বিকেল বেলা ঘুরাঘুরি।
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি। আজকে আমি আপনার সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে এসেছি। প্রতিদিন আমার বাংলা ব্লগে পোস্ট করতে আমার অনেক ভালো লাগে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমার কাছে প্রকৃতির মাঝে ঘুরাঘুরি করতে আমার বেশি ভালো লাগে। আজকে আমরা গিয়েছিলাম মাঠে ঘুরাঘুরি করার জন্য। প্রকৃতির মাঝে ঘুরাঘুরি করতে আমার মনে হয় সবারই অনেক ভালো লাগে। বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কেমন কোথাও ঘুরাঘুরি করতে যেতে পারছিনা।
এইজন্য ভাবলাম আশেপাশে কোথাও একটু হাঁটাহাঁটি করে আসি। বিকালে বেরিয়ে পড়লাম আমরা তিন চারজন একসাথে ঘুরাঘুরি করার জন্য।
বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পর আমরা পৌঁছে গেলাম অনেকগুলো তাল গাছের সামনে। হঠাৎ করে আমার চোখে পড়লো অনেকগুলো বাবুই পাখির বাসা।
কিছু কিছু গাছে রয়েছে তাল। এতগুলো তালগাছ একসাথে দেখে খুবই ভালো লাগছে। বাবুই পাখি এর বাসা গুলো খুবই সুন্দর। বৃষ্টির কারণে অনেকগুলো বাবুই পাখির বাসা গাছের নিচে পড়ে আছে।
বাবুই পাখি খুব সুন্দর বাসা বানায় এর জন্য বাবুই পাখিকে তাঁতি পাখি বা শিল্পী পাখি বলা হয়। বাবুই পাখির বাসা যতটা সুন্দর ঠিক এতটাই জটিল। বাবুই পাখি দলবদ্ধ ভাবে বসবাস করতে খুবই পছন্দ করে।
বাংলাদেশের তিন ধরনের বাবুই পাখি দেখা যায়। দেশি বাবুই, বাংলা বাবুই, দাগি বাবুই। বাসা বাড়ানোর জন্য এরা খুবই পরিশ্রম করে।বাংলাদেশে বাংলা ও দাগি বাবুই এর প্রজাতি বিলুপ্তির পথে, তবে দেশি বাবুই এখনো দেশের সব গ্রামের তাল, নারিকেল, খেজুর, গাছে দলবেঁধে বাসা বোনে।
এরা সাধারণত মানুষের কাছাকাছি বসবাস করে, তাই দেখা যায় এদের বাসা মানুষের হাতের নাগালের মাত্র পাঁচ অথবা ছয় ফুট উপরে। ফলে অনেক অসচেতন মানুষ এদের বাসা ভেঙে ফেলে আর একারণেই এদের সংখ্যা রহস্যজনকভাবে কমে যাচ্ছে। আমরা বেশ অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করার পর দুইটি বাবুই পাখির বাসা নিয়ে। বাসার দিকে রওনা দিয়ে দিলাম। ঘুরাঘুরি করে আমার আজকে খুবই ভালো লাগলো।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমারও খুবই ভালো লাগলো।
ফটোগ্রাফার | @mithila19 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung A6+ |
আমি মিথিলা ইসলাম।আমি একজন 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩। বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ।❤️ আমার স্টিমিট একাউন্ট @mithila19
বাবুই পাখির বাসা আসলেই খুব সুন্দর। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে দেখতে। যদিও এখন বাবুই পাখি খুব কম দেখা যায়। বিকেল বেলা ঘুরতে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। এমন খোলামেলা জায়গায় ঘুরতে আমারও খুব ভালো লাগে। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুধু আপনার কাছে নয় প্রকৃতির মাঝে ঘুরতে প্রতিটা মানুষের কাছেই বেশি ভালো লাগে কারণ প্রকৃতির সৌন্দর্য সবাইকে সব সময় আকৃষ্ট করে। তালগাছে বাবুই পাখির বাসা গুলো চমৎকার লাগছে। বৃষ্টির কারণে বাবুই পাখির বাসা নিচে পড়ে গিয়েছে তবে বাচ্চা থাকলে হয়তো সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
তালগাছের উপরে বাবুই পাখির বাসা দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি কিন্তু প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনি তো দেখছি প্রকৃতির সবুজ শ্যামল পরিবেশের মাঝে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি এবং সময় কাটিয়েছিলেন। আর সেখান থেকে আসার সময় দুটি বাবুই পাখির বাসা ও নিয়ে এসেছিলেন তাহলে। আমি তো বসে বসে ভাবছি আপনি সেই বাসা দুটি দিয়ে কি করবেন? যা ই করেন না কেন আমার কথা কিন্তু এমনিতে সম্পূর্ণটা ভালো লেগেছে।
বিকেল বেলায় এভাবে প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি করলে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে মনের ভেতর। আপনি অনেক ভালো সময় কাটিয়ে ছিলেন হাঁটাহাঁটি করে। তালগাছের উপরে অনেকগুলো বাবুই পাখির বাসা থাকে, আর এটি দেখতে আমার নিজের কাছেও খুব ভালো লাগে। তারা একসাথে বসবাস করতে পছন্দ করে এই বিষয়টা আমার অনেক পছন্দ হয়। অনেক সময় তাদের বাসা নিচে পড়ে যায় ঝড় বৃষ্টি হলে।
আপনার বিকেল বেলায় ঘোরাঘুরির মুহূর্তটি অসাধারণ ছিল। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে সবাই কম বেশি পছন্দ করেন বুঝতে পেরেছি। আপনি তো খুব সুন্দর সুন্দর তাল গাছের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন ভাল লাগলো দেখে। তাছাড়া পাখির বাসা গুলো দারুন ছিল। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন অনেক ধন্যবাদ।
সত্যি বলতে আপু বিকেল বেলায় বাইরে প্রকৃতির সাথে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে। সে সাথে আপনি বেশ দারুন ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সত্যি বলতে তালগাছে বাবুই পাখির বাসা গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে বৃষ্টির কারণে বাবুই পাখির বাসা গাছের নিচে পড়ে গিয়েছে বেশ খারাপ লেগেছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বাবু পাখির বাসা অনেকদিন পর দেখতে পেলাম। ছোটকালে বাবু পাখির বাসা গুলো নিয়ে খেলা করতাম। তবে এখন তালগাছ তেমন দেখা যায় না বাসা গুলো দেখতে পারিনা। আপনি প্রকৃতির মাঝে ঘুরতে পছন্দ করেন। এবং বিকেল বেলা ঘুরতে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। সত্যি বলতে আপনার ফটোগ্রাফি এবং বাবু পাখির বাসার ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বিকালবেলা ঘুরতে গিয়ে হাঁটতে হাঁটতে তাল গাছের বাগানে মনে হয় চলে গেলেন। তালগাছ এবং বাবু পাখির বাসার খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আমাদের এদিকে তালগাছ নেই বললেই চলে। ছোটকালে যখন বর্ষার সময় তালগাছের মধ্যে বাবু পাখির বাসা দেখতাম। বাবু পাখির বাসা গুলো দেখতে অনেক ভালোই লাগতো। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বিকেল বেলা ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। আমার খুবই ভালো লাগলো অনেকদিন পর বাবুই পাখির বাসা দেখলাম। আগে আমাদের বাসার পাশে একটি তালগাছিল ওই তাল গাছে সব সময় অনেক বাবুই পাখির বাসা থাকতো এবং সকাল হলেই কিচিরমিচির আওয়াজে ডাকতো। সেই স্মৃতিগুলোর কথা মনে পড়ে গেল খুবই সুন্দর হয়েছে পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি।