||কিছু মুহূর্ত ||১০%@shy-fox এর জন্য
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ
শুক্রবার, আগস্ট ১৯/২০২২
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি ।আশাকরি আপনাদের আমার পোস্টটি দেখে অনেক ভালো লাগবে। অনেকদিন আগে থেকেই ভাবছি একটা নির্দিষ্ট কারণের জন্য কিছু খুরমা বাতসা ছোট বাচ্চাদের মধ্য ভাগাভাগি করে দিব কিন্তু সচরাচর তেমন একটা সময় পাচ্ছিলাম না কিন্তু আজকে সময়টা হয়েই গেল। তাই আজকে আমাদের বাজার থেকে কিছু খুরমা এবং বাতসা নিয়ে কিছু ছেলেমেয়েদের মধ্যে ভাগাভাগি করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার কিছু মুহূর্তের ফটোগ্রাফি সহ আমার মুহূর্তটি কেমন কেটেছিল সেই সম্পর্কে একটা পোস্ট করছি। আমি যখন এই খুরমা বাতাসাগুলো এক জায়গায় গুছাই ছিলাম তখন আমার ছোটবেলার কথাগুলো অনেক মনে পড়ছিল। কেননা ছোটবেলায় আমাদের গ্রামে যদি কারোর বাড়ি কোন শুভ কাজ থাকতো তাহলে ছোট, ছোট ছেলে মেয়েদের এই ধরনের খুরমা বাতসা খেতে দিত। তখন এগুলো পেয়ে অনেক খুশি হতাম এবং অনেক মজা লাগতো। ছোটবেলায় ছোটবেলার সেই মুহূর্তগুলো আসলে ভোলার নই ।ছোটবেলার মুহূর্তগুলো যখন মনে পড়েছিল তখন মন চাচ্ছিল যেন ছোটবেলায় আবার ফিরে যায় কিন্তু আমরা সবাই জানি এটা কখনোই সম্ভব না। এভাবেই আমি খুরমা বাতসাগুলো ধাপে ,ধাপে সুন্দর করে প্যাকেট করছিলাম এবং সবার মধ্যে বিলিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলাম। আমি শুধু একা নয় আমার পরিবারের প্রায় সকল সদস্যই এই কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে এবং এই কাজটি সম্পন্ন করব আমার পরিবারের সকল সদস্য মিলেই ।আমি আপনাদের কাছে থেকে দোয়া চাই আমি আমার নির্দিষ্ট আশাটি যেন আমি পূরণ করতে পারি। আমার কিছু মুহূর্তের কিছু বিস্তারিত প্রোস্টর মধ্যে উল্লেখ করার চেষ্টা করছি আশা করছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আপনারা হয়তো সবাই খেয়াল করেছেন একটা হাড়িতে খুরমা আরেকটা পাত্রে বাতসা রেখে দিয়েছি ।খুরমা ও বাতসা আমি বাজার থেকে সংগ্রহ করেছি ।আমাদের বাসা থেকে একটু দূরেই খুরমা ও বাতসা কিনতে পাওয়া যায়। যখন আমি বাজার থেকে খুরমা ও বাতসা কিনতে গিয়েছিলাম তখন একটু বৃষ্টি হচ্ছিল ।সকালের দিকে প্রচন্ড গরম পড়ছিল সেজন্য আমি বাজারে যাওয়ার সময় ছাতা নিয়ে যাওয়ার কথা স্মরণ ছিল না তাই যখন বৃষ্টি হচ্ছিল তখন আমি একটা দোকানে বসে ছিলাম যখন বৃষ্টি থেমে গেল তখন খুরমা ও বাতসা কিনে একটা গাড়িতে উঠে বাসায় চলে আসলাম।
যখন আমি বাজারে খুরমা ও বাতসা কিনতে গিয়েছিলাম তখন খুরমা ও বাতসার সঙ্গে কিছু পরিমাণ প্যাকেটও কিনে এনেছি। খুরমা ও বাতসা প্যাকেট করার জন্য ।বাজারে আমি সকাল ১২ টার দিকে গিয়েছিলাম ।যখন বাজার থেকে আসলাম তখন প্রায় ১টা বেজে গিয়েছিল বাজার থেকে আসার পর ফ্রেশ হয়ে অল্প পরিমান খাবার খেয়ে তারপর আমি আর আমার আম্মু প্যাকেট করতে বসলাম। পেকেট করতে গিয়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে কেননা কোন কিছু নিজের হাতে করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। আমাদের গ্রামে কোন শুভ কাজ করলে প্রায় মানুষ এভাবে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন জিনিস দিয়ে থাকে ।কেননা মিষ্টি খাবার মুখে দিয়েই শুভ কাজ শুরু করতে হয়। এই প্রথা প্রায় প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে।
এবার প্যাকেটগুলা করা সম্পূর্ণ হলে সব প্যাকেটে পরিমাণ মতো খুরমা ও বাতাসা দিয়েছি ।সব মিলিয়ে প্যাকেট প্রায় ৮০টা করা হয়েছে। প্যাকেট গুলো আমাদের বাশার প্রতিবেশি ও বাচ্চাদের মাঝে ভাগাভাগি করে দিয়েছি। যখন বাচ্চাদের মাঝে প্যাকেটগুলো ভাগাভাগি করে দিলাম তখন দেখতে পেলাম বাচ্চারা অনেক খুশি হয়েছে। আসলেই এমন সুন্দর একটা মুহূর্ত দেখে অনেক ভালো লাগলো। ছোট বাচ্চাদের মাঝে ভাগাভাগি করে দিতে পেয়ে আমিও আমার পরিবার অনেক খুশি। আসলেই কোন কিছু নিজের হাতে দেওয়ার মজাই আলাদা।
- ধন্যবাদ সবাইকে এতখন আমার সাথে থাকার জন্য ।আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে । আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
ফটোগ্রাফার | @mdemaislam00 |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | vivo12a |
আসলে কি, মন থেকে কিছু করার মজাই আলাদা আপনি আপনার মন থেকে এটা করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন এবং করেছেন এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় ব্যাপার। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে এই কাজটি করেছেন এজন্য খুবই ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শুভকামনা রইল।
খুব ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্ট পড়ে। আমার মনে হয় না কেউ এ জাতীয় পোস্ট আমার বাংলা ব্লগে ইতপূর্ব করেছে। তবে এই জাতীয় পোস্টগুলো আমাদের সবাইকে নতুন কিছু জানতে শেখায়। খুব ভালো লাগলো পোস্ট পড়ার পর।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি যাকে খুরমা বলছেন এটিকে আমরা চিনির গজা বলি।খেতে দারুণ স্বাদের, তাছাড়া আপনি ঠিক বলেছেন নিজে হাতে কিছু বিলানোর মধ্যে মজা আছে।তাছাড়া আপনার মনস্কামনা পূরন হোক এই আশা রাখি,ধন্যবাদ আপু।
আমাদের এদিকে চিনির গজাকে খুরমা বলে থাকি ।
আসলে এইসব ভাগাভাগির বিষয় খুবই কম মানুষই আমাদের এই প্লাটফর্মে পোস্ট করে থাকে। এই বিষয়ে আপনার পোস্টটি দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি অনেকগুলো খুরমা এবং বাতাস আপনার প্রতিবেশীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার অনুভূতিটা ছিল খুবই আনন্দময়। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
লেখাগুলো উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে মার্কডাউনের কোড ঠিক মতো ব্যবহার হয় নাই। বিশেষ করে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ধাপের ফটোগ্রাফিগুলোর নিচের লেখাগুলোতে কেন “কোট” এর মার্কডাউন ব্যবহার করেছেন? লেখাগুলো কি আপনার নিজের না?
ভাইয়া লেখাগুলো আমার নিজের। বুঝতে পেরেছি ভাইয়া মার্কডাউন গুলো ইডিট করে ঠিক করছি ভাইয়া।
সেটা না হয় বুঝলাম, কিন্তু আজকেও আপনি এই রকম ভুল করেছেন, পরবর্তীতে সংশোধন না হলে কিউরেশন বন্ধ করা হবে।