অফিস থেকে বের হয়ে কিছু রেন্ডম ফটোগ্রাফি।। 10% beneficiary to @shy-fox
উপরের এই ছবিটি দেখতে অনেকের কাছে খুবই সিম্পল মনে হলেও আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ । কারন হচ্ছে প্রতিদিন অফিস শেষে বের হয়ে যখন এই ঘড়ির দিকে তাকাই তখন মনে এক প্রশান্তি কাজ করে। তখনি মনে হয় এই বুঝি বাসায় যাচ্ছি।
ঘড়িতে ৫ টা বাজলে কি হবে গাড়ি ছাড়বে সেই ৫ টা ১৫ মিনিটে। কিছু উচ্চ পর্যায়ের লোক আছে যারা নিজেকে ম্যানেজমেন্টের কাছে জাহির করার জন্য ইচ্ছে করে (আমার মতামত) একটু দেরি করেই বের হয়। যাক এই নিয়ে অন্য একদিন লিখব। আরো যেহেতু ১১ মিনিটের মত সময় আছে এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখছিলাম। তখন ছিল শরতের শেষ দিকে। আকাশ টা দেখতে খুব দারুন লাগছিল। মোবাইল বের করাই ছিল কারন সারাদিন শেষে তখন মোবাইল বের করে দেখছিলাম। ঝটপট কিছু ছবি তুলে নিলাম।
মজা পেয়ে গেলাম। আরেকদিকে তাকিয়ে দেখি কিছু গাছ সারিবদ্ধভাবে সুন্দর দাঁড়িয়ে আছে। এই গাছগুলো আশেপাশের পরিবেশ রক্ষা করে। লম্বা গাছের নিচে আরো কিছু ছোট ছোট ফুলের গাছ দেখা যাচ্ছে।
এরই মধ্যে সব ভি আই পি লোকজন চলে এসেছে, গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে। কখন যে গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েছি টের পাইনি। প্রায় ৪০ মিনিট পর যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে এসে ড্রাইভার ডাকল স্যার আপনি না আজ ফ্লাইওভারে নাম্বেন, চলে এসেছি। আমি তাড়াহুড়ো করে নেমে গেলাম। গাড়ি চলে গেল। অনেকদিন পর ফ্লাইওভারের উপর নেমে ভালই লাগলো । আশেপাশে কিছুক্ষন দেখলাম। এই যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে গাড়িগুলো এত দ্রুত চালায় মনে হয় গাড়ি উড়ছে। নেমে কিছু ছবি তুলে নিলাম।
উপরের ছবিতে যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের রেলিং এর ছবি দখা যাচ্ছে। আমার কাছে ভাল লাগছিল তাই একটি ছবি তুলে নিলাম।
এই ছবিটি ফ্লাইওভার থেকেই তোলা। খেয়াল করলাম এই একটি দালান একা দাঁড়িয়ে আছে বিশাল আকাশের বুকে। ্দালানটিকে আমার কাছে অসহায় মনে হচ্ছিল।
আমি মূলত সায়েদাবাদ নেমেছিলাম একটি গাড়ির খোজ নেয়ার জন্য। যখন নিচের দিকে নামছিলাম তখন প্রায় সন্ধ্যা হবে অবস্থা। উপরে তাকিয়ে দেখি চাঁদ মনে হয় আজ একটু আগেই উঠে গিয়েছে কারন নীল আলাশে চাঁদ খুব একটা দেখা যায় না।
তারপর নেমে বাসের কাউন্টারে গিয়ে তথ্য জেনে বাসার দিকে রওনা দিয়েছি।
ডিভাইস | স্যামসাং |
---|---|
ক্রেডিট | @miratek |
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | https://what3words.com/polished.neckline.overture |
আজ এই পর্যন্ত। আশা করি আমার ছবি এবং লেখা আপনাদের কাছে ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।
অফিস শেষ হওয়ার আগের মুহূর্ত গুলো নিজের কাছে কতটা এক্সাইটমেন্ট কাজ করে আমি বেশ ভালভাবে উপলব্ধি করতে পারি। আপনার শেয়ারকৃত সবগুলো ছবি আমার বেশ ভাল লেগেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে সন্ধ্যার মুহূর্তে নীল আকাশে চাঁদ দেখা।
নীল আকাশের চাঁদ দেখতে আমার কাছেও ভালো লেগেছিল তাই ত ছবিটি তলেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সত্যি বলেছেন ঘড়িটা দেখে সিম্পল মনে হলে ও ঘড়িটা অনেক কাজের।তবে এখন মোবাইল থাকার কারণে ঘড়িটা মানুষ তেমন ব্যবহার করে না। আপনার অফিস থেকে আসার সময় ছবি গুলো বেশ ভালোই ছিল। নীল আকাশে চাঁদ খুব একটা দেখা যায় না। চাঁদ দেখতে চমৎকার লাগছে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগে,কিন্তু অনেক সময় ইচ্ছে করলে সময় এবং মানুষ কি বলবে,এই মনে করে ছবি তোলা হয় না।শরৎতের শেষের আকাশের ছবিটা বেশ সুন্দর। যাএাবাড়ী ফ্লাইওভার থেকে এটা মনে হয় টনি টাওয়ার তাই না?ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
টনি টাওয়ার কিনা জানিনা, তাকে দেখে একা মনে হল তাই ছবি তুলেছি। ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
ফটোগ্রাফি করতে আমারও অনেক ভালো লাগে। সারাদিন অফিস করে বের হওয়ার সময় আপনার ফটোগ্রাফি করার মত এনার্জি দেখে আমি তো অবাক। আপনার ফটোগ্রাফি আমার খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সব জায়গাতেই এমন কিছু লোক থাকবেই যারা ম্যানেজমেন্ট কে শোঅফ করবেই।কি যে মজা পায় এরা।এদের জন্য বাকি সবার কথা শুনতে হয়।আকাশের ছবি গুলো ভাল ছিল।আমি আবার ভাল সাবজেক্ট পাইলে লোকে কি ভাববে সেটা ভাবি না।ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফ গুলোর জন্য।
শরতের আকাশ এমনিতেও দেখতে অনেক বেশি সুন্দর। তাছাড়াও আকাশের দিকে তাকালে মনটা ভালো হয়ে যায়। বিশাল আকাশে মেঘের খেলা দেখতে ভালই লাগে।আপনি অফিস থেকে বের হয়ে খুব সুন্দর কিছু আকাশের ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনটা ভালো হয়ে গেল। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে সুন্দর ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করার জন্য।
অফিসে নানান ব্যস্ততার মাঝে সময় বের করে আপনি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন যেগুলো অনেক সুন্দর হয়েচে ভাই।ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।