমার মুখে জল এসে গেছে। বাঙালির অতিথি পরায়ণতা এবং রমজানের এই বিশেষ মুহূর্তগুলো আপনি যেভাবে তুলে ধরেছেন, তা সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে।

 6 months ago 

ফালুদা আমারও বেশ পছন্দের একটা খাবার। সাধারণত রেস্টুরেন্টে গেলে এটা খাওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু বাড়িতে কখনো তৈরি করিনি। বাড়িতে নিকট আত্মীয়দের নিয়ে ইফতার এটা আমাদের দিকে ঐভাবে প্রচলিত নেই। তবে আপনার বাড়িতে এর আয়োজন টা বেশ ভালোভাবে হয়েছে দেখছি। আর এইরকম হলে আমাদের মায়ের উপরেই বেশি প্রেসার পড়ে থাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

ভাই এটা প্রায় সব জায়গায় একি ৷ কমবেশি সবার বাড়িতে এমন ইফতার আয়োজন হয় ৷এই তো দুদিন আগে বন্ধুদের সাথে ইফতার পার্টি করলাম ৷তবে নিজ বাড়িতে ইফতার আয়োজন দেখি অনেক কিছু ৷ ভালো লাগলো দেখে ৷

 6 months ago 

আসলেই ভাই রোজার সময় আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে, রোজা রাখতে একেবারেই কষ্ট হয় না। ভাই আমাদের এখানেও একই রকম। কাছের আত্মীয় স্বজনদের ইফতারি বানিয়ে খাওয়াতে হয়। ইতিমধ্যেই এই পর্ব সমাপ্ত করে ফেলেছি এবার। যাইহোক চিকেন সাসলিক ও ফ্রাইড চিকেন দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে এবং এই খাবার দুটি আমার ভীষণ পছন্দ। বাসায় ইফতারের আইটেম তৈরি করে খাওয়ার মধ্যে অন্য রকম তৃপ্তি থাকে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

আপনার ওদিককার সংস্কৃতি দেখে অনেকটা মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাইয়া। আসলে আমাদের এই দিকে এমন ধরনের রীতি নেই অবশ্য, কিন্তু এরকম ধরনের রীতি গুলো থাকা জরুরী। কেননা এরকম ধরনের রীতি গুলো থাকলে অন্তত মিলে মিলে একত্রে বসে অনেক দিন পর হলেও খাওয়া দাওয়া করা যায়। সব ধরনের রেসিপিগুলো দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে ভাইয়া। ফালুদা আসলে আমারও প্রিয় একটি খাবার। চিকেন সসলিক তৈরির জন্য কাটি ম্যানেজ করতে বোঝা যাচ্ছে একটু ঝামেলায় পড়েছিলেন কারণ যে জিনিসটি সম্পর্কে জানা থাকে না সেগুলো খুঁজে বের করা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। যাই হোক আপনার পোস্টটি অনেক বেশি ভালো লেগেছে ভাইয়া।

 6 months ago 

আমরা সবাই চাই মেহমানদের একটু ভালোভাবে আপ্যায়ন করতে। যার ফলে মেহমান আসলে খাবারের কমতি থাকে না। বাঙালিরা একটু খাবার দাবাড় বেশিই খায়। আপনার আম্মু ইফতারিতে অনেক আইটেম তৈরী করেছে। চিকেন সস্লিক ও প্রাইড চিকেন গুলো লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 66070.34
ETH 2691.62
USDT 1.00
SBD 2.88