আমরা অন্যের জন্য বাঁচি।
আজ- ৯ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, হেমন্তকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আপনি যখন অনেক অসুস্থতার মধ্যে দিয়েও নিজের মনকে শান্ত রাখবে না এবং নিজেকে নিজে সান্ত্বনা দেবেন যে, এই অসুস্থতা ঠিক হয়ে যাবে, সমস্ত পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়ে যাবে তখন দেখবেন নিজের মধ্যে একটি শক্তি কাজ করবে এবং ওই খারাপ থাকাটার সময়ও আপনি কিছুটা ভালো অনুভব করবেন। এবং নিজের মধ্যে একটি শক্তি সঞ্চয় করতে পারবেন। তাই ভালো থাকা সর্বপ্রথম মন্ত্র হচ্ছে নিজেকে নিজে ভালো রাখার এবং হাসি খুশি থাকার। আর আমি ও সেই চেষ্টায় সার্বক্ষণ করে যাচ্ছি।
আমরা কেউ আসলে শুধুমাত্র নিজের জন্য বাঁচি না। আর কেউ কখনো একা বেঁচে থাকতেও পারে না। পরিবার-পরিজন আত্মীয়-স্বজন এই সকল মানুষগুলো নিয়েই বেঁচে থাকা। জীবনে যতই এই সকল মানুষগুলো নিয়ে অভিযোগ থাকুক না কেন দিনশেষে এ মানুষগুলোর জন্যই কিন্তু বেঁচে থাকার কারণ।
তাই যত যাই হোক না কেন পরিবার-পরিজন আত্মীয় স্বজন কাছের মানুষগুলোকে সব সময় চেষ্টা করা উচিত ভালো রাখার। তারা যদি ভালো থাকে তাহলে দেখবেন আপনি নিজেও ভালো আছেন। আর অন্যকে ভালো রাখার প্রাপ্তিটা নিজে ভালো থাকার থেকেও অনেকটা আনন্দের। যেমন একটি কথা আছে না খাওয়ার থেকে খাওয়ানোর মধ্যে আনন্দটা অনেক।
ধরুন, আপনি আপনার জীবনে প্রথম ইনকামটা দিয়ে আপনার বাবার জন্য একটা শার্ট কিনলেন, মায়ের জন্য একটি শাড়ি কিনলেন, ছোট ভাইবোনদের জন্য তাদের পছন্দের জিনিসগুলো কিনলেন । বিশ্বাস করতে করতে নিজের জন্য আর কিছু কেনার মত আর অবশিষ্ট টাকা রইল না। কিন্তু এটা দেখবেন আপনার মধ্যে কোন আফসোস নেই। বরং আপনি যে আপনার কাছে মানুষগুলোর জন্য কিছু কিনতে পেরেছেন তাদেরকে আনন্দ দিতে পেরেছেন এটাতে আপনি অনেক শান্তি অনুভব করবেন।
আসলে প্রত্যেকটা বিষয় এমন। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর আমরা নিজের জন্য নয় বরং পরিবারের জন্য ভাবি। কাছের মানুষগুলোর ভালো থাকাতেই আমরা ভালো থাকি।
আমার প্রত্যেকে নিশ্চয়ই নিজের মা বাবাকে দেখেছি তারা কিভাবে আত্মত্যাগের মাধ্যমে তাদের সন্তানগুলোকে বড় করে তুলে। তারা নিজের জন্য না কিনে তাদের সন্তানের জন্য সবথেকে ভালো জিনিসটাই কিনে দেয়। নিজে না খেয়ে সন্তানদের জন্য রেখে দেয়। আর সেই সকল সন্তানগুলো বড় হওয়ার পর দায়িত্ব পড়ে শেষে মা-বাবাদের পাশে থাকার।
আজকে তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার ও ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া সত্যি ই তাই।একটা সময় পর আমরা সবাই অন্যের জন্য ই বাঁচি।মা-বাবা যেমন সন্তানদের কথা ভেবে বাঁচে।আপনি চমৎকার উদহারন দিয়ে বিষয়টি তুলে ধরেছেন খুব সুন্দর ভাবে।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আমরা অন্যের জন্য বাঁচি। আমরা যখন আপন মানুষগুলোর জন্য ভালো কিছু করি,তখন কিন্তু তারা খুব খুশি হয়। আর তাদের খুশি দেখে আমাদের মনের মধ্যে দারুণ অনুভূতির সৃষ্টি হয়। এটাই প্রমাণ করে যে আমরা অন্যের জন্য বাঁচি। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কথা আপনি ভুল বলেননি খুব সুন্দর লেখাগুলো লিখলেন। জীব জাতি কখনো একা বাঁচতে পারে না। তার মধ্যে অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে মানুষ জাতি। সুখে-দুঃখে আমরা একে অপরের সঙ্গ পেতে চাই। আমরা একে অপর ছাড়া কখনো বাঁচতে পারি না বিপদ-আপদে। মানুষকে কখনো একা বাঁচতে পারে না অন্য জন্য বাঁচতে হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আজ আপনি আমাদের মাঝে দারুণ একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন। আসলে আমাদের এ জীবনটা শুধুমাত্র অন্যের ভালো এবং উপকার করতে করতে কেটে যায়। কেননা পরিবারের সব লোকগুলো কিন্তু আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। আর আমরা যদি নিজেদের কথা স্বার্থপর এর মত ভেবে বাকি লোকেদের কথা ভুলে যায় তাহলে আমরা কখনো ভালোবাসা পাবো না।
এই কথাটা আমিও মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। সুস্থ থাকার জন্য হোক আর ভালো থাকার জন্য হোক সব সময় নিজেকে হাসিখুশি রাখতে হবে তাহলে মন মানসিকতার পরিবর্তন হবে শারীরিক অসুস্থতা ও খুব সহজেই দূর হবে যদি আপনি সবসময় হাসি মুখে থাকেন।
সত্যি ভাই কথাটা ঠিক বলেছেন। আমরা কখনোই নিজের জন্য বাঁচি না। আমরা সবসময় আমাদের পরিবার বাবা মা এদের জন্য বেঁচে থাকি। এটা নিয়ে সুন্দর একটা লাইন আছে এমন
Living for others it's rule of nature.Life is good when you are happy. But much better when others are happy because of you.