আমার স্কুল জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার অনুভূতি।।
আমি আজ আপনাদের সাথে স্কুল জীবনের যে তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করব তা আমার হাই স্কুলে থাকাকালীন সময়ের। আমি তখন ক্লাস এইটে পড়ি। আমাদের স্কুল সম্পর্কে কিছু কথা বলি। স্কুলের নাম গংগামন্ডল রাজ ইন্সটিটিউশান। স্কুলটি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্দার থানার জাফরগঞ্জে অবস্থিত। জাফরগঞ্জ মফস্বল এলাকার মত। আমাদের স্কুলটি অনেক পুরনো, প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯২২ সালে। আশেপাশের কয়েক গ্রামে স্কুল না থাকায় দুর দুরান্ত থেকে ছাত্র ছাত্রীরা এসে এই স্কুলে পড়ত।
আমি আগেও আমার ২-১ টি পোস্টে বলেছি আমি খুব কঞ্জারভেটিভ ফ্যামিলি থেকে এসেছি। আব্বা অনেক শাসনের মধ্যে রাখতেন। শাসনের কিছু উদাহরন আমি নিচে বলছি৷ আমাদের বাড়ি থেকে বাজার যেতে ২ মিনিট লাগে। কিন্তু হাই স্কুলের ৬ বছরের সময়টাতে আমি হাতেগোনা কয়বার বাজারে গিয়েছি বলতে পারব। আমি যখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি তখন থেকে আমাদের বাড়িতে লজিং মাস্টার থাকেন যেন আমরা (আমি, ভাই, বোন) নিয়ম শৃংখলার মধ্যে থাকি। আমাদের ফিক্সড কিছু রুটিন ছিল। সকালে উঠে লজিং মাস্টারের কাছে পড়ে ৮ টায় গোসল করে ৯ টার মধ্যে নাশতা খেয়ে ৯ঃ৩০ স্কুলের উদ্দ্যেশ্যে বের হয়ে ৯ঃ৪০ এর মধ্যে স্কুলে পৌঁছে ৯ঃ৪৫ এ পিটিতে এটেন্ড করে ১০ঃ০০ টায় ক্লাসে জয়েন করা। তারপর লেইজার সময়ে বাড়িতে লাঞ্চ করে আবার ক্লাস করে ৪ টায় ছুটি শেষে বাড়ি ফিরা। তারপর সন্ধ্যা পর্যন্ত খেলাধুলা করে মাগরিবের আযানের শেষে আবার লজিং মাস্টারের কাছে পড়ে রাত ১০ঃ০০ টায় খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া। আমি স্কুলে যেতাম, ক্লাস করতাম, স্কুল শেষে বাড়ি ফিরতাম। এভাবেই চলছিল আমার স্কুল। এইগুলো আলোচনার উদ্দেশ্য হচ্ছে এত নিয়ম শৃংখলার মধ্যে থেকে এরকম একটি বাজে ঘটনার সাথে আমি জড়িত হব কল্পনাও করিনি এবং নিচে যে অভিজ্ঞতা শেয়ার করব তা আসলে আমার অজান্তেই হয়েছে, ইচ্ছাকৃত কিছু না।
আমি তখন ক্লাস এইটে মাত্র উঠেছি। আমার কিছু ছেলে বন্ধু ছিল। তাদের মধ্যে তারেক আর খাইরুল আমার সাথে বেশি ঘনিষ্ঠ। এদের মধ্যে খাইরুলের কথা আমি আগের একটি পোস্টে লিখেছি। খাইরুল যেখানে খুব ঠান্ডা প্রকৃতির অন্যদিকে তারেক আবার ছিল খুব সাহসী এবং দুষ্ট প্রকৃতির।আমার রোল ছিল ২ আর তারেকের রোল ছিল ১১। তারেক সারাক্ষণ দুষ্টামির মধ্যেই থাকত, আর কেন জানি আমার সাথে খুব জেলাসি করত। এমনকি ওই বয়সেই মেয়েদের সাথে ফ্লার্ট করত। আমার মেয়েদের সাথে কথা বলতে লজ্জা লাগত তাই মেয়ে বন্ধু ছিল না। আমি, তারেক আর খাইরুল একদিন এইটের ক্লাসে বসে কথা বলছি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ হতে হতে একসময় তারেক কিছু অনাকাঙ্খিত কথা বলে উঠল।
সে বলল আমার আব্বা স্কুলের কমিটির সদস্য হওয়ার কারনে আমি নাকি স্কুল থেকে পরীক্ষার সময় সুবিধা পাই, টিচার রা আমাকে ক্লাসে এক্সট্রা কেয়ার করে, আমাকে ভাল না লিখলেও মারকস বেশি দেয়, আরও অনেক কিছু। যদিও আমি অনেক অপমানিত বোধ করছিলাম আমি তখন কিছু বলিনি। কোন রকম পাশ কাটিয়ে গিয়েছি।
তার কয়েকদিন পরের কথা। যথারীতি স্কুলে গিয়েছি। লেইজার টাইম মানে লাঞ্চ টাইমে বাড়ি গিয়ে (স্কুল থেকে বাড়িতে হেটে যেতে ৫ মিনিট লাগে) লাঞ্চ করে দ্রুত চলে এসেছি ক্লাসে আড্ডা দিব বলে। ক্লাসে এসে দেখি সেই আড্ডা হচ্ছে। তারেক মধ্যমনি হয়ে আরও ২-৩ জনের সাথে আড্ডা দিচ্ছে আর বাকিরা স্কুল মাঠে। আমাদের ক্লাসের কয়েকজন মেয়েও একটু দুর থেকে তাদের কথা শুনছে। আমি গিয়ে পাশে বসতেই তারেক আবার সেই কথা তুলল। আব্বার কারনে আমি স্কুলে ফেসিলিটি পাচ্ছি এবং ঐদিন যা যা বলেছিল সব আবার রিপিট করল। সাথে এটাও এড করল আব্বা নাকি স্কুল ফান্ডে অনেক টাকা দেয় তাই কেউ কিছু বলে না। এতগুলো ছেলে মেয়ের সামনে এইসব কথা বলায় আমার অনেক লজ্জা লাগছিল। আমি তারেক কে বললাম, তারেক সবসময় দুষ্টামি ভাল লাগে না। তুই সেদিনও এই কথা বলেছিস আমি কিছু বলিনি। আজ তুই একই টপিক নিয়ে কথা বলছিস। আমি কিন্তু স্যারদের কাছে নালিশ দিব। তারেক বলল সত্যি কথাই ত বলেছি তুই ত ফেসিলিটি পাস। স্যারদের কাছে নালিশ দিবি? তারাই ত তোকে ফেসিলিটি দিচ্ছে। একথা শুনে মেয়েদের মধ্য থেকে দু একজন তারেক কে জিজ্ঞেস করল সত্যিই কি সে সুবিধা পায়? এই জন্যই কি রেজাল্ট ভাল? সাথে সাথে তারেক বলে বসল আমি কি না জেনে বলেছি। আমার তখন লজ্জা আর জেদে শরীর কাপা শুরু করেছে।
তারেক ঐ মুহুর্তে লম্বা লোহার শিক দেয়া জানালার পাশে দাড়ানো ছিল। কেন জানি আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলাম না। জানালার পিছন দিক দিয়ে গিয়ে জানালার লোহার শিকের ভিতর দিয়ে তারেকের গলা চেপে ধরেছি। তারেক প্রথমে বলল এই ছাড় আমাকে। তার কয়েক সেকেন্ড পর তারেক শুধু হাত নাড়ছে কথা বলছে না। ক্লাসে থাকা ২-১ জন ছেলে এসে আমার হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করেও পারেনি। তারপর ওরা চিৎকার করতেই স্কুলের মাঠ থেকে বড় ভাইয়ারা এসে আমার হাত থেকে তারেক কে ছুটাল। আর তারেক পরক্ষনেই মাটিতে পড়ে শুয়ে পড়ল। কথা বলছে না। আশেপাশে থাকা ছাত্ররা বলাবলি করছিল মরে গেল কিনা। আমি এই কথা শুনে দৌড়ে স্কুলের পিছনের গেট দিয়ে পালাতে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ততক্ষনে স্কুলের দপ্তরী মালেক ভাই আর রহিম ভাই আমাকে ধরে ফেলল (ছাত্রদের চিৎকার শুনে দপ্তরিরা এসেছিল)। আমি অনেক ছুটাছুটি করেও নিজেকে ছাড়াতে পারলাম না। তারা এক প্রকার আমাকে ছেচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল। আমি অনেক ভয় পেয়েছিলাম। আসলে যতটা না ভয় পাচ্ছিলাম স্যারেরা কি বলবে বা তারেকের কি হল, তার থেকে ভয় বেশি পাচ্ছিলাম আব্বার কথা মনে করে। পুরো স্কুলের প্রায় ৫০০ ছাত্রছাত্রীর চোখ আমার দিকে। কেউ আমার পিছনে পিছনে আসছিল, কেউ বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছিল। কিন্তু সব ছাত্রছাত্রী ক্লাসের বাহিরে চলে এসেছিল। আমাকে নিয়ে গেল সোজা হেড মাস্টারের রুমে। সেখানে সব টিচার জড়ো হয়ে গিয়েছিল। সাথে অনেক স্টুডেন্ট ও এসেছিল কিন্তু মনির স্যার (খুব সাহসী একজন স্যার) সবাইকে নিচে পাঠিয়ে দিয়েছিল। তখন আমার শরীর কাপছিল আর আমি কান্না করছিলাম। তা দেখে হেড স্যার আমাকে পানি খাওয়ালেন। তারপর কিছুক্ষণ সময় দিয়ে আমাকে বললেন। তুমি ক্লাস সিক্স থেকে এইটে উঠেছ কোনদিন ত তোমার নামে কোন নালিশ শুনলাম না। বরং তোমার বেপারে কিছু টিচার ভাল বলে যে তুমি শান্ত, পড়ায় মোটামুটি ভাল। তোমার আব্বা প্রায় সময় ই গোপনে এসে তোমার আর তোমার ভাইয়ের (আমার ভাই তখন ক্লাস নাইনে পড়ে) খবর নিয়ে যায় আমাদের কাছ থেকে। স্যার কথা বলেই যাচ্ছিল। তারপর বলল তোমার আব্বা এই এলাকায় খুব সম্মানিত একজন ব্যক্তি, আমাদের স্কুল কমিটির সদস্য, তা তুমি মারামারির মত এই জঘন্য কাজটা কেন করেছ? এরই মধ্যে আব্বাকে খবর দেয়া হয়েছে আমি তা জানতাম না। আমি একটু রিলাক্স হয়ে স্যার কে সব বললাম। স্যার সব শুনে বললেন তোমার খারাপ লেগেছে তুমি আমাদের কে বলতে, নিজেই কেন তার সাথে ঝগড়া করতে গেলে। এখন তারেকের কিছু হলে এর দায়ভার কে নিবে? কথা বলতে বলতে আব্বা চলে এসেছে। আব্বা আসার পর কিছু শিক্ষক এগিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। আব্বা এসে খুব শান্ত হয়েই বসেছিলেন। আব্বা আসার পর আমাকে শিক্ষকদের কমন রুমে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিছুক্ষণ পর আমাকে ডাকা হল হেড স্যারের রুমে। গিয়ে দেখি তারেক বসে আছে। দেখে আমার আত্মায় পানি এসেছে, কারন কেউ আমাকে বলছিল না তারেক সুস্থ আছে কিনা? আমি ভাবলাম হসিপিটালে নিয়েছে কিনা? ওকে দেখে মনে হল সুস্থ আছে। তবে মাথা ভেজা। মনে হয় অনেক পানি দেয়া হয়েছিল মাথায়। হেড স্যার আমাকে বললেন তুমি তারেকের কাছে ক্ষমা চাও আর একটি এপ্লিকেশন দাও যেখানে লেখা থাকবে ভবিষ্যতে এধরনের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডে জড়িত হলে স্কুল যে সিদ্ধান্ত নিবে তা মানিয়া নিব। আব্বার দিকে তাকিয়ে দেখি শান্ত ভাবেই বসে আছে। আমি তারেকের সাথে কোলাকুলি করে ক্ষমা চেয়ে নিলাম। পরে হেড স্যার বললেন আজ তুমি বাসায় চলে যাও। দপ্তরি মালেক ভাই আমার বইখাতা ক্লাস থেকে নিয়ে এনে দিলেন। আব্বার পিছন পিছন আমি বাড়ির দিকে চললাম। হেড স্যারের রুম (দুতলা) থেকে নামতে গিয়ে দেখি ভীড় খুব একটা কমেনি। সবাই তাকিয়ে আছে হেড স্যারের রুমের দিকে। আমি নামতেই অনেকেই এদিকে আসতে চেয়েছিল কিন্তু দপ্তরি এবং সিকিউরিটির লোকজন আসতে দেয়নি। যাই হোক আব্বার সাথে বাড়ি চলে আসলাম। আসার পর আব্বা হাসান কাকা (আমাদের বাড়িতে থেকে কাজ করত) কে বলল দড়ি নিয়ে আয়। আম্মা আমাকে দেখে বলে স্কুলে ক্লাস নেই? তারপর আব্বা আম্মাকে ঘটনা বলল। হাসান কাকা দড়ি নিয়ে আসাতে আব্বার নির্দশে আমাকে ঘরের সিলিং এর তীরের সাথে হাত উচু করে বেধে দিল। আর আম্মাকে বলল আমি বাজার থেকে আসা পর্যন্ত কেউ যেন বাধন না খুলে। সাথে এও বলল আমাকে যেন খাবার না দেয়। আম্মাও ভয়ে কিছু বলেনি। আমার দাদু আব্বা কে বলছিল আজ মাফ করে দে। আব্বা দাদুকে শুধু বললেন, মা এই বেপারে সুপারিশ করবেন না, বলে বাজারে চলে গেলেন। দাদু আর কিছু বলেন নি। আব্বা প্রায় ৪-৫ ঘন্টা পর সন্ধায় বাসায় এসে হাসান কাকাকে দিয়ে দড়ি খুলে দিলেন। এই ৪-৫ ঘন্টা কি হয়েছে তা আর না বলি। আব্বা আম্মা কে আমার বেপারে বললেন, ওর আর পড়াশোনার দরকার নেই, কাল থেকে স্কুলে যাবে না।
এই ছিল আমার স্কুল জীবনের সবচেয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা। খুজলে আরও পাওয়া যাবে কিন্তু এই ঘটনা আমার মনে এখনো নাড়া দেয়। স্কুলের বন্ধুদের সাথে দেখা হলে এখনো এই ঘটনা আলোচনার বিষয় হয়ে যায়।
নোটিশ ঃ তারেক সেদিন সেন্সলেস হয়েছিল কিছু সময়, পরে মাথায় পানি দিয়ে তার জ্ঞান ফিরানো হয়েছিল।
আমার এই ঘটনা পড়ে কেউ আমাকে খারাপ ভাবে নিবেন না। আমি তখন নিতান্তই পরিস্থিতির স্বীকার ছিলাম। আর আমি বুঝিনি যে আমি এত জুড়ে তারেকের গলায় ধরেছি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
রাগের সময় অনেক অঘটন গঠিয়েফেলে মানুষ। যাক তারেক খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়েছে বিদায়,তা না হলে কি যে হত আল্লাহ জানে😊।বেশ ভালোই তিক্ত অভিজ্ঞতায় ছিলো।পরিশেষে আমরা কিন্তু খারাপ ভাববো😜😜
সেদিন বেশিই রাগ উঠেছিল তাই আর কন্ট্রোল করতে পারিনি। তার উপর মেয়েদের সামনে বলাতে মনে হয় বেশি এফেক্ট করেছিল। এটা ঠিক বলেছেন তারেকের যেকোন কিছু হতে পারত। কাজটি আমি খারাপই করেছিলাম। শিক্ষকদের বললেও তারা কোন একটা স্টেপ নিত। ধন্যবাদ আপু।
মানুষ রাগের ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।আর আপনি তো তখন মাত্র ক্লাস এইটে তখন এত বেশি বুঝার মত বয়স হয় নাই।যাক আপনার স্কুল জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার আমাদের সাথে শেয়ার করাব জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
আমি তখন রাগের মাথায় ভুল করে ফেলেছি। আসলেই এত ছোট ছিলাম যে বুঝে উঠতে পারিনি এরকম হয়ে যাবে। ধন্যবাদ আপু।
আসলে আত্ম সম্মানে ঘা লাগলে হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। স্কুলে এমন কিছু ছেলে মেয়ে থাকেই যারা নিজেরা আপনাকে এক্সপ্লয়েট অরে ইনোসেন্ট সেজে বসে থাকবে। খারাপ লাগলো ঘটনাটা পড়ে।
সত্যি বলেছেন আত্মসম্মানে লেগে গেলে মাথা ঠিক থাকে না। তারেক ব্যাপারটা নিয়ে একটু বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিল। তবে আমার ভুল ছিল এটা আমি এখন বুঝি। ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মন্তব্য দেয়ার জন্য।
যাক,😪😪তারেক তো বেঁচে গেলো। তারেক বেঁচে যাওয়ার সাথে আপনার জীবন এমন কি পুরো পরিবার বেঁচে গেলো!!"😥😥 কে কি বলল সেটা বড় কথা না প্রথমে আপনার অপরাধ দেখতো সবাই।এমন ধুলায় করতো না সাথে জেলের ভাত।জীবনটা নষ্ট হয়ে যেত।এখন কি তারেকের সাথে দেখা হয়?কথা হয়?জানালে ভাল লাগবে।আপনার সুন্দর তিক্ত অভিঙ্গতা জানলাম ভাল লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য।
কিছুক্ষণের জন্য আমার সত্যিই মনে হয়েছিল তারেক কি বেঁচে আছে? স্কুলে থাকতেই তারেকের সাথে মিটমাট হয়েছিল, তবে প্রায় এক বছর সে আমার সাথে কথা বলেনি। এখন খুব একটা দেখা বা কথা হয়না তবে আমি মাঝে মাঝে ওর খবর নেই। সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
শান্ত মানুষ কিন্তু যখন রেগে যায় তখন খুব ভয়ানক পরিস্থিতির সৃস্টি করে। যাই হোক ছেলেটির বেশি কিছু হয়নি।
এটা ঠিক বলেছেন দাদা, শান্ত মানুষ রেগে গেলে খুব খারাপ কিছু হয়ে যায়। ছেলেটি সেন্সলেস হয়েছিল কিন্তু খারাপ কিছু হয়নি। ধন্যবাদ দাদা, মন্তব্য দেয়ার জন্য
আপনার স্কুল জীবনের কথা শুনে আমার তো গা শিউরে উঠেছে। আসলে মাঝে মাঝে অনেককে অপবাদ শুনলে সহ্য করা যায় না তখন কি করে বসে মানুষ কোন হুশ থাকে না। তবে সেদিন আপনারও ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় হোক তারেকের যদি কিছু হয়ে যেত তাহলে আপনার জীবন হয়তো ভিন্ন দিকে রূপ ধারণ করত। আপনার আব্বার মান সম্মানই লেগেছে তাই হয়তো আপনাকে পানিশমেন্ট দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সকল বাবাই এমন করত।
এখনো মাঝে মাঝে ঐ স্মৃতি মনে পড়লে আমারও গা শিউরে ওঠে। তখন তারেক বারবার একই অপবাদ দিয়ে যাচ্ছিল আর ব্যাপারটা আমি নিতে পারিনি। তাই বেশি রেগে গিয়েছিলাম। তবে আমার ভুল ছিল এটা আমি মানি। আব্বার পানিশমেন্ট গুলো এরকমই হতো। উনি হাতে কখনো মারেন নি তবে ভয়ানক পানিশমেন্ট দিতেন। ধন্যবাদ আপু
ভাই আপনার তিক্ত অভিজ্ঞতার গল্পটা শুনে আমি রীতিমতো শিহরিত। সত্যি যদি তারেকের সেরকম কিছু হয়ে যেত তাহলে...। আর যতটা হয়েছে সেটাই বা কম কিসের বলেন। যাইহোক ভাই জীবনে এইরকম কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকা ভালো।।
আপনি গল্প পড়ে শিহরিত বোধ করছেন তাহলে চিন্তা করুন আমার অবস্থা তখন কি হয়েছিল? আল্লাহর অশেষ রহমত যে তারেকের কিছু হয়নি তা না হলে অবস্থা অন্যদিকে মোড় নিত। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
জীবনটা যেমন বেদনাদায়ক,ঘটনা দায়ক বটে। তবে স্কুল লাইফে অনেকের এমন ঘটনা ঘটেই থাকে। যখন অনেকদিন পার হয়ে যাবে এমন স্মৃতিগুলো নিজের কাছেই ভাবতে কেমন জানি অবাক মনে হবে। মিস করি আমার জীবনের সেই স্কুল লাইফের দিনগুলো। যখন কেউ এমন পোস্ট করে থাকে তখনই অনুভব করি খুঁজে পাই আমার সেইদিনের স্মৃতি। আর বর্ণনা পড়ে যা বুঝলাম, বাবার শাসন এমনই হয়।
স্কুল জীবনে যেমন সুখের স্মৃতি আছে তেমন বেদনাদায়ক স্মৃতিও আছে। আমার বাবা ছোটবেলায় অনেক শাসন করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
নরম মানুষ গরম হইলে, গরম মানুষ কেউ হারিয়ে দেয়। আসলে এই ঘটনা তে বড় ধরনের কোন ক্ষতি কিছু হয় নাই এটাই বড় ব্যাপার। আসলে কিছু কিছু বিষয়ে নিজেকে কন্ট্রোল রাখা অনেক কঠিন হয়ে যায়। আপনার জন্য শুভকামনা
ঠিকই বলছেন ভাইয়া ঠান্ডা মানুষ রেগে গেলে একটু খারাপ দিকে সিচুয়েশন মোড় নেয়। তবে আমার কন্ট্রোল করা উচিত ছিল। এটা আমার ভুল হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এইটা ঠিক বলেছেন যারা সহজে রাগ করেনা তারা রেগে গেলে একটু খারাপ দিকেই যায়। আমি সেদিন সত্যিই অনেক ভয় পেয়েছিলাম। তবে স্যারেরা না থাকলে হয়ত ব্যাপারটা আরো খারাপ দিকে যেত। ধন্যবাদ ভাইয়া।